ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

চট্টগ্রামে পোশাক শ্রমিক পুলিশ সংঘর্ষ ॥ আহত ১২

প্রকাশিত: ০৪:৩৩, ২২ জুলাই ২০১৬

চট্টগ্রামে পোশাক শ্রমিক পুলিশ সংঘর্ষ ॥ আহত ১২

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার টেক্সটাইল মোড় এলাকায় পোশাক কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে ৮ পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চৌধুরী এ্যাপারেল নামের এক পোশাক কারখানার দুই সুপারভাইজারকে চাকরি থেকে বরখাস্তের ঘটনার জের ধরে উত্তেজিত শ্রমিকদের সঙ্গে এ সংঘর্ষ হয়। কারখানাটির সুপারভাইজার মহিউদ্দিন ও মনিরকে মালিকপক্ষ গত বুধবার চাকরি থেকে বহিষ্কার করে। বৃহস্পতিবার এ খবর জানাজানি হলে শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। একপর্যায়ে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দুই শতাধিক নারী শ্রমিক কারখানার বাইরে এসে সড়কে অবস্থান নেন। এতে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। উত্তেজিত শ্রমিকদের রাস্তা থেকে পুলিশ সরাতে গেলে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ও একপর্যায়ে সংঘর্ষ বেধে যায়। বায়েজিদ বোস্তামী থানা সূত্রে জানা যায়, শ্রমিকদের ছোড়া ইটের আঘাতে আহত হন ওসি মহসিন, কনস্টেবল আনিসুল ইসলাম ও শিল্প পুলিশের এক সদস্যসহ মোট ৮ পুলিশ। এছাড়া ৪-৫ জন শ্রমিকও আহত হন। তাদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ও স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা দেয়া হয়। সাভারে আহত ১০ নিজস্ব সংবাদদাতা সাভার থেকে জানান, সাভারে একটি তৈরি পোশাক কারখানার শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ও গুলির ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন ২০ শ্রমিক। বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের রাজফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় নাসা গ্রুপের ‘গোল্ডেন স্টিচ ডিজাইন গার্মেন্টস’ নামক পোশাক কারখানায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। জানা গেছে, বুধবার ওই পোশাক কারখানার জুন মাসের প্রায় ১৩শ’ শ্রমিকের বেতন ও ওভারটাইম পরিশোধ করে কর্তৃপক্ষ। বেতন ও ওভার টাইমের টাকা মালিকপক্ষ কম দিয়েছেÑ এ অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার সকালে শ্রমিকরা কারখানায় প্রবেশের পর কাজে যোগ না দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন এবং পরে বাইরে বের হয়ে এসে মহাসড়কের রাজফুলবাড়িয়া বাসস্ট্যান্ড অবরোধ করে রাখেন। খবর পেয়ে সাভার মডেল থানা ও শিল্প পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে শ্রমিকদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেয়ার চেষ্টা করলে পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের সংঘর্ষ ও ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ কয়েক রাউন্ড রাবারবুলেট ছুড়ে বিক্ষোভরত শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এ সময় মহাসড়কে ঘণ্টাখানেক যান চলাচল বন্ধ থাকে। রূপগঞ্জে বন্ধ কারখানা চালু নিজস্ব সংবাদদাতা রূপগঞ্জ থেকে জানান, উপজেলার বরপা এলাকার অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হওয়া রফতানিমুখী অন্তিম নিটিং ডাইং এ্যান্ড ফিনিশিং ও অন্তিম নীট কম্পোজিট কারখানা ফের চালু করেছেন কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে সাধারণ শ্রমিকরা কারখানায় প্রবেশ করে কাজ শুরু করেন। এর আগে, বিভিন্ন অভিযোগে ৩৭৪ শ্রমিককে ছাঁটাই করে মালিকপক্ষ। কারখানা চালু হওয়ার পর ছাঁটাইকৃত শ্রমিকদের সঙ্গে মালিকপক্ষের সমাঝোতা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। জানা গেছে, গত ১৭ জুলাই উপজেলার বরপা এলাকার রফতানিমুখী অন্তিম নিটিং ডাইং এ্যান্ড ফিনিশিং ও অন্তিম নীট কম্পোজিট কারখানাটি কিছু শ্রমিকদের উশৃঙ্খলতার কারণে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছিল কর্তৃপক্ষ। এছাড়া ৩৭৪ শ্রমিককে ছাঁটাই করা হয়। ওই দিনই শ্রমিকরা তাদের দাবি আদায়ে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়ায় আন্দোলন করেছিল। অবশেষে সাধারণ শ্রমিকদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার থেকে কারখানার সকল কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
×