ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

মানুষের ঐক্য মানুষই গড়বে

প্রকাশিত: ০৪:২৯, ২২ জুলাই ২০১৬

মানুষের ঐক্য মানুষই গড়বে

দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘জাতীয় ঐক্য ইতোমধ্যেই সৃষ্টি হয়েছে।’ আসেম সম্মেলন উপলক্ষে উলানবাটোরে গিয়েছিলেন। সেখানেও তিনি জাপানের প্রধানমন্ত্রীসহ কয়েকজনের সঙ্গে জঙ্গীবাদ প্রতিরোধ নিয়ে আলোচনা করেছেন। তাঁরা বাংলাদেশের পাশেই আছেন, থাকবেন, এমনটাই জানিয়েছেন। সম্মেলনে জঙ্গীবাদ প্রসঙ্গে গুরুত্বসহকারে আলোচনাও হয়েছে। সেখান থেকে ফিরেই এ সংবাদ সম্মেলন করলেন। ফলে জঙ্গীবাদই প্রশ্নোত্তরে প্রাধান্য পেয়েছে। সংবাদপত্রে পড়লাম, সন্ত্রাস ও জঙ্গী প্রসঙ্গে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়ার ‘জাতীয় ঐক্য’ প্রতিষ্ঠা প্রসঙ্গে তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলে শেখ হাসিনা বলেন, ‘জাতীয় ঐক্য ইতোমধ্যেই সৃষ্টি হয়ে গেছে। যারা যুদ্ধাপরাধী, জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসে জড়িত এবং যারা পুড়িয়ে মানুষ মারে তাদের কথা আলাদা। এদের বাইরে যাদের ঐক্য হলে সত্যিকার অর্থে সন্ত্রাস দূর করা সম্ভব তাদের ঐক্য হয়ে গেছে।’ প্রধানমন্ত্রী বাস্তব প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। পক্ষান্তরে বিএনপি তাদের দেশের দল এমনকি সামাজিক সংগঠনগুলো যে ‘জাতীয় ঐক্য’ ‘জাতীয় ঐক্য’ বলে চিৎকার করছে অনবরত অথচ নিজেরা আজ পর্যন্ত ঐক্যের পক্ষেও কোন জমায়েত করতে পারেনি। মুখেই ‘বাচালতা’ করে ১৪ দলীয় সরকারকে জনগণের কাছে বেকায়দায় ফেলতে চেষ্টা করছে। এই বিএনপি-জামায়াত জোটের ২০ দল যৌথ বৈঠক করেছে কিন্তু ‘বহারম্ভে লঘুক্রিয়া’ই-হয়েছে। জনগণকে কোন পজিটিভ রেজাল্ট দিতে পারেনি। নিজেরাও কোন ঐক্য প্রতিষ্ঠা করেও দেখাতে পারেনি। কি দুর্ভাগ্য। এদিকে রাজনৈতিক দল, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন পেশাজীবী প্রতিষ্ঠান একত্রিত হয়ে লড়াইয়ের আহ্বান জানিয়ে জনগণের সঙ্গে নিয়ে পাশে দাঁড়াবার অঙ্গীকার করে ইতোমধ্যেই কর্মসূচী ঘোষণা করছে। গণজাগরণ মঞ্চ মাসব্যাপী দেশজুড়ে কর্মসূচীর ডাক দিয়েছে। