ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

রাজশাহীতে মদপানে পাঁচজনের মৃত্যু

প্রকাশিত: ০৪:০৯, ২০ জুলাই ২০১৬

রাজশাহীতে মদপানে পাঁচজনের মৃত্যু

স্টাফ রিপোর্টার, রাজশাহী ॥ চারঘাটে বিষাক্ত মদপানে বিষক্রিয়ায় পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেলের মধ্যে তাদের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। মৃতরা হলো, চারঘাট উপজেলার সারদা পুলিশ একাডেমি সংলগ্ন সুইপার কলোনির জহর লাল (৫৫), গোধূলী রানী (৭০), অনিল (৫৫), উপজেলার গোরশহরপুরের মাহাতাব উদ্দিন (৫৫) ও মুক্তারপুরেরর হেলাল উদ্দিন (৫৬)। রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টারের বরাত দিয়ে হাসপাতাল পুলিশ বক্সের ইনচার্জ সহকারী উপপরিদর্শক এনামুল হক জানান, ময়নাতদন্তে প্রাথমিকভাবে নিহতদের শরীরে অতিরিক্ত এ্যালকোহলের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। নিহতদের মধ্যে অনিলের লাশ রামেক হাসপাতালের হিমাগারে রাখা হয়েছে। প্রথমেই তার মৃত্যু হয়েছে। আর মাহাতাবের লাশ আগেই দাফন করা হয়েছে। বিকেলে খবর পেয়ে ওই কলোনি থেকে অপর তিনজনের লাশ উদ্ধার করেছে চারঘাট থানা পুলিশ। সুইপার কলোনির বাসিন্দারা জানান, সোমবার রাতে তারা নিজ বাড়িতে তৈরি চুয়ানি (দেশী তৈরি মদ) পান করেছিল। রাতেই প্রথমে মাহাতাব ও অনিল অসুস্থ হয়ে পড়ে। এদের উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হলে সেখানে মাহাতাব মারা যায়। এরপর সেখান থেকে অনিলকে রামেকে ভর্তি করা হলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। এরপর সকাল থেকে দুপুরের মধ্যে ওই কলোনির জহর লাল, গোধূলী রানী ও হেলাল উদ্দিনও অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের রামেক হাসপাতালে নেয়া হয়। সেখানে তাদের মৃত্যু হয়। পরে সেখান থেকে পরিবারের সদস্যরা লাশ বাড়িতে নিয়ে যায়। আমতলীতে কলেজে অগ্নিসংযোগ নিজস্ব সংবাদদাতা, আমতলী, বরগুনা, ১৯ জুলাই ॥ আমতলী ড. শহিদুল ইসলাম কলেজে সোমবার রাতে দুর্বৃত্তদের দেয়া আগুনে পুড়ে গেছে বেঞ্চ। অফিসকক্ষ ভাংচুর করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে গেছে। জানা গেছে, উপজেলার আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়নের চরকগাছিয়া ড. শহিদুল ইসলাম কলেজে ঘটনার দিন গভীর রাতে একদল দুর্বৃত্ত একটি শ্রেণীকক্ষের বেঞ্চে আগুন ধরিয়ে দেয়। কলেজের পার্শ্ববর্তী বাড়ির মালিক হারুন-অর-রশিদ টের পেয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে কলেজের ওই কক্ষের বেঞ্চ পুড়ে গেছে। দুর্বৃত্তরা কলেজের অফিসকক্ষ ভেঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র নিয়ে গেছে। কলেজের প্রতিষ্ঠাতা ড. শহিদুল ইসলাম জানান কলেজের পার্শ্ববর্তী সাবেক ইউপি সদস্য আতাহার মোল্লা ও তার ভাইয়েরা কলেজ প্রতিষ্ঠার পর থেকে ক্ষতি করার জন্য বিভিন্ন কর্মকা- করে আসছে। আমি যাতে কলেজটি প্রতিষ্ঠিত করতে না পারি সেজন্য প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে তার (আতাহার) লোকজন দিয়ে রাতে আগুন দিয়েছে। আতাহার মোল্লার ভাই তৈয়ব আলী মোল্লা জানান, আমাদের ফাঁসানোর জন্য পরিকল্পিতভাবে নিজেরা আগুন দিয়েছে।
×