ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সুব্রতা রায়

সন্তানের বিনোদন

প্রকাশিত: ০৪:১৪, ২১ জুলাই ২০১৬

সন্তানের বিনোদন

নিঃসন্দেহে বাবা-মা সন্তানকে ভালবাসেন। একজন অপরাধপ্রবণ বাবাও চান সন্তান যেন ভাল মানুষ হয়, ভাল কর্ম করে, সুস্থ জীবনযাপন করে। কিন্তু বহুমুখী রঙিন ভার্চুয়াল দুনিয়ায় কেমন আছে আমাদের সন্তান? ভাল রাখব কিভাবে? ...আমরা বাবা-মারা সাধারণত খাদ্য, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিৎসা এসব নিয়ে চিন্তা করি, ঘরে খাবার আছে, পরনে কাপড়, ঘুমানোর জায়গা, পড়ার স্কুল আর অসুখে চিকিৎসা- ব্যস। বিনোদন, সুরক্ষা আর নিজেদের প্রাত্যহিক আচার-আচরণের বিষয়টিকে ততটা আমলে নেই না। সন্তানের জিপিএ ফাইভ প্রাপ্তির জন্য বহন অসাধ্য একটি ব্যাগ ঘারে তুলে স্কুল, কোচিং, প্রাইভেট-টিউটর দিয়ে সারাদিন ব্যস্ত রাখি। রেজাল্ট ভাল হয়, আমরা স্বস্তির ঢেঁকুর তুলি। আগামীর কর্ণধারের জন্য প্রয়োজন পরিপূর্ণ বিকাশের সুযোগ -ক্লাসের পড়ালেখার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক কর্মকা-ে অংশগ্রহণ, খেলাধুলা করা, বই পড়া, বিজ্ঞানচর্চা, বয়স উপযোগী বিভিন্ন সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হওয়া। এসব কর্মে যুক্ত শিশু হয় অগ্রসর, পথ প্রদর্শক, ইতিবাচক মূল্যবোধ ধারণকারী মানুষ এবং আধুনিক, তাই ভার্চুয়াল দুনিয়ার সমস্ত ভাল থাকে যাদের করায়ত্ত। বিনোদন ছাড়া সৃষ্টি বিরল, তাই বেড়ে ওঠা সন্তানের জীবন-বিনোদনে ভরে তোলা বাবা-মার দায়িত্ব ও কর্তব্য। তেমনিভাবে বিদ্যাপীঠসহ সকল কর্মযজ্ঞে বিনোদন হোক সহযাত্রী। অনেক ক্ষেত্রে বাবা-মার ব্যক্তিগত ও পারস্পরিক আচরণ সন্তানের ওপর প্রভাব বিস্তার করে। সততা, পারস্পরিক শ্রদ্ধা-ভালবাসা, বন্ধুত্বে পরিপূর্ণ সংসারে ইতিবাচক মূল্যবোধ শিক্ষা সন্তানকে স্পর্শ করে। সে আনন্দ, বিশ্বাস ও ভরসার এক শক্ত বাঁধনে আবদ্ধ হয়। কিন্ত যারা বিপরীতমুখী? তারা একেবারেই একা, এই মানুষগুলো কখনও কখনও হারিয়ে যায়- অজানায়। বাবা-মার কাছে সন্তানের হাসি-কান্না, হৃদয়-স্পন্দন, পদক্ষেপ সবটাই থাকবে চেনা। সকল দায়িত্ব-কর্তব্য পালনের পাশাপাশি প্রতিদিনের রুটিনে সন্তানের জন্য স্বল্প হলেও আন্তরিক, বিশ্বস্ত, প্রাণবন্ত, ভালবাসায় পরিপূর্ণ সময় সন্তান ও বাবা-মার মাঝে নিবিড়, গাঢ় ও বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করে। কুড়িগ্রাম থেকে
×