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট শহীদ মিনারে প্রতিবাদী সভা করেছে এবং ২৩ জুলাই শাহবাগ থেকে গুলশান প্রতিবাদী পদযাত্রা করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছে। দেশের সর্ববৃহৎ সাংস্কৃতিক সংগঠন উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী ২২ থেকে ২৮ জুলাই সারাদেশে তিন শতাধিক শাখাকে এই প্রতিবাদ সপ্তাহ পালনের আহ্বান জানিয়েছে। বিভিন্ন নারী সংগঠন প্রতিরোধের প্রস্তুতি হিসেবে ইতোমধ্যেই মতবিনিময় ও কর্মসূচী নিয়ে আলোচনা করেছে। যুব, শ্রমিক, ছাত্র ফ্রন্ট এবং সংস্কৃতি সংগঠন মিলে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য আরও যেসব সংগঠন রয়েছে, তাদের সঙ্গে মতবিনিময়ের মাধ্যমে ব্যাপক এবং জনগণ সম্পৃক্ত কর্মসূচী গ্রহণে হত্যা ধর্ষণ ও জঙ্গীবাদ বিরোধের গণ-আন্দোলন নামে একটি মোকাবেলা ফ্রন্ট তৈরির প্রস্তুতি গ্রহণ করে মাঠে নেমেছে। দেশ পরিচালনায় নিয়োজিত ১৪ দলীয় জোট ইতোমধ্যেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সর্বস্তরের জনগণের প্রতিবাদী সমাবেশ করেছে এবং তারা দেশব্যাপী পাড়া-মহল্লায় প্রতিরোধ কমিটি গঠনের আহ্বান জানিয়েছে। অন্যদিকে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল, গণতন্ত্রী পার্টি, বাম গণতান্ত্রিক ফ্রন্ট প্রতিবাদে সোচ্চার এবং নানা কর্মসূচী নিয়ে জনগণের কাছে পৌঁছে গেছে। একাত্তরের মুক্তিযোদ্ধাদের মধ্যে দারুণ প্রতিক্রিয়া এবং সংগঠিত প্রতিরোধ গড়ে তোলার কথা ভাবছেন। এমনি করে বৃহত্তর জনগোষ্ঠী দলীয় কিংবা দলবিহীন হয়েও সংঘবদ্ধ হবার চেষ্টা করছে। গ্রাম-গঞ্জে, হাটে-বাজারে, শহর-নগরে সচেতনতার ঢেউ লেগেছে। আওয়াজ উঠেছে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রতিরোধের শক্তি গড়ে তুলতে। চলছে প্রস্তুতি সর্বত্র। অচিরেই বাংলা গর্জে উঠবে বজ্রকণ্ঠে মিলিত শক্তির বৈভবে-আঘাত হানবে শত্রুর ডেরায়। বলীয়ান ঐক্যের শক্তিতে জনতার মিছিল দুর্ভেদ্য প্রাকার গড়ে তুলবে জনতার। দুষ্কৃতি দুশমন নরপিশাচের দল ধর্মের নামে অন্ধত্ব ছড়িয়ে বাংলার নবপ্রজন্ম তরুণ সমাজের বুদ্ধিমত্তকে বিকৃত করে কিংবা মাদ্রাসার কিশোর ছাত্রদের দারিদ্র্যের সুযোগ নিয়ে অর্থ দিয়ে কিনে নিয়ে ওদের জঙ্গীবাদী, সন্ত্রাসী হতে আকৃষ্ট করছে, বেহেশতের দরজায় পৌঁছে দেয়ার গল্প শোনাচ্ছে। এই বিত্তবান ও বিত্তহীন দুই শ্রেণীর তারুণ্যকে বিকৃত মানসিকতায় মানবিকতাহীন আত্মঘাতী পথে হাতে ধরে নিয়ে আসছে, প্রশিক্ষণ দিয়ে ‘নাস্তিক, আপত্তিকর মুসলিম, বিদেশী নাছাড়াদের হত্যা পয়গাম শুনিয়ে বুঁদ করে ‘চাপাতি’ হাতে ছেড়ে দিচ্ছে ‘ধর্মের পথে’। কি নিষ্ঠুর বয়ান দিচ্ছে, বিকৃত বিশ্লেষণ শোনাচ্ছে। তারপর যখন সে পারঙ্গম হয়ে উঠছে, নিষ্ঠুর চাপাতি চালক হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। এরা