ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

মিরপুরে স্যুয়ারেজ লাইনে পড়ে শিশু নিখোঁজ, উদ্ধার অভিযান চলছে

প্রকাশিত: ০৮:৫৯, ২২ জুলাই ২০১৬

মিরপুরে স্যুয়ারেজ লাইনে পড়ে শিশু নিখোঁজ, উদ্ধার অভিযান চলছে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর মিরপুরে কমার্স কলেজের পেছনে একটি পয়োনিষ্কাশন নালায় জুনায়েদ হোসেন সাব্বির নামে চার বছরের এক শিশু পড়ে গেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে শিশুটি পড়ে যায়। পরে পরিবারের সদস্যরা রাত নয়টার দিকে ফায়ার সার্ভিসকে জানালে রাত পৌনে এগারোটার দিকে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধারের চেষ্টা শুরু করেন। ফায়ার সার্ভিসের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্মকর্তা মাহমুদুল হক জনকণ্ঠকে জানান, বিকেল ৩টার দিকে মিরপুর-১ নম্বরে কমার্স কলেজের পেছনে জুনায়েদ নামে চার বছরের একটি শিশু স্যুয়ারেজ নালায় পড়ে যায়। রাতে আমাদের কাছে খবর আসে। দ্রুত ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট ও চারজন ডুবুরি রাত ১০টা ৪০ মিনিটে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান শুরু করে। রাত ২টার দিকে এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত উদ্ধার অভিযান চলছিল বলে ফায়ার কর্মকর্তা মাহমুদুল হক জানান। শিশুটির কোন হদিস এখনও পাওয়া যায়নি। মিরপুর ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার আব্দুল আল আরেফিন জানান, বিকেলে একই এলাকার আমির হোসেনের ছেলে জুনায়েদ হোসেন সাব্বির স্যুয়ারেজ লাইনে পড়ে নিখোঁজ হয়। নিখোঁজ শিশু বাবা গাড়িচালক আমির হোসেন জানান, বিকেল তিনটার দিকে ছেলে জুনায়েদের তার নানার সঙ্গে ওই ময়লা নালার পাশে খেলছিলেন। প্রথমে শিশুটি নানা বিষয়টি খেয়াল করেননি। এর কিছুক্ষণ পর তার নানা দেখেন শিশু জুনায়েদ সেখানে নেই। এরপর থেকে ওই ময়লার নালাতে পড়ে গিয়ে বলে জুনায়েদ খুঁজতে থাকে। ঘটনাটি পুরো চাউর হয়ে পড়েন। এক পর্যায়ে রাত ৯টার দিকে তারা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। তাদের ধারণা শিশু জুনায়েদ এই নর্দমা নালাতে পড়ে গিয়েছে। রাত পৌনে ১০টার দিকে রাত ২টা পর্যন্ত ওই ময়লার ড্রেনেজ নালার এক কিলোমিটার পর্যন্ত ডুবুরি দল বার বার উদ্ধার অভিযান চালিয়ে শিশু জুনায়েদকে না পেয়ে ফিরে এসেছেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানান, খোলা ছয়ফুট চওড়া ও চার ফুট গভীর ওই নর্দমার ড্রেন দিয়ে বাসা বাড়ি পয়োনিষ্কাশনের পানি, ময়লা পানি ও বৃষ্টি পানি পড়ে বয়ে গিয়ে রাজধানীতে গিয়ে বিভিন্ন পয়োনিষ্কাশন পানিতে একাকার হয়ে যায়। উল্লেখ্য, গত ১৩ জুলাই দুপুর আড়াইটার দিকে ড্রেনের পাশে খেলতে গিয়ে পানিতে পড়ে যায় ভ্যানচালক শাহ আলম ও গৃহবধূ রুবি আক্তারের ছোট মেয়ে সানজিদা। বেলা ৩টা থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল উদ্ধার তৎপরতা চালায় রাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। ডুবুরিরা ক্লান্ত হয়ে পড়লে কয়েক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে পরদিন সকাল ৭টা থেকে আবার উদ্ধার অভিযানে নামে তারা। সকাল ৯টা ৫০ মিনিটে শিশু সানজিদার মরদেহ খোঁজে পান ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি ইউনিটের সদস্যরা।
×