ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ব্যস্ততা ও উদাসীনতা

প্রকাশিত: ০৪:১৬, ২১ জুলাই ২০১৬

ব্যস্ততা ও উদাসীনতা

গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে ও শোলাকিয়ার জঙ্গী ঘটনার পর থেকেই অভিভাবকগণ তাদের উঠতি বয়সের সন্তানদের নিয়ে উদ্বিগ্ন ও দিশেহারা। অথচ অনেক অভিভাবক তাদের উঠতি বয়সের সন্তানদের ব্যাপারে উদাসীন দেখা গেছে। তাদের ছেলেমেয়েরা কোথায় যায়, কি করে, কার সঙ্গে মেশে, এসব খবরই তারা রাখেন না। নিজেদের ক্যারিয়ার গঠন ও উপার্জনের ক্ষেত্রে তারা এতটাই ব্যস্ত থাকেন যে, সন্তানদের ন্যূনতম সময়টুকুও দিতে পারেন না। এই সুযোগে ছেলেমেয়েরা হয়ে উঠছে স্বেচ্ছাচারী। তারা তাদের লাগামহীন জীবনকে উপভোগ করার জন্য হয়ে উঠছে বেপরোয়া। অনেকে ছেলেমেয়েদের সঙ্গে সুন্দরভাবে মেশা, সঙ্গ দেয়া এবং আদর্শিক কোন শিক্ষা দেয়ার প্রয়োজনও বোধ করছেন না। ফলে যা হওয়ার তাই হচ্ছে। সন্তানরা হয়ে উঠছে বাঁধনহারা। জড়িয়ে পড়ছে বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপে। পরিবার হলো একটি শিশুর প্রাথমিক পাঠশালা। এখন পরিবারগুলোতে নৈতিক শিক্ষার খুব অভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। প্রকৃত ধর্মীয় মূল্যবোধ মানুষকে শালীনতা ও নৈতিকতা শিক্ষা দেয়। তাই শিশুরা যে পরিবারেই জন্মগ্রহণ করুক না কেন তাদের স্ব স্ব ধর্মের নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলা অবশ্যম্ভাবী। যে পরিবারে ধর্মীয় শিক্ষার প্রভাব আছে সেই পরিবারের শিশুরা আদর্শবান ও সুশৃঙ্খল হয়ে গড়ে ওঠে। একটি জাতিকে ধ্বংস করার জন্য প্রয়োজন সেই জাতির যুব সমাজকে ধ্বংস করা। এই সুদূর প্রসারী টার্গেট নিয়ে কিছু চিহ্নিত চক্র আমাদের যুব সমাজের মেরুদ- ভেঙ্গে দেয়ার জন্য পরিকল্পিতভাবে কাজ করছে। তাই সমাজের সকল স্তরের মানুষকে এ ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। জাতির ভবিষ্যত কর্ণধার এই যুব সমাজকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচানোর জন্য সময়োপযোগী পদক্ষেপ গ্রহণ করা এখন অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের বলিষ্ঠ ভূমিকাই পারে জাতিকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে। থানাপাড়া, লালমনিরহাট থেকে
×