যখন জানবাজ হয়েও নিজের জান বাঁচাতে পারছে না, দেশের বিভিন্ন এলাকায় প্রশিক্ষণ শেষে আস্তানায় ধরা পড়ছে কিংবা এনকাউন্টারে নিজেদের প্রাণ নির্দ্বিধায় বিলিয়ে দিচ্ছে দুস্থ, দুষ্টচিন্তায় প্রতারণার ফাঁদে পড়ে, তখন আর তাদের ফেরার পথ থাকছে না। তখন তাদের হুজুর, উস্তাদ কিংবা ‘শিক্ষিত বিপথগামী শিক্ষকরা কেউ আর তাদের বাঁচাতে আসে না। এর পর পরই বাড়ি থেকে দীর্ঘদিন নিখোঁজ ঘরের সুস্থ হাসিখুশি ছেলেটা, বিদ্যায়তনের মেধাবী শিক্ষার্থীর অসার দেহটা দেখে যখন পরিচয় মেলে, তখন মা-বাবা হতবাক হয়ে যান। তখন করার আর কিছুই থাকে না। তখন সে লাশÑ অপ্রিয় শবদেহ। কোন মা-বাবা শত হলেও ছেলের লাশ, যত ভারিই হোক তবু নিতে চান না। কতটা ঘৃণা এবং নিজের ব্যর্থতা তাদের কুরে কুরে খায়। আর সেই করুণ পরিণতির শিকার হয়ে হাসপাতালের মর্গ থেকে ছেলের লাশটাও নিতে আসেন না। জাতির কাছে ক্ষমা চান তখন সন্ত্রাসী সন্তানের জন্য। যে কেউ বুঝবেন এই হৃদয় বিদায়ক দুঃখ ভারাক্রান্ত হৃদয়ের আর্তি, কিন্তু কেউ তাঁদের এমন দুঃখে শামিল হন না, ভয়ে অথবা ঘৃণায়। এ অবস্থা কেন সৃষ্টি হয়? পরিবার তো অবশ্যই দায়ী তাদের দায়িত্বহীন অভিভাবকত্বের কারণে। কিন্তু যে বিদ্যালয় কিংবা বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা পড়তে যাচ্ছে, তারা কি করছে? কারিকুলাম কি মেনে চলছে? পরিচালকদের নির্দেশ মেনে চলছে তারা? ইংরেজী মাধ্যমে স্কুল বিখ্যাত বৃহৎ বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন এমন ঘৃণ্য চক্রের আস্তানা গড়ে উঠছে মসজিদকে ঘিরে, কর্তৃপক্ষ কেন খবর রাখছে না, কি হচ্ছে নামাজের পর? জানি, বিশাল ছাত্রছাত্রী সংখ্যার মধ্যে কজনই বা এমন অবাধ্য নিষ্ঠুর পথ বেছে নিচ্ছে, তবু যখন জঙ্গী সন্ত্রাসী হিসেবে তাদের পরিচয় বেরিয়ে আসছে, তখন কিন্তু সেই বিদ্যা নিকেতনের সুনাম ক্ষুণœ হচ্ছে। এবারে তো বার বারই একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম উচ্চারিত হচ্ছে। এদের মালিক, পরিচালক কারা? শিক্ষকম-লীতে জাতিবিদ্বেষী, মুক্তিযুদ্ধবিরোধী নানান জনকে (শীর্ষ জামায়াত নেতার সন্তান) কেন পালছেন? যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় ঘোষণার পর যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানদের প্রতিক্রিয়া কি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রত্যক্ষ করেননি? তারপরও তাদের কি করে শিক্ষকম-লীতে রেখেছেন? এরা থাকলে বাবার ফাঁসির প্রতিহিংসায় উন্মত্ততা পুষে রাখবে