স্টাফ রিপোর্টার নীলফামারী থেকে জানান, ডিমলা ও জলঢাকা উপজেলার তিস্তা নদী সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকার পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। হাজারো পরিবারকে উঁচু জায়গায় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। দীর্ঘ জীবনে গড়ে তোলা সংসার তিস্তা নদী সব কিছু ল-ভ- করে দিয়ে চলেছে। ফলে জীবনটা বাঁচাতে পরিবারগুলো তিস্তা বাঁধে ঠাঁই নিয়েছে। এদিকে জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের তরফে ত্রাণ বিলি করা হচ্ছে।
নির্ভরযোগ্য সূত্র মতে উজানের ভারি বৃষ্টিপাতে ভারত তাদের গজলডোবা ব্যারাজ হতে ১৩ হাজার কিউসেক পানি তিস্তায় ছেড়ে দিয়েছে। সেই সঙ্গে বৃষ্টির পানিও নেমে এসেছে। এতে ভারতের জলপাইগুড়িতে দোমহনি থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত তিস্তার অসংরক্ষিত এলাকায় লাল সতর্কতা জারি করা হয়। এ খবর পাওয়া যাওয়ার পর বুধবার সন্ধ্যা থেকে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলা তিস্তা নদীর তীরবর্তী চর ও চর গ্রামের সকল পরিবারগুলোকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে মাইকযোগে প্রচারণা চালায় এলাকার জনপ্রতিনিধিরা। এরপর থেকে মানুষজন এখন বাঁধে ও উঁচু স্থানে ঠাঁই নিয়েছে।
এদিকে উজান থেকে ধেয়ে আসা বাংলাদেশে তিস্তার পানির ঢলে নদীর গতিপথ রীতিমতো পাল্টে যাওয়ায় বিশেষ করে ডিমলা উপজেলার টেপাখড়িবাড়ি ইউনিয়নের চরখড়িবাড়ি মৌজার ৭টি চর গ্রামের অস্তিত্ব বিলীন হয়ে যাচ্ছে। ঘরবাড়ি, হাটবাজার, আবাদি জমি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাস্তাঘাট, ব্রিজ কালভার্ট বলতে এখন আর ওইসব এলাকায় কিছুই নেই।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: