ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

উইঘুর জঙ্গীদের আইএসে যোগদান রোধে টার্গেট!

কাশ্মীর সীমান্তে চীন-পাকিস্তান যৌথ টহল শুরু

প্রকাশিত: ০৪:১১, ২৩ জুলাই ২০১৬

কাশ্মীর সীমান্তে চীন-পাকিস্তান যৌথ টহল শুরু

চীন ও পাকিস্তানের সীমান্ত বাহিনী জিনজিয়াং প্রদেশের সঙ্গে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরের সংযোগ রেখায় প্রথমবারের মতো যৌথ টহল শুরু করেছে। শতাধিক উইঘুর ইসলামিক স্টেট (আইএস) গ্রুপে যোগ দেয়ার জন্য এ অস্থিতিশীল এলাকায় পালিয়ে গেছে বলে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর এ যৌথ টহল শুরু করা হয়। খবর অল ইন্ডিয়া ও পিটিআই অনলাইনের। সরকারী সংবাদ সংস্থা এ যৌথ টহল সম্পর্কে রিপোর্ট করেছে। চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং চীনের সমাজ ও নির্দেশনার অংশ হিসেবে চীনা মুসলিমদের ধর্মের চর্চা করার জন্য তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। পিপলস ডেইলি অনলাইন এক ডজন ছবি প্রকাশ করেছে যেগুলোর ক্যাপশনে উল্লেখ রয়েছেÑ পিপলস লিবারেশন আর্মির (পিএলএ) সীমান্ত প্রতিরক্ষা বাহিনী পাকিস্তানের সীমান্ত পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে মিলে চীন পাকিস্তান সীমান্তে এক যৌথ টহল চালাচ্ছে। ছবিতে দেখা যায়, দুই দেশের সশস্ত্রবাহিনীর সৈন্যরা বেশকিছু এলাকায় পদাতিক টহল দিচ্ছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এটাই প্রথম যে, চীন-পাকিস্তান যৌথ টহল শুরু করেছে। যদিও চীন ২০১৪ থেকে এ এলাকায় টহল কর্মসূচী চালিয়ে আসছে। এ যৌথ টহলের ব্যাপারে বিস্তারিত জানা না গেলেও এবং উভয় দেশ কী কারণে এ টহল শুরু করেছে তা বোঝা না গেলেও বিষয়টা শতাধিক উইঘুরের আইএসে যোগদানের জন্য জিনজিয়াং থেকে পালিয়ে যাওয়ার ঘটনার যুগপৎ বলেই বলা হয়েছে। মার্কিন গবেষণা প্রতিষ্ঠান নিউ আমেরিকান ফাউন্ডেশন বৃহস্পতিবার বলেছে, চীনের প্রত্যন্ত পশ্চিমাঞ্চলে মুসলিম সংখ্যালঘুদের ওপর চরম ধর্মীয় কড়াকড়ির কারণে হয়ত ১শ’ ১৪ জন উইঘুর আইএসে যোগদানের জন্য তাদের অঞ্চল ত্যাগ করেছে। কিন্তু তারা আগে সন্ত্রাসী কর্মকা-ের সঙ্গে জড়িত ছিলÑ এমন প্রমাণ পাওয়া যায় না। এতে জিনজিয়াং প্রদেশে ইস্ট তুর্কিস্তান ইসলামিক মুভমেন্টের (ইটিআইএম) উগ্রপন্থী তৈরি করার ওপর চীনের সরকারী তথ্যের ব্যাপারে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। উহঘুররা হচ্ছে মূলত তুর্কিভাষী নৃতাত্ত্বিক গ্রুপ। এদের বাস জিনজিয়াং প্রদেশে। চীন এর আগে উল্লেখ করেছেÑ এ সম্প্রদায়ের বেশকিছু জঙ্গী সিরিয়ায় লড়াই করে এ অস্থিতিশীল প্রদেশে ফিরে এসেছে এবং এখানে সহিংস হামলার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গী গ্রুপ ইটিআইএমের পাকিস্তানে প্রশিক্ষণ ঘাঁটি রয়েছে বলে রিপোর্ট রয়েছে এবং পরবর্তীতে পাকিস্তানের সামরিক বাহিনী চীনের চাপে উইঘুর জঙ্গীদের ঘাঁটি নির্মূলের জন্য ব্যাপক বিমান ও স্থল অভিযান চালায়। বর্তমানে চীন-পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডরের (সিপিইসি) কাজ নির্মাণাধীন। এ করিডরের কাজ সম্পূর্ণ হলে মহাসড়ক, রেল অপটিক কেবল নেটওয়ার্ক ও পাইপলাইনের মাধ্যমে দুই দেশের মধ্যে সংযোগ প্রতিষ্ঠা হবে। ৪ হাজার ৬শ’ কোটি ডলারের এ প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে পাকিস্তানের গোয়েন্দা বন্দরের সঙ্গে জিনজিয়াংয়ের সংযোগ স্থাপিত হবে।
×