পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক মুনসী মুয়ীদসহ দু’জন গ্রেফতার

স্টাফ রিপের্টার ॥ আগারগাঁও পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক মুনসী মুয়ীদ ইকরামসহ দুই কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গ্রেফতার করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। পাসপোর্ট জালিয়াতির অভিযোগে করা মামলার আসামি হিসেবে তাদের গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় ২১ জনকে আসামি করে একটি মামলা (নং ১৬) দায়েরের পরই তাদের গ্রেফতার করেন দুদক কর্মকর্তারা। মামলার বাদী উপ-পরিচালক ম. বেনজীর আহম্মদের নেতৃত্বাধীন একটি টিম তাদের গ্রেফতার করে। গ্রেফারকৃত আরেক আসামি হলেন একই অফিসের উচ্চমান সহকারী মোঃ সাইফুল ইসলাম। তাদের দু’জনই বর্তমানে সাময়িকভাবে বরখাস্ত জানিয়ে দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা জনকণ্ঠকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, প্রথমে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যাপক ডাঃ উত্তম কুমার বড়ুয়ার স্বাক্ষর জাল করেন। এর পর ১৮ ব্যক্তির এনওসি সৃজনপূর্বক তা আগারগাঁওয়ে অবস্থিত বিভাগীয় পাসপোর্ট অফিসে দাখিল করে সাধারণ পাসপোর্টকে অফিসিয়াল পাসপোর্টে রূপান্তর করেন। ওই অবৈধ পাসপোর্টের মাধ্যমে পাসপোর্টধারীরা সরকারী কর্মচারী হিসেবে অবৈধভাবে তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশে গমন করেন এবং পরবর্তীতে গ্রেফতার হয়ে বাংলাদেশের ভার্বমূতি চরমভাবে নষ্ট করেছেন। এনওসিসমূহ জাল ও ভুয়া জানা সত্ত্বেও তা যাচাই করেননি পরিচালক মুনসী মুয়ীদ ইকরাম। অবৈধভাবে আর্থিকভাবে লাভবান হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে সরকারী কর্মচারী না হওয়া সত্ত্বেও অফিসিয়াল পাসপোর্ট ইস্যু করেছেন। আর এভাবে ৬৬ ব্যক্তি সরকারী কর্মচারী না হওয়া সত্ত্বেও অফিসিয়াল পাসপোর্ট ইস্যু করেছেন বলে দুদকের অনুসন্ধানে প্রমাণিত হয়। দুদকের অনুসন্ধানে দেখা যায়, পাসপোর্ট অফিসের পরিচালক মুনসী মুয়ীদ ইকরামের একটি ব্যাংক এ্যাকাউন্টে গত বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল পর্যন্ত অর্থাৎ চার মাসে ৪২ লাখ টাকা জমা হয়েছে, যার কোন বৈধ উৎস পাওয়া যায়নি।