ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

খুনী ছেলেকে দেখামাত্র গুলি করা উচিত ॥ কানদিলের বাবা

প্রকাশিত: ০৪:১২, ২৩ জুলাই ২০১৬

খুনী ছেলেকে দেখামাত্র গুলি করা উচিত ॥  কানদিলের বাবা

খুন হওয়া পাকিস্তানের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তারকা কানদিল বালুচের বাবা-মা তাদের কষ্টের কথা ব্যক্ত করেছেন। মেয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা এবং পুত্রের আচরণে তারা যে অতিষ্ঠ সে কথাও জানিয়েছেন। গত সপ্তাহে বোনকে খুন করার কথা স্বীকার করেন কানদিলের ভাই। এদিকে পাকিস্তানের পার্লামেন্টের একটি কমিটি অনার কিলিং নিষিদ্ধ আইনের খসড়া সর্বসম্মতিক্রমে অনুমোদন করেছে। আটন ও বিচারমন্ত্রী জাহিদ হামিদ ঘোষণা করেছেন যে, অনারকিলিং নিষিদ্ধ এবং ধর্ষকের শাস্তি বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিল দুটি কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই ভোটাভুটির জন্য পার্লামেন্টে উত্থাপন করা হবে। খবর বিবিসি ডনের। কানদিলের মা আনোয়ার আজিম বলেন, নিজের দুঃখ এবং গোপন বিষয়গুলোও আমার সঙ্গে শেয়ার করত কানদিল। কানদিলের বাবা মুহাম্মদ আজিম বলেন, দেখা মাত্রই তার পুত্রকে গুলি করা উচিত। তবে আনোয়ার আজিম জানান, অনলাইনে বোনের খোলামেলা ছবি পোস্ট হওয়ায় অনেকের বিদ্রƒপের কারণে নিজেকে আর নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি তার ছেলে। পারিবারিক সম্মান রক্ষার নামে প্রতিবছর স্বজনদের হাতে পাঁচ শ’র বেশি মানুষের মৃত্যু হয় পাকিস্তানে। যাদের বেশির ভাগই নারী। আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে কানদিল বালুচের উগ্র ছবি, মন্তব্য এবং ভিডিওসমূহ পোস্ট হওয়ার পর একেবারে সাধারণ থেকে তারকা হয়ে যান তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তার ভক্তের সংখ্যা হয় লাখ লাখ। ২৬ বছর বয়সী কানদিল বিরোধীদের বিষয়ে ভালভাবে সতর্ক ছিলেন। রক্ষণশীল মুসলিম দেশটিতে অনেক কিছুরই মুখোমুখি হয়েছেন তিনি। তারপরও বিচলিত হননি। তার ভাই ওয়াসিম জানান, গত শুক্রবার ঘুমের ওষুধ খাওয়ানোর পর গলাটিপে কানদিল বালুচকে হত্যা করেন। বালুচ পরিবারের অসম্মাান করায় বোনকে খুন করেন বলেও জানান তিনি। ঘটনার দিন মা-বাবাকেও ওষুধ খাওয়ানো হয়েছিল বলে প্রথম সাক্ষাতে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছিলেন কানদিলের বাবা-মা। আনোয়ার আজিম বলেন, আমার স্বামী এবং আমি গভীর ঘুম অনুভব করি। দুধের সঙ্গে আমাদের ওষুধ খাওয়ানো হয়েছিল। এর সঙ্গে ঘুমের ওষুধ মেশানো ছিল। সকালে নাস্তা খাওয়ার জন্য কানদিলকে ডাক দেই, কিন্তু সে সাড়া দেয়নি। পরে কন্যার নিথর দেহটি দেখতে পান বলে জানান অশ্রুসিক্ত আনোয়ার। তিনি আরও বলেন, আমরা নিজেদের সব দুঃখ ও গোপনীয়তা একে অপরকে বলতাম। কানদিলও আমাকে সবকিছু বলত। ও আমাকে বলেছিল, আমি কঠোর পরিশ্রম করছি, অনেক দূরে যাব। আর ছেলেটি তাদের তেমন খোঁজখবর রাখত না বলেও জানান তিনি। মেয়েকে সেরা বন্ধু আর ছেলেকে উন্মাদ উল্লেখ করে মুহাম্মদ আজিম বলেন, আমি বলব ওকে দেখা মাত্র গুলি করা উচিত! আমার ছোট মেয়েকে ও শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করেছে। ওষুধ খাওয়ানোয় আমরা ঘুমিয়ে ছিলাম। তখন আমাদের অবশ্যই ডেকেছে কানদিল।
×