ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ফিটনেস ক্যাম্প নিয়ে বললেন ইমরুল কায়েস, বুধবার শুরু জাতীয় দলের কন্ডিশনিং ক্যাম্প

দক্ষতা বৃদ্ধির বড় সুযোগ

প্রকাশিত: ০৬:৩৪, ১৯ জুলাই ২০১৬

দক্ষতা বৃদ্ধির বড় সুযোগ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ দেশের মাটিতে অক্টোবরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ খেলার কথা রয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের। সেই সিরিজটি আদৌ হয় কিনা, তা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে আগেই। সম্প্রতিই রাজধানীর গুলশানে সন্ত্রাসী হামলার পর ইংল্যান্ড এ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি) তাদের সরকারের সবুজ সঙ্কেতের অপেক্ষায় আছে। দ্রুতই ইংল্যান্ড থেকে নিরাপত্তা পর্যবেক্ষক দল আসবে। যদি তারা নিরাপত্তা নিয়ে সন্তুষ্ট হন, তাহলেই বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড সিরিজটি হবে। ৩০ সেপ্টেম্বর ইংল্যান্ড দলের বাংলাদেশে আসার কথা। সিরিজে ৩ ওয়ানডে ও ২ টেস্ট হওয়ার কথা রয়েছে। সে উপলক্ষে ইতোমধ্যেই ৩০ সদস্যের বাংলাদেশ প্রাথমিক দল ফিটনেস ক্যাম্প শুরু হবে বুধবার। এর আগেই ব্যক্তিগত উদ্যোগে জিম সেশন শুরু করে দিয়েছেন ক্রিকেটাররা। সোমবার মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জিম শেষে ওপেনার ইমরুল কায়েস দাবি করেন ফিটনেস ক্যাম্প ক্রিকেটারদের উন্নয়নের মানদ-। তিনি মনে করেন কোন ক্রিকেটারের ফিটনেস ভাল থাকলে তার ক্রিকেটীয় দক্ষতাও বেশি প্রদর্শন করা সম্ভব হয়। ইমরুলের দাবি বেশি সময় পাওয়াতে উন্নতি করার ভাল সুযোগ আছে। এখনও জাতীয় দলের কোচ চান্দিকা হাতুরাসিংহে বাংলাদেশে ফেরেননি। ছুটিতে আছেন তিনি। জাতীয় দলের প্রধান কোচ আসার আগেই জাতীয় দলের ট্রেনার মারিও ভিল্লাভারায়নের তত্ত্বাবধানে বুধবার শুরু হবে কন্ডিশনিং ক্যাম্প। সেখানে মূলত ফিটনেস নিয়েই কাজ করা হবে প্রাথমিকভাবে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে হোমসিরিজের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) ঘোষিত ৩০ সদস্যের দল এই ফিটনেস ক্যাম্পে অংশ নেবেন। যদিও দেশসেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান থাকছেন না। কারণ ক্যারিবীয় প্রিমিয়ার লীগ (সিপিএল) টি২০ খেলতে এখন তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজে অবস্থান করছেন। আগামীকাল কন্ডিশনিং ক্যাম্প শুরু হলেও এর আগে থেকেই কয়েকজন ক্রিকেটার ব্যক্তিগত উদ্যোগে শুরু করে দিয়েছেন অনুশীলন। মূলত জিমেই সময় কাটাচ্ছেন তারা। সোমবার জিম সেশন শেষ করে ইমরুল এই কন্ডিশনিং ক্যাম্প নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘অনেকদিন পর আবার ফিটনেস ক্যাম্প করছি। কারণ এ রকম সুযোগ সবসময় আসে না। একবার ফিটনেস ক্যাম্প করলে হয়ত এক/দুই বছর খুব ভালভাবে ক্রিকেট খেলা যায়। তো প্রত্যেকটা খেলোয়াড়ই আমার মনে হয় গুরুত্বের সঙ্গে ক্যাম্পটা করবে। নিজেদের ক্যারিয়ার এবং ফিটনেসের জন্য কাজ করবে।’ এপ্রিলের শুরুতে টি২০ বিশ্বকাপ শেষ হওয়ার পর থেকে ক্রিকেটাররা কোন আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেননি। মাঝে ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লীগে ব্যস্ত ছিলেন ক্রিকেটাররা। সেটার পরও তিন সপ্তাহের বেশি পেরিয়ে গেছে। লম্বা বিরতির কারণে ফিটনেসটা কেমন অবস্থায় আছে সেটা পরখ করার জন্যই আগেভাগে শুরু হয়ে যাবে কন্ডিশনিং ক্যাম্প। কারণ সামনে টানা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আছে বাংলাদেশ দলের। এ বিষয়ে ইমরুল বলেন, ‘আমি সর্বপ্রথম বলব আমাদের সামনে যে খেলাগুলো আছে, পরবর্তী বছরে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি তার আগে নিউজিল্যান্ড সফর। এর আগে আয়ারল্যান্ডের সঙ্গে খেলা আছে। আমরা সবচেয়ে ভাল সময় পেয়েছি ফিটনেসে উন্নতি করার জন্য। সুযোগ থাকলে প্রতিটা দেশেই ফিটনেসে উন্নতি করে। তো আমার মনে হয় এটা সেরা সুযোগ ফিটনেসে উন্নতি করার।’ ফিটনেস ট্রেনিংয়ের পরই হবে ক্রিকেটারদের দক্ষতা নিয়ে কাজ। সেখানে থাকবেন প্রধান কোচ হাতুরাসিংহে ছাড়াও জাতীয় দলের অন্য কোচরা। তবে স্কিল ট্রেনিং কবে শুরু হবে সে বিষয়ে ইমরুল নির্দিষ্ট করে কিছু জানাতে পারেননি। তবে সে বিষয়ে এ ওপেনার বলেন, ‘সব সময়ই আমরা দক্ষতার উন্নতি ঘটানোর চেষ্টা করি। একটু বিশ্রাম থাকলে আবার কিছুটা ঘাটতি তৈরি হয়ে যায়। সব সময়ই যখন অনুশীলন করি দিনে দিনে উন্নতি করার চেষ্টা করি। আমার কাছে মনে হয় সামনে ফিটনেস ক্যাম্পের পর যখন স্কিল নিয়ে কাজ করব সবার জন্যই ভাল হবে। ফিটনেস ভাল থাকলে দক্ষতাও ভাল হয়।’ দীর্ঘ সময় পাবেন ক্রিকেটাররা নিজেদের দক্ষতা বৃদ্ধির জন্য। আর সেজন্য এটাকে দারুণ গুরুত্বের সঙ্গেই দেখছেন ইমরুল।
×