ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

জঙ্গীবাদ নির্মূলে সবার সহযোগিতা ও পরামর্শ চাইলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:৩৬, ১৮ জুলাই ২০১৬

জঙ্গীবাদ নির্মূলে সবার সহযোগিতা ও পরামর্শ চাইলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ জঙ্গীবাদ নির্মূলে সকলের সহযোগিতা ও পরামর্শ চাইলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তিনি বলেন, অপরাধীরা কে কোথায় আছে সে তথ্য আমাদের হাতে এসেছে। আমরা কঠোর ব্যবস্থা নেব। রবিবার রাজধানীর খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে ‘জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক’ মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকের নামে কিছু নামধারী শিক্ষক রয়েছেন, যারা জঙ্গীবাদের মতো ভয়াবহ কর্মকা-ে সরাসরি জড়িত রয়েছেন, তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে। সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা স্মরণ করিয়ে দিয়ে আইজিপি একেএম শহীদুল হক সবাইকে যার যার অবস্থানে থেকে সঙ্কট মোকাবেলায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন। এদিকে শিক্ষার্থীদের জঙ্গীবাদে জড়িয়ে পড়ার ঘটনাকে ‘ক্যান্সার’ আখ্যায়িত করে সবাইকে নিয়েই তা ছেঁটে ফেলার ঘোষণা দিয়েছেন সমালোচনার মুখে থাকা নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম। খামারবাড়ির মতবিনিময় সভায় বক্তব্যে তাঁরা এ কথা বলেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অপরাধীরা কে কোথায় আছে সে তথ্য ইতোমধ্যে আমাদের হাতে এসেছে। আমরা কঠোর হতে চাই। আইন অনুযায়ী যা হওয়ার তাই হবে। যারা পথভ্রষ্ট হয়েছেন তারা ফিরে আসুন তাও আমরা চাই। জঙ্গীবাদ নির্মূলে সকলের সহযোগিতা ও পরামর্শ চান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষকের নামে কিছু নামধারী শিক্ষক রয়েছেন, যারা জঙ্গীবাদের মতো ভয়াবহ কর্মকা-ে সরাসরি জড়িত রয়েছেন, তাদের চিহ্নিত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। এ সময় তিনি অভিভাবকদের সন্তানদের প্রতি বিশেষ নজর দেয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন। আগামী ২৩ জুলাই পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের নিয়ে একই ধরনের আরও একটি সভা করার ঘোষণা দেন শিক্ষামন্ত্রী। তার পর দেশের সব মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষকদের নিয়েও মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হবে। শিক্ষামন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কিছু নামধারী শিক্ষক জঙ্গীবাদের মতো জঘন্য কর্মকা-ে জড়িত রয়েছেন। আমরা তাদের মধ্যে কিছু চিহ্নিত করেছি, করছি। তাদের সতর্ক হতে বলব। শীঘ্রই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তাদের এ পেশায় থাকার কোন অধিকার নেই। তিনি বলেন, আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর নজর রাখছি। অনেক বিশ্ববিদ্যায়ের প্রতি আমরা চার বছর ধরে নজর রাখছি। অনেক বিশ্ববিদ্যালয়কে দিকনির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তারা এখনও সে অনুসারে চলছে না। ছাত্রছাত্রীদের প্রতি বিশেষ যতœ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, অনেক শিক্ষক বলেন, এত ছাত্রছাত্রীর প্রতি কিভাবে খেয়াল রাখব। তাদের বলব, যদি ছাত্রদের চিনতে ও খেয়াল রাখতে না পারেন তাহলে আপনার প্রতিষ্ঠানে কেন ভর্তি করাবেন? অভিভাবকদের বলব, তারা তাদের সন্তানদের প্রতি বিশেষ নজর দেবেন। যদি সন্তানদের মধ্যে আচারণগত বিশেষ কোন পরিবর্তন দেখতে পান, তাহলে প্রশাসনকে জানাবেন। নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, এক সময় ৫৬টি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যলয় ছিল। এখন ৯৫টি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যায় চালু রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় এখনও কার্যক্রম শুরু করেনি। অনেক বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে, যারা পাঁচ বছরে আগে শর্তপূরণের আশ্বাস দিয়েছিল। অথচ তারা কোন শর্তই পূরণ করেনি। কিছু কিছু প্রতিষ্ঠান আইনের তোয়াক্কাই করে না। অনেক বিশ্ববিদ্যালয় উচ্চ আদালতের সাহায্য নিয়ে এখনও টিকে আছে। যারা