ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

বন্দুকযুদ্ধে যশোর ঝিনাইদহে সন্ত্রাসী ও শিবির নেতা নিহত

প্রকাশিত: ০৫:৫২, ২০ জুলাই ২০১৬

বন্দুকযুদ্ধে যশোর ঝিনাইদহে সন্ত্রাসী ও শিবির নেতা নিহত

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ যশোরে দুই পক্ষের কথিত গুলি বিনিময়ে শহরের বেজপাড়ার সন্ত্রাসী নেছার আলী (৩২) নিহত হয়েছে। সোমবার মধ্যরাতে শহরের বারান্দীপাড়া ভৈরব নদের ব্রিজের পশ্চিম পাশের বাগানে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান, তিন রাউন্ড গুলি ও তিনটি দা উদ্ধার করেছে পুলিশ। এদিকে, ঝিনাইদহে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে সাইফুল ইসলাম ওরফে মামুন (২৫) নামে ছাত্র শিবিরের এক নেতা নিহত হয়েছে। মঙ্গলবার ভোরে সদর উপজেলার মধুপুর-আড়ুয়াকান্দি গ্রামের রাস্তার পাশে এ বন্দুকযুদ্ধ হয়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ অস্ত্র, গুলি ও বোমা উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় ২ পুলিশ কনস্টেবল আহত হয়েছে। খবর স্টাফ রিপোর্টার ও নিজস্ব সংবাদদাতার পাঠানো। যশোর পুলিশ সকালে ঘটনার কথা জানালেও তার পরিচয় ছিল অজ্ঞাত। দুপুরে হাসপাতালে গিয়ে তার পরিবারের লোকেরা লাশ শনাক্ত করেন। সে শহরের বেজপাড়া আজিমাবাদ কলোনির আবদুল গাফফারের ছেলে। নিহতের ভাই আলী আহসান ওরফে হাসান আলী টিক্কা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে লাশ দেখে তা শনাক্ত করে দাবি করেন, রবিবার রাতে পুলিশ পরিচয়ে নেছার আলীকে বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায় একদল লোক। সোমবার রাতে মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে নেছার নিহত হয়। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র জানিয়েছে, নিহত নেছার বিদেশে পলাতক সন্ত্রাসী ফিঙে লিটন বাহিনীর সদস্য। তার বিরুদ্ধে একাধিক হত্যা, ডাকাতি, ছিনতাই মামলা আছে কোতোয়ালি থানায়। পুলিশের দাবি, ডাকাত ও মাদক বিক্রেতাদের মধ্যে সংঘর্ষে ওই ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। শহরের বারান্দীপাড়া ব্রিজের পশ্চিম পাশে ভৈরব নদের ধারে জনৈক বাবুর বাগানে সোমবার রাত পৌনে তিনটার দিকে গোলাগুলির ঘটনাটি ঘটে। কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ ইলিয়াস হোসেন বলেন , রাতে বারান্দীপাড়া এলাকায় ডাকাতদের সঙ্গে মাদক বিক্রেতাদের গোলাগুলি হচ্ছে বলে জানতে পেরে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এ সময় পুলিশ দশ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে দুর্বৃত্তদের হটিয়ে দেয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় অজ্ঞাত এক ব্যক্তিকে (আনুমানিক ৩০-৩২ বছর) উদ্ধার করে জেনারেল হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালের জরুরী বিভাগে দায়িত্বরত চিকিৎসক কাজল মল্লিক রাত তিনটা ২০ মিনিটে জানান, হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়। এক রাউন্ড গুলি তার মাথা ফুঁড়ে বের হয়ে গেছে। ঝিনাইদহ ॥ এদিকে, ঝিনাইদহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ বলেন, ভোররাতে পুলিশের একটি টহল দল হাটগোপালপুর এলাকা থেকে ঝিনাইদহ শহরে ফিরছিল। পথিমধ্যে মধুপুর-আড়ুয়াকান্দি গ্রামের রাস্তার পাশে পৌঁছলে দুবৃর্ত্তরা পুলিশকে লক্ষ্য করে বোমা নিক্ষেপ করে। সে সময় পুলিশও চালায় পাল্টা গুলি। উভয়পক্ষের মধ্যে ১০ মিনিট ধরে বন্দুকযুদ্ধ হয়। এক পর্যায়ে দুর্বৃত্তরা হটে যায়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে এক যুবকের গুলিবিদ্ধ মৃতদেহ, ১টি শাটার গান, ২ রাউন্ড গুলি, ৫টি বোমা ও ৪ টি রামদা উদ্ধার করে। ভোরেই মৃতদেহটি ময়নাময়নাতদন্তের জন্য ঝিনাইদহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। সকালে পরিবারের পক্ষ থেকে মৃতদেহটি নিহত যুবক সাইফুল ইসলাম ওরফে মামুন বলে শনাক্ত করে। বন্দুকযুদ্ধে আহত ফয়সাল ও সুমন নামে দুই পুলিশ কনস্টেবলকে সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। নিহত সাইফুল ইসলাম ওরফে মামুন ইসলামী ছাত্র শিবিরের সাথী ও শৈলকুপা উপজেলার ভাটই অঞ্চলের সেক্রেটারি ছিল বলে তিনি জানান। অন্যদিকে, নিহতের মামাত ভাই আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, সাইফুল ইসলাম ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোরান-হাদিস বিভাগে অনার্স মাস্টার্স শেষ করেছেন। বর্তমানে তিনি চাকরির খোঁজে ছিলেন। গত ১ জুলাই সদর উপজেলার পবহাটির এক বাসা থেকে রাত ২টার দিকে ডিবি পরিচয়ে পুলিশ তাকে তুলে নিয়ে যায়। আমরা থানা পুলিশের কাছে গেলে পুলিশ তাকে ধরেনি বলে আমাদের জানিয়ে দেয়। এরপর থেকে ভাই নিখোঁজ ছিলেন।
×