ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সব্যসাচী দাশ

মোবাইল এ্যাপসের সম্ভাবনা

প্রকাশিত: ০৭:১৭, ১৯ জুলাই ২০১৬

মোবাইল এ্যাপসের সম্ভাবনা

প্রযুক্তি, উৎকর্ষের প্রভাব এখন সর্বত্র দৃশ্যমান। যার কারণে খুব দ্রুতই বদলে যাচ্ছে মানব, প্রকৃতির সব দৃশ্যপট। সভ্যতার শুরু থেকে আজ অবধি কত অসংখ্য পরিবর্তন মানবকুলে সাধিত হয়েছে তা বলাই বাহুল্য। বহুকালের পরিক্রমায় আমরা এখন আধুনিক বিশ্বের বাসিন্দা। আমাদের সর্বক্ষেত্রে আধুনিকতার প্রতিফলন স্পষ্ট। প্রযুক্তি সভ্যতাকে উন্নত রাস্তা দেখিয়ে আসছে। তাই তো বিংশ শতাব্দীর এই যুগে জীবন এখন প্রায় পুরোপুরি প্রযুক্তিনির্ভর। সব যুগেই দেখা গেছে নতুন অধ্যায়ের ধারক নবপ্রজন্ম। নতুন কিছু সব সময় তাদের কাছে আগ্রহের বিষয়। এই যেমন, কয়েক বছর আগের কথা। প্রযুক্তি যখন সভ্যতাকে যোগাযোগের জন্য ল্যান্ড ফোনের পরিবর্তে, মুঠোফোন বা মোবাইল দিল, খুব দ্রুতই এর ব্যবহারের পরিধি বদলে গেল। কেবল একে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগ নয় বরং অনেক ক্ষেত্রে এর ব্যবহার এখন অনেক ব্যাপক। প্রথমে বছর তারপর প্রায় প্রতি মাসে বদলাতে থাকে মোবাইলের ভার্সন। প্রজন্ম ও সময়ের তাগিদেই এই পরিবর্তন। এখনকার তরুণদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনের সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এর অপারেটিং সিস্টেম। উইন্ডোজ অপারেটিং ও এ্যান্ড্রোয়েড এ্যাপ্লিকেশন স্মার্ট ফোনের এই দুই ভার্সন সচরাচর দেখা যায়। তবে উইন্ডোজের থেকে এ্যান্ড্রোয়েড বিশ্বব্যাপী বেশি জনপ্রিয়। কারণ এ্যান্ড্রোয়েডের ইউনিকোড এ্যাপস। অর্থাৎ বিশ্বব্যাপী লাখ লাখ এ্যাপ্লিকেশন ব্যবহারকারী তা অপারেট করতে পারেন। যে কারণে বিদেশী ভাষা শেখা থেকে শুরু করে জটিল অঙ্কের সমাধান কিংবা রাজনৈতিক সঙ্কট উত্তোরণ প্রায় সব কিছুরই সুবিধা এখন এ্যাপস্ কেন্দ্রিক। প্রথম পর্যায়ে কেবল মোবাইল ফোন প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলো এ্যাপ্লিকেশন প্রস্তুত করত। কিন্তু এখন তার ক্ষেত্র অনেক বিস্তৃত নিত্যনতুন ব্যবহারিক চাহিদা এ্যাপস তৈরির পরিধি বাড়ায়। এখন অনেক দেশী-বিদেশী সফটওয়্যার কোম্পানি একে অন্যকে পিছনে ফেলে তৈরি করছে অভিনব সব এ্যাপ্লিকেশন। কেউ কেউ আবার নিজ উদ্যোগে তৈরি করে শেয়ার করছেন গুগোল, লিন্যাক্সের মতো সার্চ ইঞ্জিনে। বাংলাদেশে প্রায় ১০ কোটি মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। তার মধ্যে প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি স্মার্ট ফোন ব্যবহার কারে। স্মার্ট ফোনের ৯০ শতাংশই এ্যান্ড্রোয়েড ভার্সনের। ব্যবহারকারীদের জন্য নতুন এ্যাপস তৈরি দেশী আইটি সেক্টরে নতুন ক্ষেত্র তৈরি করছে। ছোট বড় একাধিক সফটওয়্যার কোম্পানি নিয়মিত তৈরি করছে প্রয়োজনীয় মোবাইল এ্যাপস। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সিএসই বা কম্পিউটার সায়েন্স এ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং-এ অধ্যয়নরত বা সদ্য পাস করে বেরিয়েছে। এমন ছেলে-মেয়েরা আইটির এই নতুন ক্ষেত্রে মনোনিবেশ করতে আগ্রহী। অনেকে আবার এসব প্রতিষ্ঠানে এ্যাপস তৈরিতে ক্যারিয়ার গড়ছেন। অনেক তরুণ নিজেদের কৌতূহলী আগ্রহের কারণে অনলাইনে ডেমো দেখে তৈরি করছেন নতুন এ্যাপ্লিকেশন। এই ফোন এ্যাপস অনলাইন ডেভেপমেন্ট কোর্স, গুগোল এ্যাপস ফর ওয়ার্ক বা অনলাইন এ্যাপস ডেভেলপমেন্ট কোর্স সহ অনেক হোম মেইড সুবিধা অনলাইনে সচরাচর। অল্প সময়ের মধ্যে বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি আইটি প্রতিষ্ঠান এ্যাপস তৈরিতে সাফল্য দেখিয়েছে। *ঞড়ঢ় ড়ভংঃধপশ ষড়নধষব ওহভড়ঃবপয ংুংঃবস *ঈ্ঋ উল্লেখযোগ্য। এসব প্রতিষ্ঠান পেশাগতভাবে নতুন এ্যাপ্লিকেশন তৈরি করছে। *টধষবৎঃ *৫০ খধহমঁধমব *ঈড়হঃধপঃ ইধপশঁঢ়-এর মতো প্রয়োজনীয় এ্যাপস তৈরিতে সাফল্য দেখিয়েছে। সময়ের তাগিদে এ্যান্ড্রোয়েড এ্যাপ্লিকেশন বা এ্যাপস ব্যবহারকারীদের কাছে অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। যার কারণে এ সেক্টরে কাজ করার সম্ভাবনা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। ছবি : ইবনুল আসেফ জাওয়াদ মডেল : নাসির ও বিভা
×