শুধু মুনাফার লোভে এ ব্যবসায় এসেছেন তাদের বলব, শিক্ষায় মুনাফার কোন সুযোগ নেই। বর্তমানে এক হাজার ৪৮৪ জন বিদেশী ছাত্র বাংলাদেশে লেখাপড়া করছেন। এ সংখ্যা আরও বাড়াতে চাই। আমরা সামনের দিকে এগিয়ে নিতে চাই। বর্তমানে তিন লাখের বেশি পাবলিক ও চার লাখ ৬৩ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করছে। আমরা কোন শিক্ষার্থীকে আলাদাভাবে দেখতে চাই নাÑ বলেন শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে আধুনিক বাংলাদেশ গড়ে তোলা। এজন্য নতুন প্রজন্মকে গড়ে তুলতে হবে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্টিফিকেটনির্ভর শিক্ষা ব্যবস্থা চাই না। কারিগরি শিক্ষার ওপর জোর দিচ্ছি। এর পাশাপাশি নতুন প্রজন্মকে নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে। তাদের দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। আইজিপি বলেন, আমাদের যার যার অবস্থান থেকে এ সঙ্কট মোকাবেলা করা উচিত। আপনাদের পাশে নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কাজ করবে। সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জঙ্গী কর্মকা-ের সঙ্গে জড়িয়ে পড়ার নতুন নতুন তথ্য আসার প্রেক্ষাপটে রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘জননিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক’ এ মতবিনিময় সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন আইজিপি। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, শিক্ষা সচিব সোহরাব হোসাইন, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান, র‌্যাব মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ, ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া ছাড়াও শিক্ষাবিদ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উর্ধতন কর্মকর্তারা এ সভায় উপস্থিত ছিলেন। বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান, উপাচার্য ছাড়াও ছাত্র, শিক্ষক ও অভিভাবক প্রতিনিধিরা অংশ নেন এ মতবিনিময়ে। সভার শুরুতে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান ও অতিরিক্ত কমিশনার মনিরুল ইসলাম মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের (উত্তর) সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকও সভায় বক্তব্য দেন। আইজিপি বলেন, কে সন্ত্রাস করল, কে কোন্ দলের, কে কোন্ মতের সেটা বড় কথা নয়। সন্ত্রাসী- জঙ্গীবাদীদের সন্ত্রাসী হিসেবে চিহ্নিত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে চাই, আপনাদের সহযোগিতা দরকার। তরুণদের সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদে জড়িত করা হচ্ছে মন্তব্য করে আইজিপি বলেন, কোরানের কিছু সূরার অংশ বিকৃত করে জিহাদের নামে বেহেশতে যেতে পারবে বলে তরুণদের বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। বেহেশতের আশায় তারা জীবন বিসর্জন দেয়। তিনি বলেন, তারা মানবতার বিরুদ্ধে হামলা করছে। এসব হামলা করে দেশে ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টা করেছে। দেশের উন্নয়ন, স্থিতিশীলতা ও অগ্রগতি ধ্বংস করার জন্য ষড়যন্ত্র করেছে। আগে মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ প্রবণতা দেখা গেলেও এখন ভাল ভাল বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ছেলেরাও জঙ্গী কর্মকা-ে জড়িয়ে পড়ছে। এ বিষয়ে পরিবার ও শিক্ষকদের সহযোগিতা চেয়ে তিনি বলেন, সন্তানরা যেন বিপথে না যায় তা দেখার দায়িত্ব পরিবারের। আমি মনে করি শিক্ষকদেরও দায়দায়িত্ব আছে নজরদারির। সামাজিক দায়িত্ব থেকে মোকাবেলা করা উচিত। সবার সহযোগিতা নিয়ে জঙ্গীবাদ-সন্ত্রাসবাদ মোকাবেলার আশা প্রকাশ করে আইজিপি বলেন, সন্তানরা যেন এসব কর্মকা-ে জড়িয়ে না পড়তে পারে তার দায়িত্ব আমাদের। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যারা আছেন তাদেরও দায়িত্ব আছে নজরদারি করার। কিভাবে নজরদারি করা যায় সে বিষয়ে আপনারা মতামত দেবেন। জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে সরকারের কী করা উচিত সে বিষয়ে পরামর্শ চাওয়ার পাশাপাশি নতুন করে কাউকে যেন জঙ্গীরা রিক্রুট করতে না পারে সে বিষয়ে সজাগ থাকার পরামর্শ দেন পুলিশপ্রধান। বর্তমানে দেশে ৯৫ বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকারী অনুমোদন রয়েছে। এর মধ্যে ৮০ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া উচ্চবিত্ত পরিবারের ছেলেরাও সাম্প্রতিক সময়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে জঙ্গীবাদে ঝুঁকছে বলে তথ্য আসায় উদ্বেগ তৈরি হয়েছে সরকার ও অভিভাবক মহলে। গত ১ জুলাই গুলশানের জঙ্গী হামলার পর সশস্ত্র বাহিনীর অভিযানে নিহত ছয়জনের মধ্যে পাঁচজনের ছবি প্রকাশ করে আইএস। ঈদের দিন কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় পুলিশের গুলিতে এক যুবক নিহত হন। এ ছয়জনের চারজনই বিভিন্ন ব্যয়বহুল ইংরেজী মাধ্যমের স্কুলে লেখাপড়া করেছে। তাদের দু’জন ঢাকার নামী বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় নর্থ সাউথ ইউনিভার্সিটির ছাত্র ছিল, একজন ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের। এর আগে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী ও ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার হত্যা মামলায় যে আটজনের সাজার আদেশ হয়েছে, তাদের মধ্যে সাতজনই নর্থ সাউথের শিক্ষার্থী ছিলেন। গত বছর বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) তদন্ত দল নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রন্থাগারে নিষিদ্ধ সংগঠনর হিযবুত তাহরীরের বইপত্র পায়। জঙ্গীবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে কয়েকজন শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে ওই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারও করা হয়। কোন তরুণ বাড়ি থেকে পালিয়ে জঙ্গী দলে ভিড়েছে কি-না তা জানতে পরিবারের কাছে তথ্য চেয়েছে সরকার। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোকেও বলা হয়েছে, কোন শিক্ষার্থী টানা দশ দিন অনুপস্থিত থাকলেই সে তথ্য সরকারকে জানাতে হবে। আগামী ২৩ জুলাই রাজধানীর সেগুনবাগিচায় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে সরকারী বিশ্ববিদ্যালগুলোর সঙ্গে একই ধরনের সভা করবে সরকার। এদিকে শিক্ষার্থীদের জঙ্গীবাদে জড়িয়ে পড়ার ঘটনাকে ‘ক্যান্সার’ আখ্যায়িত করে সবাইকে সঙ্গে নিয়েই তা ছেঁটে ফেলার ঘোষণা দিয়েছেন সমালোচনার মুখে থাকা নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আতিকুল ইসলাম। জঙ্গী শিক্ষার্থীদের মদদ দেয়ার অভিযোগে উপ-উপাচার্য গ্রেফতার হওয়ার পরদিন রবিবার ঢাকায় বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের নিয়ে সরকার আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ ঘোষণা দেন তিনি। জঙ্গী কর্মকা-ে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের জড়িয়ে পড়ার নতুন নতুন তথ্য আসার প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের প্রথম দিককার এ বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়টি ইমেজ সঙ্কটে পড়েছে বলে স্বীকার করেন অধ্যাপক আতিকুল। গুলশান ও শোলাকিয়ায় জঙ্গী হামলার পর নিহত দুই হামলাকারী নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ছিল বলে পরিচয় প্রকাশের পর তুমুল আলোচনা শুরু হয়। গুলশানে জিম্মিদশা থেকে উদ্ধার এ বিশ্ববিদ্যালয়টির সাবেক শিক্ষক হাসনাত রেজা করিমকে নিয়ে সন্দেহের উদ্রেকের মধ্যেই শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত উপ-উপাচার্য গিয়াস উদ্দিন আহসানকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ২০১৩ সালে ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার হত্যাকা-ে নর্থ সাউথের সাত ছাত্রের সাজা হয়েছিল। তখন একবার আলোচনা হলেও মাঝে তা স্তিমিত থাকার পর এখন নতুন করে আলোচনায় বিশ্ববিদ্যালয়টি। মতবিনিময় সভায় সবার আলোচনা শুনে অধ্যাপক আতিকুল বলেন, সবার সঙ্গে একাত্মতা ঘোষণা করছি, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ক্যান্সার অপারেশন করে ফেলে দিতে হবে। কী কী করণীয় তা শুনেছি, এর অনেক পদক্ষেপই নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইতোমধ্যে নেয়া হয়েছে। নর্থ সাউথ নিয়ে উদ্বেগ থেকে দু’দিন আগে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের একটি প্রতিনিধি দলও রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়টির ক্যাম্পাসে গিয়ে কিছু পরামর্শ দিয়ে আসে।
×