ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

নিবরাস ‘সাঈদ’ নামে চার মাস ঝিনাইদহে ছিল

প্রকাশিত: ০৫:৫৭, ১৫ জুলাই ২০১৬

নিবরাস ‘সাঈদ’ নামে চার মাস ঝিনাইদহে ছিল

নিজস্ব সংবাদদাতা, ঝিনাইদহ, ১৪ জুলাই ॥ ঢাকার গুলশান হলি আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গী হামলায় অংশ নেয়া নিহত নিবরাস ইসলাম ঝিনাইদহ শহরের সোনালীপাড়ার একটি ছাত্রাবাসে প্রায় ৪ মাস অবস্থান করেছিল। ওই ছাত্রবাসের ৪টি রুমে মোট ৮ জন ছিল বলে জানা গেছে। জঙ্গী হামলায় অংশ নেয়া নিবরাস ইসলামের ছবি প্রকাশ হওয়ার পর স্থানীয় একজন ছাত্র তাকে চিনতে পারে বলে জানিয়েছে। এ বিষয়ে পুলিশের কাছে এখনও পর্যন্ত সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য নেই। তবে তাঁরা খোঁজ খবর নিচ্ছেন বলে পুলিশ সুপার আলতাফ হোসেন জানিয়েছেন। সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঝিনাইদহ শহরের সোনালীপাড়ার অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য কওছার আলী নামে এক ব্যক্তির মালিকানাধীন একটি ছাত্রাবাস আছে। কয়েক মাস আগে সাঈদ নাম ধারণ করে নিবরাস ওই ছাত্রবাসে ওঠে। ছাত্রবাসের পাশের একটি ছোট খেলার মাঠে নিবরাস নিয়মিত খেলা করত। সোনালীপাড়া জামে মসজিদের ঈমাম রোকনুজ্জামান ৪ মাস আগে তাদের ওই ছাত্রাবাসে থাকার ব্যবস্থা করে দিয়েছিলেন। ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে ওই ৮ জন ছাত্রই ছাত্রাবাস ছেড়ে চলে যায়। তারপর থেকে তারা আর ফেরেনি। ঝিনাইদহ সরকারী কেসি কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২য় বর্ষের ছাত্র ও সোনালীপাড়ার মোকাররম হোসেনের ছেলে নওরজামিন বর্ষণ জানায়, ‘আমি সাঈদ নামে যে ছেলেকে চিনতাম সে আসলে সাঈদ নয়, তার নাম নিবরাস ইসলাম’। নওরজামিন বর্ষণ জানায়, আমি প্রতিনিয়ত ওই ছাত্রাবাসের পাশের একটি ছোট ফুটবল মাঠে খেলা করতাম। ওই মাঠে মেসের ছেলেরাও খেলত। প্রায় ৪ মাস আগে সাঈদ নামে একটি ছেলেও আমাদের সঙ্গে ফুটবল খেলা করবে বলে জানায়। এরপর থেকে মাস খানেক নিয়মিত ফুটবল খেলা করেছে। সে ভাল খেলোয়াড় ছিল। তার বাড়ি নাটোর বলে জানাত। সে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা দেয়ার জন্য মেসে থাকত বলে সবাইকে বলত। সে ভাল ইংরেজী বলতে পারত। ইংলিশ গান শুনার জন্যও আমাদের বলত। হঠাৎ কিছুদিন আর খেলতে আসত না। এরপর গুলশান আর্টিজান বেকারিতে জঙ্গী হামলার ঘটনার পর ফেসবুক, পত্রিকা ও টেলিভিশনে ছবি দেখে জানতে পারলাম এই সাঈদই নিবরাস ইসলাম। ওই ছবির সঙ্গে সাঈদের হুবহু মিল রয়েছে। এরপর থেকে ওই মেসে আর কাউকে দেখা যায়নি। সোনালীপাড়া ছাত্রবাসের মালিক কাওসার আলির স্ত্রী বিলকিস নাহার বলেন, আমাদের মেসে যারা থাকত তাদের উঠিয়েছেন সোনালীপাড়া মসজিদের ইমাম রোকনুজ্জামান। আমরা তাদের কাউকে চিনি না।
×