বুকে এবং সুযোগ পেলেই বিষাক্ত ছোবলে ছাত্রদের জর্জরিত করবে। আর মাদ্রাসায় যারা পড়ে, তারা কারা, কোন শ্রেণী থেকে আসে, তাদের আর্থিক অবস্থাই বা কি? সে তো আমরা জানিই, তাই ওরা জান কোরবান করতে মত্ত হয়ে যায়। হেফাজতে ইসলাম নামে আহমদ শফীর সংগঠনটি ২০১৩ সালে ঢাকায় যে তা-ব চালিয়েছিল, তাতে কারা এসেছিল, কোন বয়সের ছেলে তারাÑ আমরা তো দেখেছি। জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী ছাত্রশিবির, একাত্তরে আলবদর আলশামস ও রাজাকার বাহিনী দিয়ে নির্মম হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল, এরা যে নানা নামে তাদেরই উত্তরসূরি, তাতো সবাই জানেন। তাই তো সেই হিংস্র নরককীটগুলোর পরিকল্পিত হত্যাকা- মুক্তিযুদ্ধোত্তর বাংলায় বঙ্গবন্ধু হত্যার পর থেকেই দেখে আসছি। রগকাটা থেকে শুরু করেছিল ওদেরই সহপাঠীদের ওপর। তারপর হত্যার যন্ত্র পাল্টেছে। ইদানীং নয়, বেশ কয়েকবছর হলো গুলি তো আছেই, সঙ্গে এখন চাপাতি প্রধান ভূমিকা পালন করছে। এই চাপাতি, দু’এক জায়গায় তলোয়ার দেখছি এই নৃশংস নপুংশকদের হাতে। রাজীব, নীলাদ্রি, বাবু, অভিজিৎ, দীপন- এমন কতজনকে যে হত্যা করেছে, করে চলেছে, কিন্তু কোনটারই বিচার সঠিকভাবে হচ্ছে না। ফলে এসব নৃশংস ভীরু কাপুরুষের দল একের পর এক মানুষ হত্যা করে যাচ্ছে। সুতরাং, এদের নাম অনেক গিরগিটি যেমন তার রং বদলায়, এই পিশাচগুলো বিভিন্ন সময় নানা নামে আত্মপ্রকাশ করে। উৎসতো সেই জামায়াত, মওদুদীবাদী হিংস্র জাতকশ্রেণী। ইসলামের বিকৃত ব্যাখ্যা দিয়ে মওদুদী যে জ্ঞান ও আচরণ শিখিয়ে গেছে; তাকেই গ্রহণ করে আজও তাই এস্তেমাল করে যাচ্ছে, ইসলামের বিধান তারা তোয়াক্কা করে না। তাই দেখবেন বিশ্বের যেখানেই যে সন্ত্রাসী সাম্প্রদায়িক জঙ্গীগোষ্ঠীর আবির্ভাব ঘটেছে, তাদের কিন্তু মৌলিক, তাত্ত্বিক এবং বাস্তবিক কোন পার্থক্য নেই। সুতরাং নাম নিয়ে ভেবে লাভ নেই, ওদের কাজটা হলো হন্তারক, তাই আত্মঘাতীও। এদের চিহ্নিত করতে সমাজকেও সচেতন হতে হবে। খেয়াল করে দেখবেন, বর্তমান সরকার ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুদ্ধাপরাধী বিচার ও শাস্তি প্রদান শুরু হওয়ার পর ওরা প্রাণ বাঁচানোর জন্য অস্তিত্ব হারাবার আশঙ্কায় মরিয়া হয়ে উঠেছে। ওদের তো অর্থ আছে। বিদেশে অর্থ ব্যয়ে লবিস্ট আছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও ওরা সেভাবে পারে, যার সঙ্গে পারে, গোপনে গাঁটছড়া বেঁধে হত্যাকা- করে যায়। ধর্ম মানে না। পেশার তোয়াক্কা করে না। মুক্তমনের