ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সক্রিয়তা বেড়েছে

প্রকাশিত: ০৫:৫১, ১৭ জুলাই ২০১৬

প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সক্রিয়তা বেড়েছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সক্রিয়তায় চাঙ্গা হয়ে উঠেছে পুঁজিবাজার। পুঁজিবাজার নিয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থাসহ বাজার সংশ্লিষ্টদের ইতিবাচক সিদ্ধান্তের ফলে বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ধীরে ধীরে স্বস্তি ফিরতে শুরু করেছে। এরই ধারবাহিকতায় প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা বাজারমুখী হয়েছেন। বাজারে তাদের ক্রয় কার্যক্রমের প্রভাবে রবিবারের সূচক বেড়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এই প্রসঙ্গে একাধিক মার্চেন্ট ব্যাংক ও ব্রোকারেজ হাউসের উর্ধতন কর্মকর্তারা জানান, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের মধ্যে শেয়ার ক্রয়ের ঝোঁক বেড়েছে। তাই শেষ দিকে বাজারে ক্রয় চাপ বেড়ে যায়। পরিণতিতে সূচকে উত্থান ঘটেছে। একইসঙ্গে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আগ্রহও আগের তুলনায় অনেক বেড়েছে। এর আগে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি-৪ মোতাবেক ৪ জুলাই ২০১৬ তারিখ সরকারী ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। তাই ৪ জুলাইয়ের পরিবর্তে শনিবার ডিএসই-সিএসই খোলা রাখা হয়। বাজার বিশ্লেষণে দেখা গেছে, সপ্তাহের প্রথম কার্যদিবসে দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) সূচকের উর্ধমুখী প্রবণতায় শেষ হয় লেনদেন। এদিন শুরুতে বাজারে মিশ্র প্রবণতা থাকলেও শেষ দিবে সূচকের উত্থান ঘটে। শনিবার সূচকের পাশাপাশি বেড়েছে বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ার দর। আর টাকার অংকে ডিএসইতে আগের দিনের তুলনায় লেনদেন কিছুটা ধীরগতি। দিন শেষে ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ৩৭১ কোটি টাকা। দিনশেষে ডিএসইর সার্বিক সূচক আগের দিনের চেয়ে ১৬ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৪ হাজার ৫৫৪ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ১২০ পয়েন্টে এবং ডিএসই সূচক ৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ১ হাজার ৭৮৩ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ৩২৩ কোম্পানির মধ্যে দর বেড়েছে ১৪৬টির, কমেছে ১২২টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৫৫টির। আর দিনশেষে লেনদেন হয়েছে ৩৭১ কোটি ১০ লাখ ৩২ হাজার টাকা। গত বৃহস্পতিবার ডিএসইর সার্বিক সূচক ০.১৬ পয়েন্ট কমে অবস্থান করেছিল ৪৫৩৭ পয়েন্টে। আর ডিএসই শরিয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ১ হাজার ১১৬ পয়েন্টে এবং ডিএসই সূচক ২ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করে ১ হাজার ৭৭৮ পয়েন্টে। ওই দিন লেনদেন হয়েছিল ৪৫০ কোটি ৩২ লাখ ৬ হাজার টাকা। সেই হিসেবে ডিএসইতে লেনদেন কমেছে ৭৯ কোটি ৩০ লাখ ৭৪ হাজার টাকা। ডিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : একমি ল্যাবরেটরিজ, শাহজিবাজার পাওয়ার, মবিল যমুনা বিডি, বিএসআরএম লিমিটেড, ইসলামী ব্যাংক, ডেল্ট্রা ব্র্যাক হাউজিং, ইউনাইটেড পাওয়ার, আমান ফিড, স্কয়ার ফার্মা ও এসিআই ফর্মুলেশন। অন্যদিকে ঢাকার বাজারে লেনদেন কিছুটা কমলেও অপর বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সাধারণ সূচক ২৪ পয়েন্ট বেড়ে অবস্থান করছে ৮ হাজার ৫০২ পয়েন্টে। দিনভর লেনদেন হওয়া ২৫০টি কোম্পানির ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ১১৩টির, কমেছে ৯৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৮টির। সিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৩৫ কোটি ৪৮ লাখ ৬৪ হাজার টাকা। সিএসইর লেনদেনের সেরা কোম্পানিগুলো হলো : হাইডেলবার্গ সিমেন্ট, এ্যাপেক্স ফুটওয়ার, একমি ল্যাবরেটরিজ, বিএসআরএম লিমিটেড, ইসলামী ব্যাংক, শাহজিবাজার পাওয়ার, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, ডরিন পাওয়ার, ইউনাইটেড পাওয়ার ও ন্যাশনাল ফিড মিলস।
×