ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ভাঙ্গার কার্যক্রম শুরু

প্রকাশিত: ০৫:৩৮, ১৮ জুলাই ২০১৬

বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের  কেন্দ্রীয় কার্যালয় ভাঙ্গার কার্যক্রম  শুরু

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউয়ের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ভাঙ্গার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। দৃষ্টিনন্দন ও অত্যাধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন ১০ তলাবিশিষ্ট নতুন ভবন নির্মাণের উদ্দেশে পুরনো এ ভবন ভাঙ্গা হচ্ছে। ২০১৮ সালের মধ্যে নতুন এ ভবন নির্মাণ শেষ করার টার্গেট নির্ধারণ করা হয়েছে। রবিবার সকালে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন পুরনো ভবন ভাঙ্গার কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। ভাঙ্গার কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের মন্ত্রী মোশাররফ হোসেন বলেন, ৬ দশমিক ৯ কাঠার এই জায়গায় ১০ তলা ভবন নির্মাণ করা হবে। সেখানে আওয়ামী লীগ, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ, সহযোগী সংগঠনগুলোর কার্যালয়সহ সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের জন্য আলাদা ফ্লোর এবং ২-৩টি সম্মেলন কক্ষ থাকবে। ভবনটি ভাঙ্গতে লাগবে দুই মাস। দেড় বছরের মধ্যে ভবনটির নির্মাণকাজ শেষ হবে। ভবন নির্মাণকাজের সার্বিক বিষয় তিনি দেখভাল করবেন বলেও জানান। তিনি বলেন, নতুন পুরো ভবনই ওয়াইফাইয়ের আওতায় থাকবে। ভবনে থাকবে কনফারেন্স হল, সেমিনার রুম, ডিজিটাল লাইব্রেরি, ভিআইপি লাউঞ্জ, ক্যান্টিন, সাংবাদিক লাউঞ্জ এবং ডরমিটরিও। ছয় থেকে সাত তলা পর্যন্ত থাকবে আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর কার্যালয়। নতুন ভবনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের জন্য পৃথক কক্ষ এবং সেই কক্ষের সঙ্গে বারান্দাও থাকবে। তিনি বলেন, নতুন ভবন নির্মাণের জন্য পুরনো ভবনের সব অফিস আশপাশের ‘সুবিধামতো স্থানে’ সরে গেছে। আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ সাংসদ এইচ এন আশিকুর রহমান বলেন, ভবনটির নির্মাণ ব্যয় ১০ থেকে ১১ কোটি টাকা ধরা হয়েছে। এর ব্যয়ভার বহন করবেন আওয়ামী লীগ দলীয় মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও দলের সাধারণ সদস্য। অর্থাৎ দলীয় চাঁদার ওপর ভিত্তি করে এই ভবন নির্মিত হবে। আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ বলেন, ২০১৮ সালের জুলাই মাসে নবনির্মিত ভবনে দলীয় কার্যক্রম শুরু হবে। আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো আপতত নিজ নিজ দায়িত্বে বিভিন্ন জায়গায় অফিস কার্যক্রম চালাচ্ছেন। তবে দুই মাসের মধ্যে কোন একটি বিল্ডিং ভাড়া করে সেখানে সবাই অফিস করবেন। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গোটা দেশবাসী ঐক্যবদ্ধ আছে। যারা সন্ত্রাসকে লালন-পালন করে সন্ত্রাসের বীজ বপন করেছেন, তারাই এখন সন্ত্রাসীদের রক্ষার জন্য ঐক্যের কথা বলছেন। বিএনপি জামায়াত ছাড়লে তাদের সঙ্গে ঐক্য সম্ভব কি না একজন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের হানিফ বলেন, ‘আমার একটু জানার আগ্রহ, ইদানীং কিছু হলেই মানুষ বলে ঐক্য ঐক্য। ঐক্যটা হবে কিসের ওপর ভিত্তি করে? একটা সরকার দেশ পরিচালনা করে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। মানুষের শান্তি প্রতিষ্ঠা করেছে। এখন সবার নৈতিক দায়িত্ব হচ্ছে সরকারকে সহায়তা করা, যেন তারা ভালভাবে দেশ পরিচালনা করতে পারে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী সরকার গঠনের দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই বলেছিলেন, আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাব। এই ঐক্য বলতে এটাই বোঝায় যে সরকারকে সহায়তা এবং কোন কারণ ছাড়াই সরকারের বিরুদ্ধে অবস্থান না নেয়া।’ সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় ভবনের তিন তলায় সাঁটানো দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সাইনবোর্ড সরিয়ে ফেলা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্য সহযোগী সংগঠনের টেবিল-চেয়ার, বইপত্র ও সাংগঠনিক কাগজপত্র সরিয়ে নেয়া হয়। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার অনুমোদন দেয়া ‘থ্রিডি নকশা’ অনুসারে ১০ কোটি টাকা ব্যয়ে এই ভবন নির্মাণের মূল দায়িত্বে আছেন গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।
×