ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

আহসান উল্লাহ হত্যা

হাইকোর্টের রায় বহালের প্রতিবাদে টঙ্গীতে সড়ক অবরোধ

প্রকাশিত: ০৫:৩৮, ১৮ জুলাই ২০১৬

হাইকোর্টের রায়  বহালের প্রতিবাদে টঙ্গীতে সড়ক  অবরোধ

নিজস্ব সংবাদদাতা, টঙ্গী, ১৭ জুলাই ॥ আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলায় হাইকোর্টের রায় বহালের প্রতিবাদে রবিবার টঙ্গীতে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। রায় ঘোষণার পর টঙ্গী-কালীগঞ্জ রোডে কয়েকটি গাড়ি ভাংচুরের ঘটনাও ঘটে। বেলা সাড়ে ১১টায় রায় ঘোষণার পর স্থানীয় নতুন বাজার ও স্টেশন রোড এলাকায় টঙ্গী থানা আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে মিছিল বের হয়। একই সঙ্গে টঙ্গী মিলগেট ও কলেজ গেট এলাকায় খ-খ- মিছিল বের করে স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনগুলো। মিছিলকারীরা এক পর্যায়ে দুপুর ১টার দিকে স্টেশন রোড, মিলগেট ও কলেজ গেট এলাকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করেন। স্থানীয় ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি শাহ আলমের নেতৃত্বে স্টেশন রোড বাসস্ট্যান্ড এলাকায়, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রার্থী দেলোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে মিলগেট এলাকায় মহাসড়কের ওপর একাধিক টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করা হয়। টঙ্গী থানা ছাত্রলীগ সভাপতি কানন মোল্লা ও যুবলীগ নেতা বিল্লাল মোল্লার নেতৃত্বে কলেজ গেট ও চেরাগ আলী মার্কেট এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল শেষে মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করা হয়। পরে বৃষ্টির কারণে অবরোধকারীরা সড়ক থেকে সরে গেলে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে যান যলাচল শুরু হয়। ২০০৪ সালের ৭ মে সন্ত্রাসীদের গুলিতে আহসান উল্লাহ মাস্টার নিহত হন। এ ঘটনায় টঙ্গীর প্রভাবশালী সরকার পরিবারের সদস্য যুবদল নেতা নূরুল ইসলাম সরকারকে হুকুমের আসামি ও তৎকালীন জাতীয় ছাত্রসমাজের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম দীপুকে প্রধান আসামি করে জ্ঞাত ১৭ ও অজ্ঞাত ১০-১২ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন আহসান উল্লাহ মাস্টারের ছোট ভাই মতিউর রহমান মতি। ওই মামলায় ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১-এর বিচারক ২০০৫ সালের ১৬ এপ্রিল জাপা চেয়ারম্যান এরশাদের পুত্রখ্যাত নুরুল ইসলাম দীপু (বর্তমানে জাতীয় পার্টির যুগ্ম আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক) ও যুবদল নেতা নুরুল ইসলাম সরকারসহ ২২ আসামিকে মৃত্যুদণ্ড এবং ছয় আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন। রায়ে ঢাকার দুই আসামি খালাস পান। এক যুগ পর আপীলের রায়ে ১৫ জুন আহসান উল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলায় ছয় আসামির মৃত্যুদণ্ড ও আটজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় হাইকোর্ট। রায়ে অপর ১১ আসামিকে খালাস দেয়া হয়। এই রায়ে স্থগিতাদেশ চেয়ে আপীল করলে ১১ আসামিকে খালাস করে দেয়া হাইকোর্টের রায় ১৪ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করে চেম্বার আদালত। অবশেষে রবিবার প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার নেতৃত্বাধীন একটি পূর্ণাঙ্গ আপীল বেঞ্চ হাইকোর্টের ওই রায়ই বহাল রাখে।
×