ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

লালমনিরহাটে পানিবন্দী ৫০ হাজার মানুষ

প্রকাশিত: ০৪:৩৪, ২২ জুলাই ২০১৬

লালমনিরহাটে পানিবন্দী ৫০ হাজার মানুষ

নিজস্ব সংবাদদাতা লালমনিরহাট থেকে জানান, তিস্তা নদীর ডালিয়া পয়েন্টে তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তা ব্যারাজ সেচ প্রকল্পের ৪৪টি গেট খুলে দিয়ে ভাটিতে পানি প্রবাহিত করা হচ্ছে। একদিনের ব্যবধানে নতুন করে প্রায় ৫০ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। বিশুদ্ধ খাবার পানি ও শুকনো খাবারের তীব্র সঙ্কট দেখা দিয়েছে। জানা যায়, বৃষ্টি ও ভারতের উজান হতে আসা পাহাড়ী ঢলে তিস্তা নদীর পানি হু হু করে বেড়ে চলছে। গাইবান্ধায় ৬০ প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ নিজস্ব সংবাদদাতা, গাইবান্ধা থেকে জানান, তিস্তা, ব্রহ্মপুত্র-যমুনাসহ সব নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। শুধু ব্রহ্মপুত্র নদীর পানি ১২ ঘণ্টায় বেড়েছে ৫ সেমি। তবে এখনও নদীগুলোর পানি বিপদসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় জেলার নদী তীরবর্তী চারটি উপজেলার চরাঞ্চলের ৫০ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ৭টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কক্ষে পানি ওঠায় অঘোষিতভাবে বিদ্যালয়গুলো বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। সাঘাটা, ফুলছড়ি ও সুন্দরগঞ্জ উপজেলার ১২টি পয়েন্টে স্রোতের তোড় বৃদ্ধি পাওয়ায় নদীভাঙ্গনের তীব্রতা বেড়েছে। ওইসব এলাকার ৬ হাজার পরিবারের বসতবাড়িতে পানি ওঠায় গৃহবন্দী হয়ে পড়েছে পরিবারগুলো। সুনামগঞ্জে সড়কে ভাঙ্গন নিজস্ব সংবাদদাতা সুনামগঞ্জ থেকে জানান, সুরমা, খাসিয়ামার, পিয়াইন, যাদুকাটা ও চলতি নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে। বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় সুরমা নদীর পানি ৯০ সেমি ওপর দিয়ে বইছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ১১০ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করছে সংশ্লিষ্টরা। এদিকে ভারতের মেঘালয় থেকে নেমে আসা পাহাড়ী নদী খাসিয়ামারা, পিয়াইন, যাদুকাটা, চলতি নদীর পানির প্রবল স্রোতে ভেঙ্গেছে কাঁচা পাকা রাস্তাঘাট, তলিয়ে গেছে শতাধিক মৎস্য খামার ও পল্ট্রি ফার্ম। জেলার সব কয়টি সীমান্ত নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় নদী তীরবর্তী এলাকায় ব্যাপক ভাঙ্গনের সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণ মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ছে। দোয়রাবাজার উপজেলার খাসিয়ামারা নদীর রাবারড্যামের বেড়িবাঁধের ভাঙ্গন আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। সিলেটে ভাঙ্গনের মুখে ৫ শতাধিক পরিবার স্টাফ রিপোর্টার সিলেট অফিস থেকে জানান, সিলেট সদর উপজেলার মোগলগাঁও ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের ৫ শতাধিক বসতভিটা সুরমা নদীর ভাঙ্গনে হুমকির সম্মুখীন। নদীর তীরবর্তী বাসিন্দারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে জীবনযাপন করছেন। গত ক’দিনের টানা বর্ষণ ও পাহাড়ী ঢলে নদী ভাঙ্গন বৃদ্ধির কারণে ইউনিয়নের নদীর তীরবর্তী যোগিরগাঁও, হাউশা, চানপুর, মোল্লারগাঁও, লালারগাঁও, তালুকপাড়া, খালপার, ফতেপুর, মীরেরগাঁও, ফুলকুচি, পীরেরগাঁও, আকিলপুর, মৌলবীরগাঁও, লাল খাঁ, মাধবপুর, রামকৃষ্ণপুর, টুকেরগাঁও, দশগ্রাম এলাকার ৫ শতাধিক পরিবারের লোক আতঙ্কের মধ্যে দিনাতিপাত করছেন। প্রায় ৩০ বছরের ভাঙ্গন প্রক্রিয়ায় গ্রামের জনবসতি ক্রমশ নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে। ভাঙ্গনের কারণে মসজিদ, মাদ্রাসা, স্কুল, কলেজ, রাস্তা, খেয়াঘাট, খেলার মাঠ, ফসলি জমি, গাছপালা, বসতভিটা বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
×