নিজস্ব সংবাদদাতা, কুষ্টিয়া, ১৯ জুলাই ॥ কুষ্টিয়ায় জঙ্গীবিরোধী বিশেষ অভিযান চালিয়ে শিক্ষক-ছাত্রসহ ৯ জনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। মঙ্গলবার সকাল মডেল থানা ও গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল কুষ্টিয়া শহরের সরকারী মেডিক্যাল এ্যাসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং স্কুলের (ম্যাটস) ছাত্রাবাসে তল্লাশী শুরু করে। দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত এ অভিযান চলে। এ সময় কিছু জিহাদি বই ও শিবিরের চাঁদার রশিদসহ বেশকিছু কাগজপত্রও উদ্ধার করা হয়। আটকের পর ওই কলেজের শিক্ষক মোহম্মদ আলম ও আট ছাত্রকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলিশের দাবি, আটককৃত শিক্ষক তাদের মদদ ও অর্থদাতা। অন্যদের মধ্যে দুইজন শিবিরের নেতা ও ছয়জন শিবিরের কর্মী। আটককৃতরা কয়েকদিন ধরে নাশকতা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল বলে পুলিশের কাছে তথ্য রয়েছে। পুলিশ জানায়, অর্থদাতা ম্যাটসের শিক্ষক (ফার্মেসী বিভাগ) মোহাম্মদ আলম, ছাত্রশিবিরের সাথী পদের নেতা শিক্ষার্থী আব্দুল হান্নান ও আব্দুল মান্নান এবং শিবির কর্মী ইব্রাহিম আলী, মোহাম্মদ ইউসুফ, সাইফুল ইসলাম, আহসান হাবিব, কাজী ফয়েজ আহম্মেদ সৌরভ ও আব্দুল করিম দর আটক করা হয়। তিনি আরও বলেন, এ সময় পুলিশ হোস্টেল তল্লাশি করে জিহাদী বইপত্র ও শিবিরের সাংগঠনিক কর্মকা-ের কাগজপত্র উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত বই এর মধ্যে বেশ কিছু জিহাদী বই ও ইসলামী ছাত্র শিবিরের মাসিক রিপোর্ট, চাঁদা আদায়ের রশিদসহ সাংগঠনিক কার্যক্রমের কাগজপত্র রয়েছে। পরে সেগুলো একটি বস্তায় করে থানায় নেয়া হয়। প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীরা জানান, কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে হোষ্টেলে তল্লাশি চালায় পুলিশ। এ সময় হোস্টেল থেকে কাউকে বের হতে কিংবা ঢুকতে দেয়া হয়নি। অভিযানে নেতৃত্বদানকারী কুষ্টিয়া সহকারী পুলিশ সুপার নুর-ই আলম সিদ্দিকী জানান, শিবিরের একটি দল মেডিক্যাল এ্যাসিসটেন্ট টেনিং স্কুলের (ম্যাটস) হোস্টেলে অবস্থান করে নাশকতার পরিকল্পনা করছে। জঙ্গী কার্যক্রমের সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে একাধিক ছাত্র জানায়, ছাত্রাবাসে শিবিরের কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগে এ অভিযান পরিচালিত হয়। আটককৃতরা সবাই শিবিরের কর্মী।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: