ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ফারহানা তাসনিম

বর্ষামুখর শ্রাবণ

প্রকাশিত: ০৪:৩৭, ১৮ জুলাই ২০১৬

বর্ষামুখর শ্রাবণ

হঠাৎ হঠাৎ কয়েক পশলা বৃষ্টি হচ্ছে, সঙ্গে স্বস্তির শীতল হাওয়া। জুড়িয়ে যাচ্ছে দেহমন। তবে খুব শীঘ্রই শ্রাবণের ঢল শুরু হবে। বর্ষাকাল মানেই মেঘলা আকাশ। আকাশের মর্জির কোন বালাই নেই। এই হয়ত মেঘের আড়ালে সূর্য উঁকি দিল, আবার পরক্ষণেই কালো মেঘের দাপটে সূর্যের হাসি হারিয়ে গেল। মেঘের কালো চাদরে আকাশ ছেয়ে যায়। ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামে, ক্লান্তিহীন বৃষ্টি। এ না হলে বর্ষকাল! ঘরের জানালা খুলে বাইরে বৃষ্টি পড়া দেখবেন, বৃষ্টির টুপটাপ শব্দ শুনবেন আপনি। বৃষ্টির হালকা ছটা এসে পড়বে আপনার গায়ে। বৃষ্টি নিয়ে এ ধরনের রোমান্টিক চিন্তা আপনি করতেই পারবেন। তবে ঘরের চার দেয়ালের মাঝে বৃষ্টিকে ঘিরে যতই কল্পনার ফানুস ওড়ান না কেন ঘরের বাইরের বাস্তবতার কিন্তু ভিন্ন। বর্ষার দিনগুলোতে ঘর থেকে বাইরে পা রাখলেই এ বাস্তবতার সঙ্গে পরিচয় ঘটবে আপনার। বৃষ্টি মানেই রাস্তাঘাট কাদায় সয়লাব, যানবাহনের আকাল, তাছাড়া বৃষ্টিতে ভিজে সিজনাল রোগ বালাই সদি-জ্বর-কাশি বাঁধানোর সম্ভাবনা তো রয়েছেই। তবে এসব সমস্যা কোন সমস্যা নয়, যদি বর্ষার জন্য আপনার সঠিক প্রস্তুতি থাকে। বর্ষার দিনে বাইরে যেতে কোন পোশাক পারবেন? হয়ত ভাবছেন, কোন পোশাকটি পরলে আপনার সমস্যা হবে না। দুর্যোগের এ দিনগুলোতে জর্জেট সিল্ক অর্থাৎ সিনথেটিক কাপড়ই হলো আদর্শ পোশাক। সিনথেটিকে বড় সুবিধা হলো কোন কারণে ভিজে গেলে চট করে সেটা শুকিয়ে যায়। এ ছাড়া এ ধরনের কাপড়ে কাদা বেশিক্ষণ আটকে থাকতে পারে না। ফলে তিলা পড়া, কাপড়ে ভাঁজ পড়া বা দুর্গন্ধ হওয়া ইত্যাদি কাপড় সংক্রান্ত জটিলতার সম্মুখীন হতে হয় না। বর্ষা হলেই সিনথেটিক কাপড়ই কেবল পরতে হবে এমন কোন কথা নেই। সুতি কাপড়ে আরাম বোধ করলে সেটা বেছে নিতে পারেন। বর্ষার দিনে হাতঘড়ির দিকে একটু বেশি নজর দিতে হবে। খেয়াল রাখবেন, আপনার ঘড়িটি যেন ওয়াটারপ্রুফ হয়। বৃষ্টির দিন শুরু হওয়া মানেই আপনার নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর তালিকায় ছাতার গুরুত্ব বেড়ে যাওয়া। ঝমঝমিয়ে যতই বৃষ্টি নামুক না কেন, বৃষ্টির অজুহাতে অফিসে যাওয়া, বাজার করা যেমন বন্ধ করা যায় না তেমনি ছেলেমেয়েদের স্কুল-কলেজ-ভার্সিটিতে যাওয়া থেকে বিরত রাখা যাবে না। বৃষ্টির দিনগুলোতে প্রতিদিনের সঙ্গী হিসেবে বেছে নিন ছাতাকে। বাজারে এক রঙা ছাতার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রিন্টের ছাতা পাওয়া যায়। আপনি আপনার রুচি আর বাজেটের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে পছন্দের ছাতা বেছে নিতে পারেন। মহিলারা হালকা গোলাপি, অফ হোয়াইট, বেগুনি, লাল, বাদামি প্রভৃতি রঙের ছাতা কিনতে পারেন। এক রঙা আর প্রিন্টের ফিউশন ছাড়াও এখন বাজারে পাওয়া যায়। তবে প্রিন্ট বা এক রঙা যে ধরনের ছাতা কিনুন না কেন, এখন কিন্তু ফোল্ডিং ছাড়ার কদরই বেশি। ফোল্ডিং ছাতার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এটি খুব সহজেই ছোট করে ব্যাগের এক কোনায় রেখে দেয়া সম্ভব। ফলে আলাদা করে হাতে ছাতার বোঝা বইতে হয় না। এ ছাড়াও ছাতা যাদের একদমই অপছন্দ তারা রেইন কোট বেছে নিতে পারেন। বর্ষার দিনগুলোতে শখের জুতোর বেহাল অবস্থা কারও সহ্য হয় না। বর্ষাকাল এলেই আপনার সুন্দর জুতোগুলো বাক্সবন্দী করে ফেলুন। চামড়ার সুন্দর জুতোকে আপাতত বিদায় জানিয়ে র‌্যাকসিন, রবার তার প্লাস্টিকের জুতোর আপন করে নিন। বর্ষাবান্ধব এসব জুতো চলার পথে আপনাকে দেবে যেমন স্বচ্ছন্দ তেমন স্থায়িত্ব। এসব জুতোর দামও আপনার আয়ত্বের মধ্যে থাকে। বৃষ্টির দিনগুলোতে মেকআপ সামগ্রীগুলো যাতে ওয়াটারপ্রুফ হয় সে দিকে লক্ষ্য রাখুন তা না হলে বৃষ্টিতে ভিজে আপনার মেকআপের অবস্থা খুব খারাপ হয়ে যেতে পারে। তাই মেকআপ নেয়ার ক্ষেত্রে সতর্কতা অবলম্বন করুন। বৃষ্টির দিনে হালকা মেকআপ নেয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। বর্ষা মানেই তো শুধু বৃষ্টি দিনে হালকা মেকআপ নেয়াটাই বুদ্ধিমানের কাজ। বর্ষা মানেই তো শুধু বৃষ্টি নয়। বৃষ্টির পরপরই অনেক সময় ভ্যাপসা গরম স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ার সৃষ্টি হয়। মেকআপ নেয়ার সময় আবহাওয়ার দিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। বর্ষার সময় মেকআপ নেয়ার সময় প্রথমে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধোয়ার পর সারা মুখ বরফ দিয়ে ঘষে নিন। এতে মেকআপ নেয়ার পর ঘেমে যাওয়ার প্রবণতা কমে যাবে। বর্ষাকালে আর্দ্রতা বেশি থাকে বলে অনেকেই ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করেন না। কিন্তু এটা ভুল ধারণা। বর্ষার মৌসুমে রুজ বা পাউডার ব্যবহার না করাই ভাল। চোখ সাজানোর জন্য যে আইলাইনার ও মাশকারাটি ব্যবহার করবেন তা ওয়াটারপ্রুফ কিনা দেখে নিন। বৃষ্টির পানিতে আপনার ঘরের ফ্লোর ডুবে যাবে নাÑএমন নিশ্চয়তা কেউ দিতে পারে না। বৃষ্টির পানিতে ঘরের ফ্লোর ডুবে যাওয়ার আগে সতর্কতা অবলম্বন করা দরকার। প্রস্তুতি বা সতর্কতা যাই বলুন, প্রথমেই নজর দিতে হবে ইলেকট্রনিক্স জিনিসপত্রের দিকে। কারণ ইলেকট্রনিক্স জিনিসপত্রের সবচেয়ে বড় শত্রু হচ্ছে পানি। বৃষ্টির দিনে বাড়িতে পানি ঢোকার সম্ভাবনা দেখা দিলেই ঘরের কম্পিউটার, টিভি, ফ্রিজসহ বিভিন্ন প্রয়োজনীয় ইলেকট্রনিক সামগ্রীগুলো সরিয়ে নিরাপদ জায়গায় রাখার ব্যবস্থা করুন। এ ছাড়া কাঠের কিংবা মেলামাইন বোর্ডের তৈরি ঘরের আসবাবপত্রগুলোর নিচে ইট দিয়ে উঁচু করে নিন। এ জন্য বাড়ি তৈরি করার সময় কিছু বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখুন। যেমন রাস্তা এবং আপনার বাড়িটির লেভেল যেমন সমান হয়। রাস্তার লেভেলের চেয়ে আপনার বাড়ি নিচু হলে খুব সহজেই ঘরে পানি ঢোকার সম্ভাবনা থাকে। বাড়ির ইলেকট্রিক সুইচ বোর্ডটি একটু উপরে লাগিয়ে নিন। এমনকি পানি তোলার পাম্প মেশিনটির পানি থেকে নিরাপদ দূরত্বে যাতে অবস্থান হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। বৃষ্টির দিনগুলোতে রাস্তায় মৃত্যুকূপ হিসেবে আবির্ভূত হয় খোলা ম্যানহোল। খোলা ম্যানহোলে লম্বা কোন গাছের ডাল কিংবা বাঁশ দাঁড়িয়ে নিশ্চিত করুন-এটা ম্যানহোল, ঢাকনাবিহীন সামনে পা রাখলেই মহাবিপদ, অতএব সাবধান। বর্ষার দিনে রাস্তাঘাটে চলাচলে যানবাহন পেতে বেশি সমস্যা হয়। প্রয়োজনমতো কোন গাড়ি, রিকশা, সিএনজি, ট্যাক্সিক্যাব কিছুই পাওয়া যায় না। এ কারণে বেশ দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এ কারণে একটু বেশি সময় নিয়ে আগেভাগে ঘর থেকে বর্ষার দিনে বেরোতে চেষ্টা করুন। বৃষ্টির দিনে অনেকের ইচ্ছে করেই ভিজতে পছন্দ করেন। কিন্তু বৃষ্টিতে ভিজলে জ্বর, সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া, ব্রংকাইটিস, হাঁপানি ইত্যাদি হতে পারে তেমন কিছু হলো তো সব মজাই মাটি। বৃষ্টির দিনে বৃষ্টিজনিত নানা রোগব্যাধিতে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থেকে বাঁচতে বৃষ্টিতে ভেজার পর প্রথমে তোয়ালে দিয়ে পুরো শরীরটা ভাল করে মুছে নিন। তারপর শাওয়ার ছেড়ে একটু গোসল করে নিন। বর্ষার দিনে ডেঙ্গুজ্বর আর টাইফয়েডের আশঙ্কা থাকে। এসব রোগ থেকে রক্ষা পেতে বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করুন। মডেল : হৃদি ঘরে বসে রূপ চর্চা পরিমার্জনার দ্বারা ত্বককে এমন মাত্রায় তুলে নিয়ে যাওয়া যায় যখন পাশ দিয়ে চলে যেতে যেতে আনমনা মানুষটি ফিরে তাকাতে বাধ্য হয়। কিন্তু জানতে হবে পরিমার্জনার পদ্ধতি। এ জন্য এখন কষ্ট করে দূরে কোথাও গিয়ে শিখে আসার প্রয়োজন নেই। নিজে ঘরে বসেই রূপ চর্চার কিছু টিপস দেয়া হলো হ হাসিনা আক্তার নুমনী বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে দেশ। ধারাবাহিকতায় দিন দিন ফ্যাশনসচেতন হয়ে উঠছে মানুষ। নিজেকে পরিপাটি রাখতে এখন ব্যস্ত সবাই। রূপ শুধুই জন্মগত প্রাপ্তি নয়। নানা ধরনের পরিচর্চায় হয়ে ওঠা যায় আকর্ষণীয়। পরিমার্জনার দ্বারা ত্বককে এমন যাত্রায় তুলে নিয়ে যাওয়া যায় যখন পাশ দিয়ে চলে যেতে যেতে আনমনা মানুষটি ফিরে তাকাতে বাধ্য হয়। কিন্তু জানতে হবে পরিমার্জনার পদ্ধতি। এ জন্য এখন কষ্ট করে দূরে কোথাও গিয়ে শিখে আসার প্রয়োজন নেই। নিজে ঘরে বসেই ররূ চর্চার কিছু টিপস দেয়া হলো। ১. ঘুম থেকে উঠে কাঁচা দুধ, শশার রস ও পাতিলেবুর সর কিছুক্ষণ মুখে লাগিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ২. ব্রণের সমস্যা থাকলে শশা ও আঙুরের রস, চন্দন বাটা, পাতিলেবুর রস, কমলালেবুর খোসা বাটা একসঙ্গে মিশিয়ে পুরো মুখে লাগিয়ে ৩০ মিনিট পর মুখ ধুয়ে ফেলুন। ৩. পীচ ফল কুরিয়ে মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ধুয়ে ফেললে মুখ উজ্জ্বল দেখায়। এছাড়া, এটি মুখে লাগালে মুখের বলিরেখা দূর হয়। এটি মুখে টোনার হিসেবেও কাজ করে থাকে। ৪. পীচ ফলের নির্যাস মুখে বাড়তি ময়েশ্চার দেয়। মুখ পরিষ্কার করতে দুধ , পাতিলেবুর রস ও কাঁচা হলুদ বাটা একসঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করুন। ৫. শশা ও তরমুজের রস সমপরিমাণে মিশিয়ে মুখে লাগন। ১৫-২০- মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন। গরমে যে কোন ত্বকেই ভাল এই ময়েশ্চার। ৬. মুখে শুধু শশা বাটা লাগালেও ভাল টোনারের কাজ দেয়। ৭. দই আর বেসন একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগান। কিছুক্ষণ পর ঠা-া পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। শুষ্ক ত্বকে এটি আদর্শ। ৮. মুলতানি মাটি ও ঠা-া গোলাপজল একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগান। ৯. রোদে বেরুনোর আগে এবং রোদ থেকে ঘুরে এসে মসুরডাল বাটা ও টমেটোর রস মুখে লাগিয়ে ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। ১০. ঠোঁটের কালো দাগ দূর করতে প্রতিদিন পাতিলেবুর রস চিনি দিয়ে ঠোঁটের চারপাশে ঘষুন যতক্ষণ না চিনি গলে যায়। ১১. ত্বকের যতেœ মাঝে মাঝে স্টিম নেয়া উচিত। এছাড়া দাগ দূর করতে নিমপাতা ফোটানো পানি ব্যবহার করতে পারেন। তবে ত্বকের ধরন ও বয়স বুঝে স্টিম নিতে হবে। ১২. দুধ জ্বাল দেবার আগে দু’চামচ দুধ নিন এবং তা দিয়ে মুখ ম্যাসেজ করার পর শুকিয়ে গেলে ধুয়ে ফেলুন। এতে ত্বকের কোমলতা ফিরে আসবে। ইলিশ-খিচুড়ির কয়েক পদ Ñশামীমা বেগম আনারস ইলিশ যা লাগবে: ইলিশ মাছ বড় ১টি, লবণ ২ চামচ, মরিচবাটা বা গুঁড়া ২ চা চামচ, হলুদবাটা ২ চা চামচ, পেঁয়াজবাটা ১/২ কাপ, ধনেবাটা ২ চা চামচ, সয়াবিন তেল ১/২ কাপ, আনারস ১টি (বাটা মসলার বদলে গুঁড়া ব্যবহার করতে পারেন)। যেভাবে করবেন : ইলিশ মাছের বড় টুকরা করতে হবে। গোটা আনারস লম্বায় দু’ফালি করতে হবে। মাঝের শক্ত অংশ তুলে ফেলতে হবে। চাকু দিয়ে সøাইস পাতলা করে কেটে নিতে হবে। একটা বড় কড়াই নিতে হবে যাতে সব মাছ বিছিয়ে দিতে পারেন। কড়াইর তেল গরম হলে বাটা মসলা কষাতে হবে এবং পানি দিয়ে ভাল করে কষাতে হবে। মসলা কষা হয়ে গেলে আনারস দিয়ে নেড়ে কয়েক মিনিট ফুটাতে হবে। লবণ দিতে হবে। দুই চা চামচ চিনি দিতে হবে। এক কাপ পানি মাছে বিছিয়ে দিতে হবে। প্রয়োজন হলে পানি আরো একটু দেয়া যেতে পারে। যেন মাছ পানিতে ডুবে থাকে। ঢাকনা দিয়ে রান্না করতে হবে। পানি অর্ধেক হলে ৫-৬ টি কাঁচামরিচ দিতে হবে। পানি শুকিয়ে তেলের ওপর উঠলে নামিয়ে ফেলতে হবে (মাছে বেশি তেল থাকলে তেল কম এবং আনারস মিষ্টি বেশি হলে চিনি কম দিতে হবে)। ভাত, খিচুড়ি বা পোলাও-এর সঙ্গে পরিবেশন করুন আনারস ইলিশ ভাজা ইলিশ যা লাগবে : ইলিশ মাছ ১টি, ময়দা ২ কাপ, লেবুর রস ১ টে. চামচ, লবণ ২ চা চামচ, আদাবাটা ১/২ চা চামচ, তেল ১/২ কাপ, হলুদবাটা ১/২ চা চামচ, গোল মরিচগুঁড়া ১/২ চা চামচ, কাঁচামরিচ বাটা ১/২ চা চামচ। যেভাবে করবেন : ইলিশ মাছ টুকরা ধুয়ে পানি ঝরাতে হবে। লেবুর রস ও অল্প লবণ দিয়ে ১০ মি. ভিজিয়ে রাখতে হবে, রস, বাটা মসলা এক সঙ্গে মিশিয়ে মাছ দিয়ে মাখিয়ে রাখতে হবে। ময়দায় তেলের ময়ান দিতে হবে। এক কাপের চাইতে কম পানি দিয়ে ঘন গোলা করতে হবে, লবণ ও গোল মরিচের গুঁড়া মিশিয়ে ২/১ ঘণ্টা রাখতে হবে। কড়াইয়ে তেল গরম করতে হবে। টুকরা মাছ গোলায় ডুবিয়ে ডুবো তেলে ভাজতে হবে। কড়াই থেকে মাছ তুলে টিস্যু পেপারে রাখতে হবে। চা বা ভাত বা খিচুড়ির সঙ্গে খাওয়া যেতে পারে। আম ইলিশ যা লাগবে : মাঝারি সাইজের ইলিশ ১টি, সরষের তেল ২ টেবিল চামচ, কালোজিরা সিকি চা চামচ, সাদা সরষে ২ চা চামচ, নারকেল আধা মালা, চিনি ১ চা চামচ, কাঁচা আম ২ টুকরো, কাঁচামরিচ ৪টি, লবণ আন্দাজমত ও হলুদ আধা চা চামচ। যেভাবে করবেন : প্রথমে মাছ কেটে ধুয়ে লবণ-হলুদ মেখে হালকা করে ভেজে তুলে রাখুন। সাদা সরষে, নারকেল মিহি করে বেটে নিন। এবার মাছের টুকরোগুলো বাটা সরষে ও নারকেল, কাঁচা মরিচ, চিনি, কাঁচা আমের মিশ্রণে ঘণ্টা খানেক মাখিয়ে রাখুন। এরপর কড়াইতে তেল গরম করে কালোজিরা ফোড়ন দিয়ে মাখানো মাছে ছাড়ুন। একটু ভাজা ভাজা হলে সামান্য পানি দিয়ে মৃদু আঁচে রাখুন। মাছের গায়ে মসলা মাখা হলে নামিয়ে নিন। ইচ্ছে হলে নামাবার আগে ধনেপাতা কুচি দিতে পারেন। ভুনা খিচুড়ি যা লাগবে : পোলাওর চাল ২০০ গ্রাম, ভাজা মুগ ডাল ১০০ গ্রাম, রসুন ও আদা বাটা দুইচা চামচ, আদা, গরম মসলা ( দারুচিনি, এলাচ), কয়েকটা তেজপাতা, ২টা পেঁয়াজ বেরেস্তা, ঘি দুই টেবিল চামচ, তেল এক কাপ, লবণ, চিনি, স্বাদ মতো, কাঁচামরিচ ৪-৫ টি এবং পানি পরিমাণ মতো। যেভাবে করবেন : হাঁড়িতে তেল দিন। এতে আস্ত গরম মসলা, তেজপাতা দিন। পোলাওয়ের চাল, ভাজা ও সেদ্ধ করে রাখা মুগডাল দিন। ভাজা ভাজা হলে অর্ধেক পেঁয়াজ বেরেস্তা ও আদা-রসুন বাটা দিন। পরিমাণ মতো পানি দিয়ে ঢেকে দিন। যদি এক কাপ চাল ও ডালের মিশ্রণ হয় তবে দেড় কাপ পানি দিতে হবে। নামানোর আগে কাঁচামরিচ, লবণ ও পেঁয়াজের বেরেস্তা দিন। এই খিচুড়ি পোলাওয়ের মতো ঝরঝরে হবে। উপরে ঘি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন। ইলিশ খিচুড়ি যা লাগবে: খিচুড়ির মোটা চাল ৫০০ গ্রাম মসুর এবং মুগডাল মিলিয়ে ৪০ গ্রাম ইলিশ মাছ ৪ পিস পেঁয়াজ মিহি করে কাটা ১/২ বাটি রসুন বাটা ১ চা চামচ, কাঁচামরিচ ৮-১০ টি লবণ স্বাদ অনুযায়ী তেজপাতা ২ টি রসুন কুচি ১ টেবিল চামচ আদা কুচি ২ টেবিল চামচ পেঁয়াজ মোটা করে কাটা ১ বাটি হলুদ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ মরিচ গুঁড়া ১ টেবিল চামচ জিরা গুঁড়া ১ চা চামচ সরিষার তেল পানি পরিমাণমতো। যেভাবে করবেন : প্রথমে চাল এবং ডাল একসঙ্গে ভালো করে ধুয়ে নিন। একটি পাতিলে তেল গরম করে পেঁয়াজ এবং বাকি সব কুচি করা ও গুঁড়া মসলা এবং স্বাদ অনুযায়ী লবণ দিয়ে মসলা ভালো করে কষিয়ে চাল ও ডাল দিয়ে ভালো করে ভেজে তাতে পরিমাণমতো পানি এবং কাঁচামরিচ দিয়ে ঢেকে রান্না করুন। এখন একটি কড়াইয়ে সরিষার তেল গরম করে তাতে ইলিশ মাছের টুকরার সঙ্গে অন্যান্য সব বাটা ও গুঁড়া মসলা, কালিজিরা, কাঁচামরিচ এবং স্বাদ অনুযায়ী লবণ দিয়ে মাখা মাখা করে রান্না করে ফেলুন ইলিশ মাছ। তারপর খিচুড়ি রান্না হয়ে এলে অর্ধেক খিচুড়ি তুলে নিয়ে রান্না করা মাছ বিছিয়ে উপরের বাকি রান্না করা খিচুড়ি ঢেকে দিয়ে আর ১০ মিনিট চুলায় রেখে রান্না করে গরম গরম পরিবেশন করুন ইলিশ খিচুড়ি।
×