ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

এআরএম হোল্ডিংস কিনতে যাচ্ছে জাপানের সফট ব্যাংক

প্রকাশিত: ০৪:১৮, ১৯ জুলাই ২০১৬

এআরএম হোল্ডিংস কিনতে যাচ্ছে জাপানের সফট ব্যাংক

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ যুক্তরাজ্যের সর্ববৃহৎ প্রযুক্তি কোম্পানি এআরএম হোল্ডিংসকে কিনতে যাচ্ছে জাপানের সফট ব্যাংক। এ লক্ষ্যে কোম্পানিটিকে ৩২০০ কোটি ডলারের প্রস্তাব দিয়েছে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ এই প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান। তবে এ নিয়ে নব্য গঠিত ব্রিটিশ সরকার বিপাকে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সোমবার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, শেয়ারহোল্ডাররা সফট ব্যাংকের দেয়া প্রস্তাব গ্রহণ করবে বলে প্রত্যাশা করছে এআরএম হোল্ডিংস। কেমব্রিজভিত্তিক কোম্পানিটির সেমিকন্ডাক্টর ও সফটওয়্যার নির্মাতা হিসেবে বিশ্বজুড়ে বিশেষ খ্যাতি রয়েছে। ব্রিটিশ প্রযুক্তি পণ্যের উপর এটি সবচেয়ে মূল্যবান ধাতব পদার্থ ব্যবহার করে থাকে। এছাড়া এআরএম এ্যাপলের আইফোনের মাইক্রোচিফ ডিজাইন করে। ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, প্রযুক্তি পণ্য নির্মাণে বেশ সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছে এআরএম হোল্ডিংস। একে কিনতে পারলে বৈশ্বিক প্রযুক্তি পণ্য ব্যবসায় নেতৃত্ব দিতে সক্ষম হবে সফট ব্যাংক এমনটিই মনে করছে জাপানের প্রযুক্তি জায়ান্টটি। তবে এআরএমকে কিনতে সফট ব্যাংকের প্রস্তাব নতুন ব্রিটিশ সরকারের জন্য ঝামেলার সৃষ্টি করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কারণ, থেরেসা মে সরকার এখনও গুছিয়ে উঠতে পারেনি। তাছাড়া নীতি নির্ধারণগত সমস্যা তো রয়েছেই। বিবিসি বলছে, যুক্তরাজ্যে এআরএমের কর্মীবাহিনীর সংখ্যা আগামী পাঁচ বছরে দ্বিগুণ করতে চায় জাপানের প্রযুক্তি জায়ান্ট সফট ব্যাংক। এক্ষেত্রে ব্রিটিশ সরকারের হস্তক্ষেপ নাও মানতে পারে প্রতিষ্ঠানটি। উল্লেখ্য, ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় এআরএম হোল্ডিংস। কোম্পানিটিতে ৩০০০ বেশি কর্মী কাজ করেন। আর ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় সফটব্যাংক। দুর্যোগসহনশীল নারকেল চারা আমদানি অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ উপকূল এলাকা প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ কমিয়ে আনতে দেশে আমদানি করা হয়েছে উন্নত জাতের নারিকেল চারা। ভিয়েতনাম থেকে নিয়ে আসা এসব চারা চাষ করা হবে বাণিজ্যিকভাবে। এতে দক্ষিণাঞ্চলে লবণাক্ত সহনীয় ফসল উৎপাদনের মাধ্যমে চাষিরাও আর্থিকভাবেও স্বাবলম্বী হবে বলে মনে করে কৃষি বিভাগ। পরিবেশ উন্নয়নে এই উদ্যোগকে ইতিবাচক হিসেবেই দেখছেন কৃষিবিদরা। প্রতিবছরই ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের মতো প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হতে হয় বাংলাদেশকে। এসব দুর্যোগে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় উপকূলীয় এলাকার প্রান্তিক মানুষ। সেই সঙ্গে হুমকির মুখে পড়ে ফুল-ফসল ও জীব বৈচিত্র্য। এতে দীর্ঘ মেয়াদী ক্ষতি হয় আর্থিক ও পরিবেশের। আগামীতে এমন ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনতে উপকূল এলাকা বেষ্টিত জেলাগুলোতে দুর্যোগসহনীয় নারিকেল চারা রোপণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। মাছের ঘের ও পুকুরের পাড় ও আশপাশে রোপণ করা হবে এসব চারা। এরই মধ্যে ভিয়েতনাম ও ভারত থেকে দুই দফায় আনা হয়েছে ৩০ হাজার উন্নত জাতের চারা। খাটো জাতের এসব গাছে তিন বছরের মধ্যে পাওয়া যাবে ফলন। প্রতি গাছে বছরে উৎপাদন হবে প্রায় ২০০ ডাব বা নারিকেল। বছরব্যাপী ফল উৎপাদন প্রকল্পের পরিচালক মেহেদী মাসুদ বলেন, নারকেল গাছ লবণাক্ত পানি পছন্দ করে। সেজন্য বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে নারকেল চাষের বিশাল একটা সুযোগ রয়েছে। কৃষিবিদ মোঃ কামরুজ্জামান মনে করেন, একজনের বাড়িতে ১০টি নারকেল গাছ থাকলে সেখান থেকে ৭০ থেকে ৭৫ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব।
×