ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

নাশকতার প্রস্তুতি, দুই আদিবাসী আটক

উলফা কানেকশন- ফের শেরপুর সীমান্তে অস্ত্র ও গ্রেনেড উদ্ধার

প্রকাশিত: ০৫:৪১, ১৮ জুলাই ২০১৬

উলফা কানেকশন- ফের শেরপুর সীমান্তে অস্ত্র ও গ্রেনেড উদ্ধার

নিজস্ব সংবাদদাতা, শেরপুর, ১৭ জুলাই ॥ ভারতীয় বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন ইউনাইটেড লিবারেশন ফ্রন্ট অব অসম-উলফা’র আস্তানা হিসেবে পরিচিত জেলার ঝিনাইগাতী সীমান্ত থেকে এবার হ্যান্ডগ্রেনেড, অস্ত্র ও গুলিসহ ২ আদিবাসীকে আটক করেছে ডিবি পুলিশ। রবিবার সকাল পৌনে ১০টায় একটি পিস্তল, ২টি ম্যাগজিন, ৫ রাউন্ড গুলি ও একটি তাজা হ্যান্ডগ্রেনেডসহ তাদের আটক করা হয়। এরা হলো উপজেলার বড় গজনী এলাকার মৃত নগেন্দ্র সাংমার ছেলে সিষ্টো মারাক (৪০) এবং মৃত জ্যাকোব মারাকের ছেলে অনুকূল সাংমা (৪৫)। অন্যদিকে, এবারও ধারণা করা হচ্ছে, উলফার সঙ্গে জড়িত ওই ২ আদিবাসী বড় ধরনের কোন নাশকতা ঘটানোর জন্যই প্রস্তুতি নিচ্ছিল। যদিও পুলিশ ও দায়িত্বশীল সূত্রগুলো এ কথা সরাসরি স্বীকার করছে না। শেরপুরের ডিবি পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহফুজুর রহমান জানান, আটক ২ ব্যক্তি অস্ত্র ব্যবসায় জড়িত। তারা বেশ কিছুদিন ধরে গোয়েন্দা নজরদারিতে ছিলেন। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সকাল পৌনে ১০টার দিকে শেরপুর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল বড় গজনী গ্রামের উলফা কমান্ডার রঞ্জন চৌধুরীর (বর্তমানে সাজাপ্রাপ্ত) বাড়ি সংলগ্ন সিষ্টো মারাকের বাড়িতে অভিযান চালায়। এক পর্যায়ে একটি কলাগাছের নিচে গর্ত খুঁড়ে পলিথিনে মোড়ানো একটি তাজা হ্যান্ডগ্রেনেড, একটি ৭.৬৫ এমএম পিস্তল, ৫ রাউন্ড তাজা গুলি ও ২টি ম্যাগজিন উদ্ধার করা হয়। অভিযান চলাকালে সিষ্টো মারাক ও তার সহযোগী অনুকূল সাংমা পালানোর চেষ্টা করলে তাদের আটক করা হয়। ওই ঘটনায় ডিবি পুলিশের এসআই সজীব বাদী হয়ে ঝিনাইগাতী থানায় অস্ত্র ও বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ জানায়, গ্রেফতারকৃত ২ আদিবাসীকে সোমবার রিমান্ডের আবেদনসহ আদালতে সোপর্দ করা হবে। জবাবে ঝিনাইগাতী থানার ওসি বলেন, তদন্ত ছাড়া এখনও বলা যাচ্ছে না গ্রেনেড ও অস্ত্রের উৎস কোথাকার এবং তারা কী উদ্দেশে এগুলো তাদের হেফাজতে রেখেছিল। উল্লেখ্য, এর আগেও সীমান্তবর্তী নালিতাবাড়ী, ঝিনাইগাতী এবং শ্রীবরদী উপজেলার পাহাড়ী জনপদের বিভিন্ন এলাকা থেকে বেশ কয়েক বার বড় ধরনের অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে।
×