ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মির্জাগঞ্জে স্বেচ্ছাশ্রমে বেড়িবাঁধ নির্মাণ

প্রকাশিত: ০৪:০১, ২০ জুলাই ২০১৬

মির্জাগঞ্জে স্বেচ্ছাশ্রমে বেড়িবাঁধ নির্মাণ

নিজস্ব সংবাদদাতা, পটুয়াখালী, ১৯ জুলাই ॥ সাম্প্রতিক ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু ও পরবর্তীতে জলোচ্ছ্বাসে মির্জাগঞ্জ উপজেলার ৪নং দেউলী সুবিদখালী ইউনিয়নের পশ্চিম সুবিদখালী বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়িবাঁধের বেশিরভাগ বিধ্বস্ত হয়েছে। বাঁধের ভেঙ্গে যাওয়া অংশ দিয়ে জোয়ারের পানিতে ডুবে যায় ফসলি ক্ষেত। আমন বীজতলা পচে নষ্ট হতে থাকে। বিঘœ হচ্ছে বীজতলা তৈরিসহ চাষাবাদ। এ অবস্থায় এলাকাবাসী এখন নিজেরাই স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মাণ করছে তাদের ক্ষতিগ্রস্ত বেড়িবাঁধটি। পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, মির্জাগঞ্জের সুবিদখালী-মাধবখালী উপ-প্রকল্পের এ বেড়িবাঁধটি ৩৯ কিলোমিটার দীর্ঘ। ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু ও জোয়ারের জলোচ্ছ্বাসে বাঁধের বিভিন্ন পয়েন্টের প্রায় দেড় কিলোমিটার অংশ ভেঙ্গে বিলীন হয়ে গেছে। সুবিদখালী গ্রামের বেড়েরধন নদের তীরবর্তী বাঁধের একটি অংশ ভেঙ্গে গেছে। সরেজমিন সুবিদখালী গ্রামের বেড়েরধন নদের তীরবর্তী গিয়ে দেখা যায়, এলাকার লোকজন নিজেরাই মাটি কেটে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধ মেরামত করছেন। এলাকার পশ্চিম সুবিদখালী গ্রামের কৃষক মিজানুর রহমান বলেন, বন্যায় ও জোয়ারের পানির চাপে বাঁধের অনেক স্থান ভেঙ্গে যায়। জোয়ারের পানিতে ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের ভাড়ানীপাড়, মাদ্রাসা ও বড়বাড়ি গ্রাম এলাকা প্লাবিত হয়। পানিতে ডুবে থাকে ফসলি ক্ষেত। পানিবন্দী হয়ে পড়ে এ তিন গ্রামের মানুষ। একই গ্রামের মোসলেম ফকির জানান, ভাঙ্গনগুলো মেরামত না করায় আমাদের রোপা আউশের ক্ষেত ও আমনের বীজ পানিতে নিমজ্জিত হয়ে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। আমাদের কষ্টার্জিত আমনের বীজতলা রক্ষার্থে নিজেদের উদ্যোগে স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধের ভাঙ্গা অংশ মেরামত করছি। কালিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান জেলহাজতে হত্যাসহ তিন মামলা নিজস্ব সংবাদদাতা, নড়াইল, ১৯ জুলাই ॥ কালিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান আওয়ামীলীগ নেতা খান শামিমুর রহমান ওছি খানকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। একটি হত্যাসহ তিন মামলায় খান শামিমুর রহমানসহ ১৭ আসামি নড়াইলের একটি আদালতে মঙ্গলবার আতœসমর্পণ করেন। দুপুরে আদালতের বিচারক এ আদেশ দেন। জানা যায়, কালিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান খান শামিমুর রহমান ওরফে ওছি খান কালিয়া থানার একটি ও লোহাগড়া থানার দিঘলিয়ার নিষান মুন্সী হত্যা মামলাসহ ৩টি মামলায় মোট ১৭ জন লোহাগড়া আমলী আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন। সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জাহিদুল আজাদ জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে চেয়ারম্যান খান শামিমুর রহমানসহ ১৭ জনকে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।
×