লেখক-প্রকাশক, অনলাইন এ্যাক্টিভিস্ট বৌদ্ধভিক্ষু, ধর্মযাজক, পুরোহিত, সাধু, সেবায়েত, দর্জি, হোমিওপ্যাথি ডাক্তার, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক, ইমাম, মোয়াজ্জিন-কাউকে মানছে না, একের পর এক মানুষ হত্যা করে যাচ্ছে। কারণ ধর্মের দোহাই দিলেও ওদের ধর্মের বালাই নেই। ওরা মানুষ মারতে অভ্যস্ত। এখনও তাই করছে। গুলশান হত্যাকা-ের হিংস্রতার বিবর্ণ নানাভাবে পড়েছি, শুনেছি। ক্রমশ ঐসব ধনীর দুলালদের তারুণ্য কিভাবে তাদের বয়সী ছেলে এবং মেয়েদের হত্যা করেছে! বিদেশীদের হত্যা করাই নাকি তাদের উদ্দেশ্য ছিল। তাহলে বাঙালী দুই মেয়ে এবং অন্য মহিলাদের হত্যা করার পরও কেন চাপাতির আঘাতে জর্জরিত করেছে? এই নিষ্ঠুরতাই ওদের প্রশিক্ষিত চরিত্র। এটাই ওদের শিক্ষা। জামায়াতের যে কোন লোকের আদব কায়দা, আচার ব্যবহার দেখলে ঠিক মনে হয় সে এমন নৃশংস, কিন্তু কাহিনী যখন উদ্ঘাটিত হলো তখন দেখা গেল, ওরা নরপিশাচ। সাধারণ মানুষকে এমনিভাবে ভুলিয়ে মন জয় করেই তরুণদের এবং সরলপ্রাণ মানুষকে তাদের দলে ভেড়ায়। এখন সকলকেই সতর্ক থাকতে হবে এসব নরককীট থেকে। শেখ হাসিনা দুর্দান্ত সাহসের সঙ্গে জাতিসংঘ, মার্কিন নেতৃত্ব সকলের অনুরোধ উপেক্ষা করে যদি যুদ্ধাপরাধীদের শায়েস্তা না করতেন, তাহলে এদের নৃশংসতা যা দেখছি তা থেকেও আরও বেড়ে যেত। তাঁর দৃঢ়সঙ্কল্প এবং অবিচল সিদ্ধান্ত আজ দেশকে যুদ্ধাপরাধী মুক্তির পথে নিয়ে যাচ্ছে। তেমনি জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে তাঁর যে সচেতন ও পরিকল্পিত সিদ্ধান্ত, তার ফলপ্রসূ পরিস্থিতির ক্রমবিকাশ লক্ষ্য করছেন দেশবাসী। ব্যর্থতার উত্তরণে সঙ্কট মোচন এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপে দেশ আজ শক্তি সঞ্চয় করছে নানা স্তরের মানুষের ঐক্যবদ্ধতায়। বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা অবশ্যই অসাম্প্রদায়িক বিশিষ্টতায় নিজেকে গড়ে তুলবে, এই প্রত্যাশা সব মানুষের। তাদের ‘জাতীয় ঐক্য’-এর তথাকথিত আঙ্গুর ফলের দিকে তাকিয়ে থাকতেই হবে, পথে নামতে পারবে না। শেষ কথা বলি : খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধ এবং বাংলাদেশের অভ্যুদয় বিশ্বাস করতেন না বলেই তার দলে হ-য-ব-র-ল অবস্থা। এটা কাটিয়ে ওঠা ওদের পক্ষে বড় কঠিন। এখন কৌশল করে গোপনে জামায়াতের দোস্তি বজায় রেখে ‘জাতীয় ঐক্য’-এর পথ খুঁজছেন। নির্মম ব্যর্থ্যতাই তার পরিস্থিতি। লেখক : সিনিয়র সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব
×