ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

একদিকে ভাঙ্গন রোধের চেষ্টা ॥ অন্যদিকে অবাধে বালু উত্তোলন

প্রকাশিত: ০৪:৩৪, ২১ জুলাই ২০১৬

একদিকে ভাঙ্গন রোধের চেষ্টা ॥ অন্যদিকে অবাধে বালু উত্তোলন

সংবাদদাতা, বেড়া, পাবনা, ২০ জুলাই ॥ বেড়া উপজেলার নগরবাড়ি ও কাজীরহাট ঘাটসহ আশপাশের গ্রামগুলোকে নদী ভাঙ্গন থেকে রক্ষায় নদীপাড়ে একদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ব্লক ও জিও ব্যাগ ফেলার কাজ চলছে। অন্যদিকে স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী মহল ড্রেজার মেশিন দিয়ে নদীপাড়ে ব্লক বাঁধা অংশের নিচ থেকে অবৈধভাবে বালি উত্তোলন করে তা বিক্রি করছে। এছাড়া আরও কিছু ব্যক্তি যমুনার পাড় ও চর থেকে মাটি কেটে বিক্রি করছে। এতে নদীভাঙ্গন আতঙ্কে রয়েছে ঘাট এলাকার ব্যবসায়ী ও আশপাশের ১০ গ্রামের লোকজন। সরেজমিনে দেখা গেছে, নগরবাড়ি ঘাট থেকে কাজীরহাট ঘাট পর্যন্ত ৯ কিলোমিটারের মধ্যে যমুনা নদী থেকে প্রতিদিন ৭-৮টি ড্রেজার মেশিন লাগিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। নদীর বিভিন্ন স্থানে সারিবদ্ধভাবে ৭-৮টি ইঞ্জিনচালিত বড় বড় খননযন্ত্র ও নৌকা দিয়ে বালু তোলা হয়। বালু উত্তোলনকারীরা এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ তাদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে সাহস পান না বলে স্থানীয়রা জানান। স্থানীয় জনসাধারণ জানান, নগরবাড়ি ঘাটসহ রঘুনাথপুর, প্রতাপপুর, যদুপুর, শ্রীনিবাসদিয়া, মুন্সীগঞ্জ, কাজীরহাট, ছিন্নিবাস্ত, মানিকনগর, ইসলামপুর, দয়ারামপুর গ্রাম ২০১০, ২০১১ সালে প্রবলভাবে ভাঙ্গনের কবলে পড়ে। সে সময়ে জনগণের মিছিল-মিটিং ও আবেদন-নিবেদনের পর ২০১২ সালে পদ্মা-যমুনা ভাঙ্গন রোধ প্রকল্পের আওতায় নগরবাড়ী ঘাট এলাকাগুলো ব্লক ও বালির বস্তা ফেলার কাজ শুরু হয়। বেড়া পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, এ প্রকল্পের কাজ এখনও কোন কোন এলাকায় চলছে। বিশেষ করে খানপুরা থেকে কাজীরহাট পর্যন্ত আড়াই কিমি এবং রাজধরদিয়া থেকে পদ্মা সংলগ্ন প্রায় ৩ কিমি এখনও ভাঙ্গন রোধ প্রকল্পের কাজ চলছে, অন্যদিকে চলছে বালি উত্তোলন ও মাটি বিক্রি। আওয়ামী লীগ নেত্রীর বিরুদ্ধে পুত্রবধূর সংবাদ সম্মেলন যৌতুকের অভিযোগ স্টাফ রিপোর্টার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ॥ ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আওয়ামী লীগ নেত্রীর বিরুদ্ধে তার পুত্রবধূ ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইন কলেজের ছাত্রী শারমীন সুলতানা যৌতুক দাবি, মারধরসহ নির্যাতনের অভিযোগ করে সাংবাদ সম্মেলন করেছেন। বুধবার প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করে বলেন, ২০১২ সালের ১৪ জানুয়ারি সরাইলের কালিকচ্ছের খুরশেদ আলম ও আওয়ামী লীগ নেত্রী রোকেয়া বেগমের পুত্র আরাফাত আলম রাজীবের সঙ্গে তার বিয়ে হয়। বিয়ের সময় স্বর্ণালঙ্কার, মোটরসাইকেল, ফার্নিচার যৌতুক হিসেবে দেয়া হয়। বিয়ের কিছুদিন পর তার স্বামী সৌদি আরব চলে যায়। বিদেশ থেকে ফিরে এসে যৌতুকের জন্য চাপ দেয়। তিনি জানান, আমার শাশুড়িও যৌতুকের জন্য চাপ দিতে থাকেন। তার চাপে বাধ্য হয়ে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ টাকা দেয়া হয়। গত ১৪ জুলাই তার স্বামী আবারও ৩ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে।
×