ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ওকসের দুর্লভ দশ, মিসবাহর উল্টো রথ

প্রকাশিত: ০৬:১৫, ১৮ জুলাই ২০১৬

ওকসের দুর্লভ দশ, মিসবাহর উল্টো রথ

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ লর্ডস টেস্টে দু’দলের ক্রিকেটাররাই একের পর এক ব্যক্তিগত রেকর্ড গড়ে চলেছেন। শুরুটা করেছিলেন মিসবাহ-উল হক। ‘অধিনায়ক’ সবচেয়ে বেশি বয়সে সেঞ্চুরির নতুন নজির স্থাপনকারী পাকি ‘বুড়ো’ দ্বিতীয় ইনিংসে আবার ‘ডাক’ (০) মেরেছেন, ঢুকে গেছেন আরেকটি নেতিবাচক রেকর্ডে। গ্রেট সুনীল গাভাস্কারককে টপকে ‘ওপেনার’ হিসেবে বেশি টেস্ট রানের মালিক হয়েছেন এ্যাস্টিার কুক। প্রথম ইনিংসে প্রতিপক্ষের ৬ উইকেট নিয়ে লর্ডসের অনার্স-বোর্ডে নাম লিখিয়েছেন ইয়াসির শাহ। মোহাম্মদ আমিরের প্রত্যাবর্তন-আলোচনা ছাপিয়ে চার ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্টে উইকেট শিকারের দুলর্ভ এক নজির স্থাপন করেছেন ক্রিস ওকস। দুই ইনিংস মিলিয়ে ইংলিশ পেসার নিয়েছেন ১১ উইকেট, ৬+৫; ১৯৭৮ সালের পর ক্রিকেট তীর্থ লর্ডসে কোন ইংল্যান্ড বোলারের দুই ইনিংসে পাঁচ শিকারের ঘটনা এই প্রথম। ইনজুরির জন্য খেলছেন না ইংল্যান্ড ইতিহাসের সর্বোচ্চ উইকেটের মালিক জেমস এ্যান্ডারসন। অনেকে ভেবেছিলেন তার অনুপস্থিতিতে স্টুয়ার্ড ব্রডের ওপরই থাকবে স্বাগতিক পেস আক্রমণের দায়িত্ব। কিন্তু বল হাতে মাঠে ঝলক দেখালেন ‘অলরাউন্ডার’ ওকস। প্রথম ইনিংসে ২৪ ওভার বল করে ৭০ রান দিয়ে ৬ উইকেট নেয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে ১৮ ওভারে ৩২ রান দিয়ে মিডিয়াম পেসারের শিকার সংখ্যা ৫। মেডেন যথাক্রমে ৭ ও ৬ ওভার করে। লর্ডসে ইংল্যান্ডের হয়ে দুই ইনিংসেই ৫টি করে উইকেট নেয়ার আগের রেকর্ডটি ছিল ইয়ান বোথামের। ১৯৭৮ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ইনিংসে সাবেক গ্রেটের বোলিং ৬/১০১ ও ৫/৩৯। সেই থেকে লর্ডসে ইনিংসে ১১ উইকেট নেয়ার মাত্র তৃতীয় ঘটনা এটি। মাঝে স্টুয়ার্ড ব্রড একবার পেয়েছিলেন সমান উইকেট, তবে তাতে দুই ইনিংস ‘৫’ ছিল না। ২০১২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ৭/৭২Ñ এর পরপর দ্বিতীয় ইনিংসে তার বোলিং ৪/৯৩, এই ম্যাচে যিনি নিয়েছেন ৩+৩ উইকেট। এরপরও ম্যাচে এ পর্যন্ত সবচেয়ে আলোচিত মিসবাহর ওই সেঞ্চুরি। প্রথম দিনেই যখন সেঞ্চুরি হাঁকান তখন তার বয়স ৪২ বছর ৪৭ দিন। গড়েন ‘অধিনায়ক’ হিসেবে বেশি বয়সে সেঞ্চুরির নতুন রেকর্ড। আগে যেটি ছিল বব সিম্পসনের দখলে, সাবেক অস্ট্রেলিয়া অধিনায়ক সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন ৪১ বছর ৩৫৯ দিন বয়সে, সেটি ১৯৭৭-১৯৭৮ মৌসুমে। দ্বিতীয় ইনিংসে শূন্য (০) রানে সাজঘরে ফিরে একদিনের ব্যবধানে সেই তিনিই আরেকটি নেতিবাচক রেকর্ডের ভাগিদার হয়েছেন। একই টেস্টে সেঞ্চুরি ও শূন্য রানে আউট হওয়ার ঘটনা ক্রিকেট ইতিহাসে অনেক, তবে ক্রিকেট তীর্থ লর্ডসে মাত্র দ্বিতীয়। এক্ষেত্রে মিসবাহ স্মরণ করিয়েছেন চার্লি ডেভিসকে। ১৯৬৯ সালে প্রথম ইনিংসে ১০৩Ñএর পর দ্বিতীয় ইনিংসে ‘ডাক’ পেয়েছিলেন সাবেক উইন্ডিজ ব্যাটসম্যান। লর্ডসে সেটিই ছিল এতদিন এমন একমাত্র ঘটনা। সর্বোপরি এই তালিকায় আছেন বাংলাদেশের জাভেদ ওমর বেলিম (গোল্লা)। ২০০৩ সালে পেশোয়োরে ১১৯ ও ০ করেছিলেন সাবেক টাইগার ওপেনার। হিসেবটা উল্টে দিলে, অর্থাৎ প্রথম ইনিংসে শূন্যে’র (০) পর দ্বিতীয় ইনিংসে সেঞ্চুরি; লর্ডসে এমন কীর্তি ছয়জনেরÑ হ্যারি ট্রট, সিডনি বার্নস, পিটার মে, রয় ফ্রেডেরিকস, দিলীপ ভেংসরকার ও মাইকেল ভন। ‘লর্ডস’ বাইরে রাখলে সর্বোপরি এই তালিকায় আছেন দুই বাংলাদেশীওÑ মোহাম্মদ আশরাফুল (২০০৭, কলম্বো) ও তামিম ইকবাল (২০১০, মিরপুর)।
×