ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ট্রাম্পের মন্তব্যে ন্যাটো মিত্রদের দুশ্চিন্তা

প্রকাশিত: ০৪:১২, ২৩ জুলাই ২০১৬

ট্রাম্পের মন্তব্যে  ন্যাটো মিত্রদের দুশ্চিন্তা

ন্যাটোর ব্যয়ের নিজ নিজ অংশ পরিশোধ করে না এমন মিত্রদের রক্ষা করতে যুক্তরাষ্ট্র এগিয়ে নাও আসতে পারেÑ মার্কিন প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পের এ বিবৃতি বৃহস্পতিবার ইউরোপে দুশ্চিন্তার ছায়াপাত করেছে। রাশিয়ার শক্তি প্রদর্শন, ব্রিটেনের ইউরোপীয় ইউনিয়ন ত্যাগের সিদ্ধান্ত এবং জাতীয়তাবাদী দলগুলোর উত্থান এরই মধ্যে মহাদেশে গভীর অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। খবর নিউইয়র্ক টাইমসের। নিউইয়র্ক টাইমসের সঙ্গে এক সাক্ষাতকারে ট্রাম্প মতব্যক্ত করেন যে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলে তিনি আক্রান্ত হয় এমন কোন ন্যাটো দেশকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি যুক্তরাষ্ট্র পালন করবে কিনা, সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার সময় দেশটির সামরিক ব্যয়ের পরিমাণ বিবেচনা করবেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে প্রেসিডেন্ট ওবামা ও অন্যান্য আমেরিকান কর্মকর্তাও ন্যাটোর প্রতি অঙ্গীকারের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে সামরিক ব্যয় বাড়াতে ইউরোপীয় দেশগুলোর ওপর চাপ দিয়েছেন। কিন্তু ট্রাম্পই রাশিয়ার আক্রমণের জবাবে একজন প্রেসিডেন্ট হিসেবে যে সামরিক নির্দেশ দেবেন, সেটির সঙ্গে আর্থিক বিষয়টি আরও স্পষ্টভাবে জড়িত করে। তার মন্তব্যে কোন কোন ইউরোপীয় নেতা উদ্বিগ্ন যে, ট্রাম্পের অধীনে যুক্তরাষ্ট্র দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে ইউরোপকে যে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিয়ে এসেছে, তা থেকে সরে যাবে। সেই মন্তব্য সামরিক ব্যয়ের প্রতিশ্রুতি পালনে ইউরোপের বছরের পর বছর ধরে শ্লথগতির পরিচয় দেয়ার পর ব্যয় ভাগ করে নেয়া নিয়েও বিতর্ক উস্কে দিয়েছে। ন্যাটো মহাসচিব ও নরওয়ের সাবেক প্রধানমন্ত্রী জেমস স্টলটেনবার্গ বলেন, তিনি মার্কিন নির্বাচনী প্রচারে হস্তক্ষেপ করবেন না, কিন্তু তিনি ট্রাম্পের মন্তব্যে আশঙ্কাবোধ করছেন বলে স্পষ্ট করে দেন। মহাসচিব বলেন, মিত্রদের সংহতি ন্যাটোর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটি ইউরোপের নিরাপত্তার জন্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য ভাল। আমরা একে অপরকে রক্ষা করি। আমরা আফগানিস্তানে তা দেখেছি। সেখানে ইউরোপ, কানাডা ও অংশীদার দেশের হাজার হাজার সৈন্য মার্কিন সৈন্যদের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি আরও বলেন, ইউরোপের শান্তি যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্যও গুরুত্বপূর্ণ বলে দুটি বিশ্বযুদ্ধে দেখা গেছে।
×