ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মুসান্না সাজ্জিল

বিজ্ঞাপনে গানের মানুষ

প্রকাশিত: ০৬:৪৭, ২১ জুলাই ২০১৬

বিজ্ঞাপনে গানের মানুষ

বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় গায়ক, গীতিকার, সুরকার, অভিনেতা, মডেল, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক এবং উপস্থাপক তাহসান খান। প্রতিটি ক্ষেত্রে সমান জনপ্রিয়। জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পী তাহসানের গানের হাতেখড়িটা হয়েছিল ছায়ানটে। সেখান থেকে ছয় বছর রবীন্দ্রসঙ্গীত শিখেছেন। পরে তিনি ও আরও কয়েকজন যুবক মিলে গঠন করেন ব্যান্ডদল ব্ল্যাক। পরবর্তীতে তিনি ব্যান্ডদল থেকে আলাদা হয়ে নিজস্ব ধারার গানে সম্পৃক্ত হন। ব্ল্যাক ব্যান্ড ত্যাগ সম্পর্কে তাহসান বলেন, ব্ল্যাক ব্যান্ডের সবাই এখনও আমার ভাল বন্ধু। আসলে ওঁরা অল্টারনেটিভ রক ধাঁচের গান করতে চেয়েছে। আর আমি সেøা ব্যালেড ধাঁচের গান করি। তাই আমি ওঁদের ইচ্ছাকেই সম্মান জানিযয়েছি। নিজের ইচ্ছাকে জোর করে চাপিয়ে দিতে চাইনি। প্রতিটি ক্ষেত্রেই সমান জনপ্রিয় তাহসান। এবার গ্রামীণফোনের ব্র্যান্ড এ্যাম্বাসেডরও হয়েছেন। তাঁর গ্রামীণফোন থ্রিজি নেটওয়ার্ক এখন সর্বাধিক আলোচনায়। ‘ব্ল্যাক’ ব্যান্ড গড়ে সঙ্গীতশিল্পী তাহসান অল্পদিনের মধ্যেই দেশজুড়ে নাম ছড়িয়ে পড়ে। এর পরপরই পশ্চিমবঙ্গের জনপ্রিয় লেখক সুচিত্রা ভট্টাচার্যের উপন্যাস অবলম্বনে ‘কাছের মানুষ’ ধারাবাহিক নাটকের মধ্যদিয়ে টেলিভিশন পর্দায় প্রবেশ। সেই নাটকে অসাধারণ অভিনয় করেন তাহসান। আর মডেল তাহসান প্রথম আলোচনায় আসেন পন্ডস ফেসওয়াশের বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে। এতে তাহসানের বিপরীতে ছিলেন জেনি। তাহসান বলেন, পন্ডসের ওই বিজ্ঞাপনে জেনির প্রতি আমার মুগ্ধ হয়ে যাওয়ার একটা ব্যাপার ছিল। বিষয়টা ছিল, একটা মেয়েকে আমি ক্লাসে কখনই খেয়াল করিনি। কিন্তু পন্ডস ফেসওয়াশ ব্যবহারে তাঁর চেহারায় যে লাবণ্য আসে, তাতে মুগ্ধ না হয়ে পারি না। এমনকি আমি তাকে পিৎজা খাওয়ার অফার করে বসি! বিজ্ঞাপনটি বেশ আলোচিত হয়। এরপর অনেক বিজ্ঞাপন করেছেন তাহসান। সম্প্রতি বিদ্যা সিনহা মিমের সঙ্গে গ্রামীণফোন থ্রিজি নেটওয়ার্কের বিজ্ঞাপন করে আবার আলোচনায় এই তারকা। গ্রামীণফোন থ্রিজি নেটওয়ার্ক নিয়ে সম্প্রতি তিনটি নতুন বিজ্ঞাপন তৈরি হয়েছে। তাহসান বললেন, বিজ্ঞাপনগুলোতে দেখানো হয়েছে, পছন্দের মানুষ যত দূরেই যাক না কেন, সম্পর্কের দূরত্ব বাড়বে না কখনই। এতে আমার স্ত্রীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন বিদ্যা সিনহা মিম। প্রথম বিজ্ঞাপনটিতে একজন সফল সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে তাহসান বিয়ে করেন পেশাদার আলোকচিত্রী মিমকে। কাজের তাগিদে মিমকে একাই বিভিন্ন সময় বিভিন্ন অঞ্চলে ছুটে যেতে হয়। একটা আন্তঃনগর ট্রেন। শোভন চেয়ারে বসে আছেন মিম। সামনের টেবিলে তাঁর ক্যামেরা রাখা। রোয়াংছড়ির পথে ছুটছেন। হঠাৎ তাহসানের ফোন ভাবলাম মিস করছ। তাই দিলাম কল। বিজ্ঞাপনটি নির্মাণ করেছেন আদনান আল রাজীব। তাহসান জানান, প্রতিটি বিজ্ঞাপনেই একটি চমৎকার গল্প রয়েছে। বিজ্ঞাপনটি ক্যামেরায় তুলে এনেছেন কামরুল হাসান খসরু। শূটিং হয়েছে ঢাকা ও বান্দরবানে। শূটিং অধিকাংশ সময়ই নাকি বোরিং হয়। কিন্তু তাহসান জানালেন ভিন্ন কথা। গ্রামীণফোনের এই বিজ্ঞাপনগুলো করতে গিয়ে স্মরণীয় কিছু ঘটনার সম্মুখীন হয়েছেন। কেমন? তাহসান বলেন, বান্দরবানে শূটিং করছি। রাত তখন ৯টার মতো বাজে। পাহাড়ে রাত ৯টা মানে মধ্যরাত। ইউনিটের কয়েকজন বলল, রাতের খাবার বাইরে খাব। বাইরে বলতে বান্দরবান শহর থেকে প্রায় ১৫-১৬ কিলোমিটার দূরে পাহাড়ীদের একটা রেস্টুরেন্টে চাঁদের গাড়িতে (পাহাড়ে চলে এমন জিপ) রওনা হয়ে গেলাম। কী ভয়ঙ্কর পাহাড়ী পথ। একটু এদিক-ওদিক হলেই পাহাড়ের খাদে পড়তো।
×