ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

গাজীপুরে হামলা

১০ জেএমবি জঙ্গীর ডেথ রেফারেন্স ও আপীলের রায় ২৮ জুলাই

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ২১ জুলাই ২০১৬

১০ জেএমবি জঙ্গীর ডেথ রেফারেন্স ও আপীলের রায় ২৮ জুলাই

স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রায় এক যুগ আগে গাজীপুরে আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ে আত্মঘাতী বোমা হামলার ঘটনায় মৃত্যুদ-প্রাপ্ত ১০ জেএমবি জঙ্গীর ডেথ রেফারেন্স অনুমোদন ও আপীল মামলার শুনানি শেষ হয়েছে। ২৮ জুলাই এ মামলার রায়ের দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। অন্যদিকে পেশাগত অসদাচরণের দায়ে এক আইনজীবীকে বরখাস্ত এবং দুই আইনজীবীকে তিন বছরের জন্য পেশাগত কাজ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল। মৃত্যুদ-প্রাপ্ত ১০ জঙ্গীর ডেথ রেফারেন্স অনুমোদন ও আপীল মামলার ২৮ জুলাই রায়ের দিন ধার্য করেছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি জেবিএম হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার রায়ের এ দিন ধার্য করেন। গত ১৩ জুলাই হাইকোর্টে এ মামলার শুনানি শুরু হয়। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল শেখ একেএম মনিরুজ্জামান কবীর ও সহকারী এ্যাটর্নি জেনারেল শহীদুল ইসলাম খান। আসামিপক্ষে ছিলেন দেলোয়ার হোসেন, আফজাল এইচ খান ও মোঃ হেলাল উদ্দিন মোল্লা। ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল মনিরুজ্জামান কবীর পরে সাংবাদিকদের বলেন, দশ আসামি দোষ স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দিয়েছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার প্রেক্ষিতে তারা অনুতপ্ত বলে জবানবন্দীতে এসেছে। শুনানিতে তাদের দ-াদেশ বহাল রাখার আরজি জানিয়েছি। অন্যদিকে দুই আসামির আইনজীবী হেলাল উদ্দিন বলেন, গ্রেফতারের দীর্ঘদিন পর তাদের কাছ থেকে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী নেয়া হয়। ঘটনার সময় তাদের বয়সের দিকটি বিবেচনায় নিয়ে মৃত্যুদ-ের পরিবর্তে যাবজ্জীবন কারাদ- প্রার্থনা করেছি। মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৫ সালের ২৯ নবেম্বর গাজীপুর এ্যাডভোকেট বার সমিতির দুই নম্বর হলে শক্তিশালী দুটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। আইনজীবীদের দৈনন্দিন কার্যক্রম ও আদালতে যাওয়ার প্রস্তুতির মধ্যে ওই হামলায় আত্মঘাতী জেএমবি সদস্য আজাদ ওরফে জিয়া ওরফে নাজির ওরফে নাহিদ ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান গাজীপুর বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমজাদ হোসেন; আইনজীবী নুরুল হুদা, আনোয়ারুল আজম ও গোলাম ফারুক এবং চার বিচারপ্রার্থী। এ ঘটনায় জেএমবি নেতা শায়খ আব্দুর রহমান ও আতাউর রহমান সানী, আত্মঘাতী হামলাকারী ও সহযোগীদের বিরুদ্ধে জয়দেবপুর থানায় মামলা করেন পুলিশের উপ-পরিদর্শক মোঃ আলমগীর হোসেন। তদন্ত শেষে ২০০৭ সালের ৪ জুলাই পুলিশ ১৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে। তবে জেএমবি নেতা শায়খ আব্দুর রহমান, আতাউর রহমান সানি ও খালেদা সাইফুল্লাহর অন্য মামলায় ফাঁসি কার্যকর হওয়ায় এবং হামলাকারী আজাদ ও তার সহযোগী জেএমবি সদস্য মোল্লা ওমর ওরফে শাকিলের মৃত্যু হওয়ায় তাদের নাম মামলা থেকে বাদ দেয়া হয়। গাজীপুর প্রথম আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ২০১১ সালের ২৪ এপ্রিল দশ জেএমবি সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। একই বছরের ৩ অক্টোবর সরকার মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার দ্রুতবিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ পাঠায়। এরপর আট আসামির বিরুদ্ধে ২০১২ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি আলাদাভাবে সংশোধিত চার্জ গঠন হয়। আলোচিত এ মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের ৭০ জন এবং আসামিপক্ষে তিনজনের সাক্ষ্য শোনে আদালত। আইনজীবীকে বরখাস্ত ॥ পেশাগত অসদাচরণের দায়ে এক আইনজীবীকে বরখাস্ত এবং দুই আইনজীবীকে তিন বছরের জন্য পেশাগত কাজ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল।
×