ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বেনাপোলে ৬৫ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায়

প্রকাশিত: ০৪:৩১, ২১ জুলাই ২০১৬

বেনাপোলে ৬৫ কোটি টাকা বেশি রাজস্ব আদায়

আবুল হোসেন, বেনাপোল ॥ বেনাপোল কাস্টম হাউসে ২০১৫-১৬ অর্থবছরে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ ছিল ২ হাজার ৮৭০ কোটি টাকা। এর বিপরীতে আদায় হয়েছে ২ হাজার ৯৩৫ কোটি টাকা। বেনাপোল বন্দরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) নির্ধারিত লক্ষ্যের চেয়ে ৬৫ কোটি টাকা বেশি আদায় হয়েছে। বেনাপোল কাস্টমস সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। বেনাপোল কাস্টমস সূত্রে জানা গেছে, গত অর্থবছরে এনবিআর বেনাপোল বন্দরে রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে ২ হাজার ৮৭০ কোটি টাকা। এ লক্ষ্য অর্জনে অর্থবছরের প্রথম ১০ মাসেও পিছিয়ে ছিল বন্দর কাস্টমস। কিন্তু অর্থবছরের শেষ দুই মাসে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ আমদানি পণ্যের মূল্য যৌক্তিকীকরণ করে লক্ষ্য অর্জনে সমর্থ হয়। গত অর্থবছরের মে মাসে এনবিআর নির্ধারিত লক্ষ্যের চেয়ে অনেক বেশি রাজস্ব আদায়ে সক্ষম হয় বেনাপোল কাস্টমস। ওই মাসে এনবিআর নির্ধারিত রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২২২ কোটি ৩ লাখ টাকা। এর বিপরীতে আদায় হয় ৩২৩ কোটি টাকা। অর্থাৎ ওই মাসে লক্ষ্যের ১০০ কোটি টাকারও বেশি রাজস্ব আদায়ে সমর্থ হয় বন্দর কাস্টমস। জুনেও লক্ষ্যের চেয়ে বেশি রাজস্ব আদায় হয়েছে বন্দরে। জুনে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্য ছিল ২৮০ কোটি ৭ লাখ টাকা। এর বিপরীতে আদায় হয়েছে ৩১২ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, রাজস্ব আদায় বাড়াতে গিয়ে আমদানিকৃত সব পণ্যের শুল্কমূল্য কয়েক গুণ বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি নানামুখী হয়রানির ফলে আমদানিকারকরা ব্যবসায়িক সুবিধার্থে বেনাপোল ছেড়ে পাশের মংলা, হিলি, সোনামসজিদ ও ভোমরা স্থলবন্দর ব্যবহার করছেন। ফলে বেনাপোল কাস্টমসে দেখা দেয় রাজস্ব ঘাটতি। গেল অর্থবছরের ১০ মাসেও কাস্টমস পিছিয়ে ছিল রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যের চেয়ে। পরে শেষ দুই মাসে তারা আমদানি পণ্যের মূল্য যৌক্তিকীকরণ করে রাজস্ব আদায় লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করেছে কাস্টমস। বেনাপোল কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ মারুফুর রহমান বলেন, আমরা আমদানি পণ্যের মূল্য যৌক্তিকীকরণ করেছি। এতে করে শেষ সময়ে ব্যবসায়ীরা আমদানি বাড়িয়েছেন। এ কারণে আমাদের রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়েছে। বেনাপোল কাস্টমসের তথ্যমতে, অর্থবছরের শুরুর ১০ মাসে রাজস্ব আদায়ের চিত্র এতটা ভাল ছিল না। প্রথম ১০ মাসের প্রতিটিতেই পূর্ব নির্ধারিত লক্ষ্য অর্জনে ব্যর্থ হয় কাস্টমস। পরবর্তী দুই মাসে এ ঘাটতি অনেকটা পুষিয়ে ওঠে। পরে আমদানি পণ্যের মূল্য যৌক্তিকীকরণের মাধ্যমে লক্ষ্য অর্জনে সমর্থ হয় বন্দর কাস্টমস। যশোর চেম্বার অব কমার্সের সাবেক সভাপতি ও আমদানিকারক মিজানুর রহমান খান বলেন, গত বছরের অস্থিতিশীলতার প্রভাব এখনও রয়ে গেছে। ব্যবসায়ীদের মধ্যে আস্থার সংকট রয়েছে। এ কারণে তারা আমদানি কমিয়ে দিয়েছেন। আবার মালামাল বিক্রি কমে যাওয়ার কারণেও ব্যবসায়ীরা পণ্য কম আনছেন। বেনাপোল সিএ্যান্ডএফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহসভাপতি আলহাজ নুরুজ্জামান বলেন, মূলত শেষ দুই মাসে আমদানি বেড়ে যাওয়ায় বেনাপোলে রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করতে পেরেছে।
×