স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ নগরীর ছোট বনগ্রাম এলাকায় অবস্থিত জামিয়া রহমানীয়া নামের একটি হাফেজিয়া মাদ্রাসার প্রধান হুজুরের বিরুদ্ধে শিশু শিক্ষার্থী নির্যাতনের গুরুতর অভিযোগ উঠেছে। ১৩ বছরের আবাসিক শিক্ষার্থীর সঙ্গে অনৈতিক আচরণ ও নির্যাতনের ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ সেই হুজুর আব্দুল জব্বার জিহাদীকে গ্রেফতার করে হাজতে পাঠিয়েছে। পুলিশের কাছে দেয়া নির্যাতনের শিকার শিশুর জবানবন্দীতে হুজুরের নির্যাতনের চিত্রে অবাক হয়েছেন অনেকেই। বৃহস্পতিবার ওই শিশুর জবানবন্দী রেকর্ড করা হয়েছে।
নির্যাতনের শিকার ওই শিশু পুলিশকে জানায়, ‘হুজুর প্রায় রাতেই হোস্টেলে আসতেন। পা টিপে দেয়ার নামে সব ছাত্রের সামনে থেকেই তাকে তার ঘরে নিয়ে যেতেন। তারপর অনৈতিক কাজে লিপ্ত হতেন। বাধা দিলে ক্লাসে প্রচুর মারতেন। তাই মাদ্রাসায় পড়ব না বলে অনেক দিন বাড়ি পালিয়ে গেলেও রক্ষা হয়নি। বাড়িতে এসব কথা বলতে না পারায় বাবা ফের মাদ্রাসায় দিয়ে আসতেন। তারপর আবার সেই হুজুর নির্যাতন করতেন। বৃহস্পতিবার সকালে নগরীর বোয়ালিয়া থানার ডিউটি অফিসারের কক্ষে এভাবেই নির্যাতনের কথা জানাচ্ছিলেন ওই শিশু।
শিশুটির বাড়ি নগরীর কলাবাগান এলাকায়। জামিয়া রহমানীয়া মাদ্রাসায় সে হেফজ বিভাগের আবাসিক শিক্ষার্থী। মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আবদুল জব্বার জিহাদী। হাত-পা টিপে দেয়ার নাম করে অধ্যক্ষ প্রায়ই তাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে পাশবিক নির্যাতন চালাতেন। কখনও তার ঘরে, আবার কখনও আবাসিক ভবনের নিচতলায় নির্যাতন চলত। সবশেষ গত ২২ রোজার রাতে তারাবি শেষে তাকে নির্যাতন করেন অধ্যক্ষ।
বোয়ালিয়া থানার ওসি শাহাদাত হোসেন খান জানান, অধ্যক্ষ আবদুল জব্বার জিহাদীর গ্রামের বাড়ি সিরাজগঞ্জে। তার বাবার নাম ফকির মাহমুদ। গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ভিকটিমকে সঙ্গে এনে তার বাবা-মা মামলা করেন। এরপরই রাতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বুধবার বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। আদালতে অধ্যক্ষ জিহাদীর রিমান্ডেরও আবেদন করা হয়েছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: