ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

লর্ডস টেস্টে পাকিস্তানের লিড

প্রকাশিত: ০৬:২৬, ১৭ জুলাই ২০১৬

লর্ডস টেস্টে পাকিস্তানের লিড

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ লর্ডস টেস্টের প্রথম ইনিংসে লিড পেয়েছে পাকিস্তান। নিজেরা ৩৩৯/১০ করার পর ইংলিশদের ২৭২-এ গুটিয়ে দিয়ে ৬৭ রানে এগিয়ে থাকে মিসবাহ-উল হকের দল। তৃতীয় দিন এ রিপোর্ট লেখার সময় অবশ্য দ্বিতীয় ইনিংসে ৬৪ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসেছে সফরকারীরা। সাজঘরে ফিরেছেন দুই ওপেনার মোহাম্মদ হাফিজ (০), শান মাসুদের পাশাপাশি (২৪), আজহার আলি (২৩) এবং অভিজ্ঞ মিসবাহ (০)। দুটি উইকেট নিয়েছেন ক্রিস ওকস। সব মিলিয়ে ১৩১ রানের লিড পাকিস্তানের। ‘অধিনায়ক’ হিসেবে সবচেয়ে বেশি বয়সে মিসবাহর সেঞ্চুরির পর এই টেস্টে আলোচিত ‘ওপেনার’ হিসেবে এ্যালিস্টার কুকের সর্বোচ্চ রান এবং মাত্র ১৩ টেস্টে ৮২ উইকেট নিয়ে স্পিনার ইয়াসির শাহর শত বছরের রেকর্ড ভেঙ্গে দেয়া। ৭ উইকেটে ২৫৩ রান নিয়ে শনিবার দিনের খেলা শুরু করে ইংল্যান্ড। ১৯ রান যোগ করতেই বাকি তিন উইকেট হারায় তারা। অলআউট হয় ২৭২ রানে। সর্বোচ্চ ৮১ আগের দিন আউট হওয়া কুকের। এর মধ্য দিয়ে গ্রেট সুনীল গাভাস্কারকে (৯,৬০৭) টপকে টেস্ট ‘ওপেনার’ হিসেবে সবেচেয়ে বেশি রানের মালিক হন এ্যালিস্টার কুক (৯,৬৩০)। জো রুট ৪৮, জনি বেয়ারস্টো ২৯ এবং মঈন আলি করেন ২৩ রান। সঙ্গীরা সব একে একে সাজঘরে ফিরলে ৩৫ রান নিয়ে অপরাজিত থাকেন ক্রিস ওকস। লেগস্পিনে দুরন্ত ইয়াসিরের বোলিং ফিগার ২৯-৬-৭২-৬! ফলে ২০১৪ সালে অভিষেকের পর মাত্র ১৩ টেস্টে তার উইকেট এখন ৮২! বেচারা চার্লস থমাস বিয়াস টার্নার (চার্লি টার্নার) স্বর্গে বসেই হয়তো আফসোস করছেন। ১২৩ বছর আগে যে রেকর্ড তিনি গড়েছিলেন, তাতে ভাগ বসানোর সাহস শতাব্দীকালেও কেউ করতে পারেনি। দীর্ঘকাল পরে এসে চার্লি টার্নারের সেই রেকর্ডটাই ভেঙ্গে দিলেন তরুণ পাকিস্তানী স্পিনার! ১৩ টেস্টে সর্বোচ্চ ৮১টি উইকেট নিয়ে এতদিন সবার শীর্ষে ছিলেন সাবেক অস্ট্রেলিয়ান মিডিয়াম পেসার টার্নার। সেটি ১৮৯৩ সালের আগস্টে, দ্য ওভাল টেস্টে এ্যান্ড্রু স্টুডার্টকে বোল্ড করে ৮১তম উইকেটটি নিয়েছিলেন তিনি। এবার তাকে পেছনে ফেলে ১৩ টেস্টে ৮২ উইকেট নিয়ে ইয়াসির গড়লেন নতুন রেকর্ড। অথচ ইংল্যান্ডে এটি তার প্রথম টেস্ট। যেখানে পাকিস্তানী বোলার হিসেবে ইয়াসির শাহই এখনও পর্যন্ত সেরা। শুধু তাই নয়, ইংল্যান্ডের মাটিতে বিদেশী স্পিনার হিসেবেও সেরা বোলিংটা উপহার দিয়েছেন তিনি। আর লেগস্পিনার হিসেবে লর্ডসে সেরা বোলিংয়ের তালিকায় জায়গা করে নেন চতুর্থ স্থানে। লর্ডসের দ্বিতীয় ইনিংস এবং পরের তিন টেস্ট মিলিয়ে আর ১৮টি উইকেট তাকে এনে দিতে পারে কম ম্যাচে ১০০ শিকারের বিশ্বরেকর্ড (অভিষেক থেকে)। ১৬ টেস্টে শত শিকারে রেকর্ডটা সাবেক ইংল্যান্ড কিংবদন্তি জর্জ লোম্যানের।
×