ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

প্রোটিনে ধ্বংস হবে এইচআইভি

প্রকাশিত: ০৬:১০, ১৬ জুলাই ২০১৬

প্রোটিনে ধ্বংস হবে এইচআইভি

একজন ভারতীয় বংশোদ্ভূতসহ বিজ্ঞানীরা গবেষণায় দেখতে পেয়েছেন, একটি হিউম্যান প্রোটিন সুপ্ত এইচআইভি ভাইরাসকে প্রকাশ্য অবস্থায় বের হয়ে আসতে বাধ্য করে এবং তা আরোগ্য সাধনে সাহায্য করতে পারে। আর যখন ওষুধ প্রয়োগ থামিয়ে দেয়া হয় তখন এই হিউম্যান প্রোটিন অসুখের পূর্বাবস্থায় যেতে বাধা দেয়। হিউম্যান ইম্যুনোডেফিসিয়েন্সি ভাইরাসে (এইচআইভি) আক্রান্ত হলে তা থেকে সেরে ওঠার সবচেয়ে বড় বাধা মানবদেহে সুপ্ত এইচআইভি আক্রান্ত সেলের উপস্থিতি। এ অবস্থায় এ্যান্টিরিট্রোভাইরাল ড্রাগ থেরাপি বন্ধ করা হলে সুপ্ত এইচআইভি পুনরায় শরীরকে দুর্বল ও নতুন ভাইরাস তৈরি করতে পারে। এসব সেলের ওপর এ্যান্টিরিট্রোভাইরাল থেরাপির প্রভাব পড়ে না এবং রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থায়ও ধরা পড়ে না। স্যান ফ্রান্সিসকোর ইউনিভার্সিটি অব ক্যালিফোর্নিয়ার ব্লাড সিস্টেমস রিসার্চ ইনস্টিটিউট (বিএসআরআই) এবং ইউনিভার্সিটি অব হাওয়াই এর গবেষকরা দেখেছেন, প্রোটিন গ্যালাকটিন-৯ কার্যকরভাবে সুপ্ত এইচআইভিকে প্রকাশ্যে বের হয়ে আসতে বাধ্য করে। প্রোটিন গ্যালাকটিন-৯ যে সুপ্ত এইচআইভিকে প্রভাবিত করে এবং রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থায় এইচআইভি আক্রান্ত কোষকে ধরা পড়াতে সাহায্য করে তা প্রমাণ করতে গবেষকরা কাটিং-এজ প্রযুক্তি ব্যবহার করেছেন। আরোগ্য সাধনে এইচআইভিকে সুপ্ত অবস্থা থেকে প্রকাশ্যে বের করে আনতে বাধ্য করার থেরাপির এই ধারণা ‘শক এ্যান্ড কিল’ এইচআইভি নির্মূল কৌশল হিসেবে পরিচিত। বিএসআরআই-এর গবেষক শতীষ পিল্লাই বলেন, ‘প্রায় দুই দশক ধরে এ্যান্টিরিট্রোভাইরাল থেরাপিতে এইচআইভি দমনে ফল পাওয়া গেছে। তবে এসব ওষুধে ভাইরাল ইনফেকশন থেকে পুরোপুরি মুক্তি মেলে না।’ গবেষকরা দেখেছেন, গ্যালাকটিন-৯ আক্রান্ত কোষে বেশ কার্যকরভাবে এ্যান্টিভাইরাল প্রোটিনের মাত্রা বৃদ্ধি করে যাকে ‘এপিওবিইসি৩জি’ বলা হয়। আর এই এপিওবিইসি৩জি এইচআইভিসহ ভাইরাসসমূহের জেনেটিক কোড ধ্বংসে মারণাস্ত্র হিসেবে কাজ করে। -এনডিটিভি অবলম্বনে
×