ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

আদর্শহীন মানুষের কাহিনী নিয়ে রচিত নাটক ‘দ্বীপ’ মঞ্চস্থ

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ১৫ জুলাই ২০১৬

আদর্শহীন মানুষের কাহিনী নিয়ে রচিত নাটক ‘দ্বীপ’ মঞ্চস্থ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পৃথিবী থেকে যেন ক্রমশ হারিয়ে যাচ্ছে মূল্যবোধ। অসাধুতার করাল থাবায় আক্রান্ত মানবসমাজ। অস্থির ও অরাজক সময়ে আদর্শ থেকে বিচ্যুত হচ্ছে নাগরিক। পথভ্রষ্ট সেই আদর্শহীন মানুষের কাহিনী নিয়ে রচিত নাটক দ্বীপ। নাট্যকার উৎপল দত্তের রচনা থেকে নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন তপন হাফিজ। নাট্যদল নাট্য তীর্থের তৃতীয় প্রযোজনাটির প্রদর্শনী হলো বৃহস্পতিবার। সন্ধ্যায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার স্টুডিও থিয়েটার হলে নাটকটির ৭৪তম মঞ্চায়ন হয়। প্রযোজনাটি প্রসঙ্গে নির্দেশক তপন হাফিজ বলেন, পৃথিবীতে এক ক্রান্তিকাল অতিবাহিত হচ্ছে। সেই ক্রান্তিকালে অস্থিরতা, অরাজকতা ও অসাধুতার কারণ খুঁজতে নিয়ে উপলব্ধি করেছি যে এর একমাত্র প্রধান কারণ হচ্ছে পৃথিবীর মানুষ কেবলই আদর্শচ্যুত হচ্ছে। সেই প্রেক্ষাপটে উৎপল দত্তের দ্বীপ নাটকটি খুবই প্রাসঙ্গিক মনে হয়েছে। মানুষ কিভাবে আদর্শচ্যুত হয় এবং তাতে মানুষের দ্বারা মানুষের কতবড় ক্ষতি হতে পারে সেই ঘটনাপ্রবাহই উঠে এসেছে এই নাটকে। নাটকের গল্পের প্রধান চরিত্র মিলন সরকার। প্রথম জীবনে এই মিলন সরকার সমাজতন্ত্রের আদর্শের অনুসারী থাকে। পরবর্তীতে আদর্শিক রাজনীতি থেকে বিচ্যুতি ঘটে তার। ব্যক্তিস্বার্থের লোভে সহজেই অসাধু হয়ে যায়। খবরের কাগজের মালিকের হুকুমে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় উস্কানিমূলক তথ্য সরবরাহ করে। একপর্যায়ে বিবেক তাকে তাড়িত করে নিয়ে আসে কাঠগড়ায়। যেখানে তার বিচারের সম্মুখীন হতে তারই সহকর্মী জনার্দন মল্লিক, কপিল নাথ ও ইউনুস মোহাম্মদের। সহকর্মীরা মিলনকে মনে করিয়ে দেয় যে সে আদর্শ থেকে বিচ্যুত হচ্ছে। সহযোদ্ধাদের জাগিয়ে দেয়া বিবেকের দংশনে ভুল বুঝতে পারে মিলন। তখন সে আবার ফিরে আসে আদর্শের পথে। এভাবেই শেষ হয় দ্বীপ নাটকের কাহিনী। নাটকে মিলন সরকারের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তপন হাফিজ। এছাড়া অন্য কয়েকটি চরিত্রে রূপ দিয়েছেন সাদিয়া ইসলাম শান্তা, শামসুর রহমান পেরু, মারুফ তমাল ও আমিনুল শুভ। ফয়েজ জহিরের মঞ্চ পরিকল্পনায় আলোক পরিকল্পনা করেছেন ঠা-ু রায়হান। এ কে আজাদের আবহসঙ্গীতে পোশাক পরিকল্পনা করেছেন কাজী শিলা। আজ থেকে জাদুঘরে মৃৎশিল্প প্রদর্শনী ॥ বাংলার লোকশিল্পের অনন্য নিদর্শন মৃৎশিল্প। আমাদের গৌরব ও ঐতিহ্যের অংশ। বাংলার সামাজিক সাংস্কৃতিক ইতিহাস রচনার অন্যতম উৎস। লোকায়ত শিল্পকলার ঐতিহ্যকে তুলে ধরার জন্য বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগের ছাত্রদের পোড়ামাটির শিল্পকর্ম এবং বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের সংগৃহীত লোকায়ত মৃৎশিল্পকর্মের বিশেষ প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে। মৃৎশিল্পের বিবর্তনের চিত্র এ প্রদর্শনীর মাধ্যমে অবলোকন করা যাবে। শুক্রবার বিকেল ৪টায় জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টশালী গ্যালারিতে এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন হবে। প্রধান অতিথি হিসেবে প্রদর্শনী উদ্বোধন করবেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন বরেণ্য শিল্পী রফিকুন নবী।
×