ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

কী জাদুমন্ত্রে কৃষিতে এত উন্নয়ন- জানতে আসছেন বিদেশীরা ॥ মতিয়া

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ২১ জুলাই ২০১৬

কী জাদুমন্ত্রে কৃষিতে এত উন্নয়ন- জানতে আসছেন বিদেশীরা ॥ মতিয়া

সংসদ রিপোর্টার ॥ বিশ্বের অনেক দেশের বিশেষজ্ঞরা বাংলাদেশে এসে কৃষি খাতে ব্যাপক সাফল্যের রহস্য জানতে চাইছেন বলে মন্তব্য করেছেন কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী। বুধবার জাতীয় সংসদে প্রশ্নোত্তর পর্বে কৃষি খাতে বর্তমান সরকারের আমলে সাফল্য তুলে ধরে কৃষিমন্ত্রী বলেন, কিছুদিন আগে নেপাল থেকে কয়েকজন বিশেষজ্ঞ এসেছিলেন। তারা জানতে চেয়েছেন কীভাবে বাংলাদেশের কৃষিতে এত উন্নয়ন সম্ভব হচ্ছে। একই প্রশ্ন করেছেন আরও বেশ কয়েকটি দেশের বিশেজ্ঞরা। পোকামুক্ত উচ্চফলন জানাটাই তাদের আসল উদ্দেশ্য। তাঁরা বলেছেন কী যাদু-মন্ত্রতে তোমরা কৃষিতে এত উন্নয়ন করতে পারছো। আমরা তাদের জানিয়েছি এটা সম্ভব হচ্ছে একমাত্র প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার নেতৃত্বগুণে। তাঁর সফল নেতৃত্বে ও কৃষক ভাইদের অক্লান্ত পরিশ্রমে আমাদের কৃষিকে উন্নতির দিকে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে। নিজাম উদ্দিন হাজারীর প্রশ্নের জবাবে মতিয়া চৌধুরী জানান, উৎপাদিত পণ্য ন্যায্যমূল্যে বাজারজাত এবং মান নিয়ন্ত্রণে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সরাসরি কোন কার্যক্রম নেই। তবে বেসরকারী পর্যায়ে কৃষি ব্যবসায় জড়িত বিভিন্ন উদ্যোক্তাদের মাধ্যমে ঢাকা মহানগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পাইলট বেসিস কৃষিপণ্য বাজারজাতকরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এ কার্যক্রমের আওতায় উদ্যোক্তাগণ কৃষি বিপণন অধিদফতরের সৃষ্ট কৃষক বিপণন দলের অংশগ্রহণের সীমিত আকারে কৃষিপণ্য বাজারজাত করা হচ্ছে। সরকারী দলের সংসদ সদস্য মনিরুল ইসলামের প্রশ্নের জবাবে কৃষিমন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকার কৃষকের চাষাবাদ আধুনিক পদ্ধতিতে করার জন্য কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের অধীনে খামার যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প ২য় পর্যায় গ্রহণ করেছে। খামার যান্ত্রিকীকরণের মাধ্যমে শতকরা ৩০ ভাগ ভর্তুকিতে বিভিন্ন কৃষি যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হচ্ছে। এছাড়া হাওড় এলাকায় ১০ কোটি ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে ১০০টি রাইস ট্রান্সপ্লান্টার ও ২৭৫টি রিপার যন্ত্র সরবরাহের মাধ্যমে দ্রুত শস্য রোপণ, কর্তন ও আহরণ করে সর্বোচ্চ ফসল উৎপাদন নিশ্চিতকরণে প্রণোদনা কর্মসূচী বাস্তবায়িত হচ্ছে। বিশ্বের সবচেয়ে বিপন্ন দেশ বাংলাদেশ ॥ সরকারী দলের সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে পরিবেশ ও বনমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু জানান, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে বিশ্বের বিপন্ন কয়েকটি দেশের মধ্যে একটি। জার্মান ওয়াচ কর্তৃক প্রকাশিত রিপোর্টে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে সৃষ্ট প্রাকৃতিক দুর্যোগের সর্বোচ্চ ঝুঁকির সূচকে বাংলাদেশের অবস্থান ছয় নম্বরে। তিনি জানান, জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে বন্যা, খরা, সাইক্লোন ও লবণাক্ততার প্রকোপ বৃদ্ধি এবং সমুদ্রতলের উচ্চতা বৃদ্ধি আমাদের প্রবৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করছে। এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক এডিপি কর্তৃক ২০১৪ সালের জুনে প্রকাশিত গবেষণায় দেখা গেছে যে, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় বিশ্ব সম্প্রদায় যদি কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করে তাহলে ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের জিডিপির প্রায় ২ শতাংশ এবং ২১০০ সাল নাগাদ প্রায় ৯ দশমিক ৪ শতাংশ ক্ষতি হতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তনজনিত বিপর্যয় হতে রক্ষার জন্য পরিবেশ ও বন মন্ত্রণালয় নিরলস কাজ করে যাচ্ছে।
×