ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

ইট প্রস্তুত শিল্পে দক্ষ জনবলের অভাব

প্রকাশিত: ০৪:১৩, ২০ জুলাই ২০১৬

ইট প্রস্তুত শিল্পে দক্ষ জনবলের অভাব

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আধুনিক প্রযুক্তি সংযোজিত হলেও দক্ষ জনবলের অভাব রয়েছে দেশের পরিবেশবান্ধব ইট প্রস্তুত শিল্পে। এমনকি নতুন উদ্যোগের পেছনে ব্যাংকঋণ পেতে দীর্ঘসূত্রতার কারণেও আগ্রহ হারাচ্ছেন উদ্যোক্তারা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, সনাতনী ভাঁটির ইটের চেয়ে অধিক মানসম্পন্ন হলেও দামের পার্থক্যের কারণে বাজার ধরতে পারছেন না তারা। তবে সমস্যা সমাধানে ২০১৬-১৭ অর্থবছরের বাজেটে ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দের মাধ্যমে এ খাতের অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ানোর চিন্তা করছে সরকার। দেশে বর্তমানে প্রায় দশ হাজার ভাঁটিতে প্রতি বছর উৎপাদিত হচ্ছে এক হাজার ৭০০ কোটি ইট, যা নির্গত করছে প্রায় ৬০ লাখ টন বিষাক্ত কার্বন ডাই অক্সাইড গ্যাস। পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের মতে, যা একাধারে বিনষ্ট করছে জীববৈচিত্র্য, ক্ষতি করছে অর্থনীতিরও। তবে পরিস্থিতি উত্তরণে বেসরকারী উদ্যোক্তাদের হাত ধরে দেশে শুরু হয়েছে পরিবেশবান্ধব পদ্ধতিতে ইট উৎপাদনে। মানিকগঞ্জে স্টোন ব্রিকসের একটি কারখানায় ইট উৎপাদনের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া পরিচালিত হচ্ছে পরিবেশ সহায়ক উপায়ে। আধুনিক মেশিনের সাহায্যে সেখানে দৈনিক তিন লাখ ইট প্রস্তুত হচ্ছে শ্রমিকের সরাসরি কোন স্পর্শ ছাড়াই। কারখানাটিতে ইট তৈরিতে একেবারেই নেই কাঠের ব্যবহার, তুলনামূলকভাবে কম লাগছে কয়লাও, তাই স্বাভাবিকভাবেই সেখান থেকে নির্গত হচ্ছে না কোন প্রকার বিষাক্ত ধোঁয়াও। এর পরও সংখ্যার দিক দিয়ে বাড়ছে না পরিবেশবান্ধব ইট প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান, যার পেছনে সনাতনী ইটের সঙ্গে দামের পার্থক্য, ব্যাংকঋণ প্রাপ্তিতে জটিলতাসহ নানা কারণ দেখাচ্ছেন উদ্যোক্তারা। আবুল অটো ব্রিকস লিমিটেডের ব্যবস্থাপক আনোয়ার হোসেন পিন্টু বলেন, ‘ব্যাংকের সঙ্গে আলাপ করেছি। তারা এসে দেখবেন এটা আধুনিকায়ন হয়েছে কি-না। যদি হয় তাহলে তারা ঋণ ছাড় করবে। এত শর্ত না দিয়ে সহজশর্তে যদি ঋণ দেয় তাহলে ইটভাঁটির মালিকরা উপকৃত হবে।’
×