ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

পাঁচ প্রতিষ্ঠানের বাড়তি বিনিয়োগ সমন্বয়ের সুযোগ

প্রকাশিত: ০৪:২৮, ২১ জুলাই ২০১৬

পাঁচ প্রতিষ্ঠানের বাড়তি বিনিয়োগ সমন্বয়ের সুযোগ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সহযোগী প্রতিষ্ঠানের মূলধন বৃদ্ধির মাধ্যমে পুঁজিবাজারে ব্যাংকের বাড়তি বিনিয়োগ সমন্বয়ের সুযোগ পেয়েছে পাঁচ প্রতিষ্ঠান। নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৫৮০তম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। কমিশনের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক সাইফুর রহমান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিনিয়োগ সমন্বয়ের অনুমোদন পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো- ন্যাশনাল ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ব্যাংক সিকিউরিটিজ, এবি ব্যাংকের এবি ইনভেস্টমেন্টস, শাহজালাল ব্যাংকের শাহজালাল ব্যাংক সিকিউরিটিজ, সাউথইস্ট ব্যাংকের সাউথইস্ট ব্যাংক ক্যাপিটাল ও মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের এমটিবি সিকিউরিটিজ। তবে দ্য সিটি, পূবালী, আইএফআইসি, জনতা, মার্কেন্টাইল ব্যাংক এখনও বাড়তি বিনিয়োগ সমন্বয়ের সুযোগ নিতে আবেদন করেনি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ব্যাংক কোম্পানি আইন-১৯৯১ এর ধারা ২৬(ক) অনুসারে আজ বৃহস্পতিবারে সমাপ্য তিন বছরের সময়সীমার মধ্যে ব্যাংকের পুঁজিবাজার এক্সপোজারের আইনানুগ সীমার (ইকুইটির ২৫ শতাংশ) মধ্যে আনতে পাঁচ ব্যাংকের সাবসিডিয়ারির বর্ধিত মূলধন উত্তোলনের (শেয়ারের জন্য আমানত অথবা ঋণকে ইকুইটিতে রূপান্তরের মাধ্যমে) অনুমোদন দেয়া হয়। এক্ষেত্রে এমটিবি সিকিউরিটিজ লিমিটেড (মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি) স্টক ব্রোকার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১২ কোটি ৫০ লাখ প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যে সাধারণ শেয়ার ইস্যুর অনুমোদন দেয়া হয়েছে, যা কোম্পানির বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে ইস্যু করা হবে। উক্ত ইস্যুর মাধ্যমে কোম্পানিটি ১২৫ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। ফলে কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ২০০ কোটি টাকা থেকে ৩২৫ কোটি টাকায় উন্নীত হবে। সাউথইস্ট ব্যাংক ক্যাপিটাল সার্ভিসেস লিমিটেড (সাউথইস্ট ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি) মার্চেন্ট ব্যাংকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৩০ কোটি প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যের সাধারণ শেয়ার ইস্যুর অনুমোদন দেয়া হয়েছে, যা কোম্পানির বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে ইস্যু করা হবে। উক্ত ইস্যুর মাধ্যমে কোম্পানিটি ৩০০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। এতে কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ২৫০ কোটি টাকা থেকে ৫৫০ কোটি টাকায় উন্নীত হবে। শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক সিকিউরিটিজ লিমিটেড (শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি) স্টক ব্রোকারের আবেদনে ৬ কোটি প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যের সাধারণ শেয়ার ইস্যুর অনুমোদন দেয়া হয়েছে, যা কোম্পানির বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে ইস্যু করা হবে। উক্ত ইস্যুর মাধ্যমে কোম্পানিটি ৬০ কোটি টাকা উত্তোলন করবে। সবশেষে কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ২১৪ কোটি টাকা থেকে ২৭৪ কোটি টাকায় উন্নীত হবে। এবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড (এবি ব্যাংকের সাবসিডিয়ারি) মার্চেন্ট ব্যাংকের আবেদনে ৩০ কোটি ১১ লাখ ৪৩ হাজার ১৭৫ প্রতিটি ১০ টাকা মূল্যের সাধারণ শেয়ার ইস্যুর অনুমোদন দেয়া হয়েছে, যা কোম্পানির বিদ্যমান শেয়ারহোল্ডারদের মধ্যে ইস্যু করা হবে। উক্ত ইস্যুর মাধ্যমে কোম্পানিটি ৩০১ কোটি ১৪ লাখ ৩১ হাজার ৭৫০ টাকা উত্তোলন করবে। এতে কোম্পানির পরিশোধিত মূলধন ২৯৮ কোটি ৮৫ লাখ ৬৮ হাজার ২৫০ টাকা থেকে ৬০০ কোটি টাকায় উন্নীত হবে। উল্লেখ্য, বর্তমানে প্রতিটি ব্যাংক তার রেগুলেটরি মূলধনের ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বিনিয়োগ করতে পারে। বিনিয়োগের পরিমাণ গণনায় ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠানের ( ব্রোকারহাউস ও মার্চেন্ট ব্যাংক) মূলধনকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। যদিও বিদ্যমান আইন অনুসারে সাবসিডিয়ারি কোম্পানিগুলো স্বাধীন প্রতিষ্ঠান। এদের প্রতিটির রয়েছে আলাদা পর্ষদ। বিনিয়োগ, মুনাফা ও ঝুঁকিÑ সবই নিজস্ব। তাই সাবসিডিয়ারি কোম্পানির মূলধনকে মূল ব্যাংকের এক্সপোজারে অন্তর্ভুক্ত করার বিষয়টিকে অযৌক্তিক হিসেবে দাবি করে আসছিলেন সংশ্লিষ্টরা।
×