ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বেগম জিয়ার প্রতি আওয়ামী লীগ নেতাদের আহ্বান

জঙ্গীদের সঙ্গ ছেড়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণপ্রতিরোধ গড়ুন

প্রকাশিত: ০৫:৫৩, ১৫ জুলাই ২০১৬

জঙ্গীদের সঙ্গ ছেড়ে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গণপ্রতিরোধ গড়ুন

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ আওয়ামী লীগ নেতারা সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির এ দেশে জনগণ কোন সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদকে মেনে নেবে না। জঙ্গীদের সঙ্গে নিয়ে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া জঙ্গীবাদবিরোধী আন্দোলনের কথা বলছেন। তার আসল উদ্দেশ্য দেশবাসী ভাল করেই জানে। তাই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকলকে একযোগে ধর্মান্ধদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে। যুদ্ধ করে এদের পরাস্ত করতে হবে। বৃহস্পতিবার রাজধানীতে পৃথক অনুষ্ঠানে নেতারা এসব কথা বলেন। জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বাঙালী সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, জঙ্গীদের সঙ্গে নিয়ে খালেদা জিয়া জঙ্গীবাদবিরোধী আন্দোলনের কথা বলছেন। এটা জনগণের সঙ্গে তামাশা ছাড়া আর কিছু নয়। তিনি বলেন, বুধবার খালেদা জিয়া যে বৈঠক করে জঙ্গীবাদবিরোধী আন্দোলনের কথা বলেছেন, সেই বৈঠকে জঙ্গী প্রশিক্ষণ নেয়া ও জঙ্গীর সম্পৃক্ত অনেকেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন। জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দেশে আগের মতো সংস্কৃতির চর্চা হয় না। অথচ এ সংস্কৃতিই আমাদের স্বাধীন বাংলাদেশ গড়তে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আ আ স ম আরেফিন সিদ্দিক বলেন, জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাস রুখতে প্রাতিষ্ঠানিক ও পারিবারিকভাবে সচেতন হওয়া জরুরী। এর বিরুদ্ধে সবাইকে নিয়ে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। কেননা দেশে এই সন্ত্রাস হামলার কৌশল ভিন্ন। তাই একে প্রতিরোধ করতে সন্তানদের সুশিক্ষিত করে গড়ে তোলা উচিত। অভিভাবকদের আরও বেশি সচেতন হওয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, আমরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সন্তানদের পাঠিয়ে দিয়েই দায়িত্ব শেষ করছি। এত অল্প পরিসরে পারিবারিক দায়িত্ব পালন হয় না। তাই আমাদের এসব বিষয়ে সচেতন হতে হবে। ‘সাংস্কৃতিক আন্দোলনই রুখতে পারে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদ’ শীর্ষক গোল টেবিল বৈঠকে বক্তব্য রাখেন- চিত্রনায়ক ফারুক, নাট্যব্যক্তিত্ব ড. ইনামুল হক, নাট্যজন এসএম মোহসিন, কবি রবীন্দ্র গোপ, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী মনোরঞ্জন ঘোষাল, আবদুর জব্বার প্রমুখ। সন্ত্রাসের শেকড় উপড়ে ফেলা হবে -খাদ্যমন্ত্রী কামরুল ॥ খাদ্যমন্ত্রী এ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেছেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অটুট বন্ধনে আবদ্ধ এ দেশের মানুষ সন্ত্রাসবাদকে কখনও মেনে নেবে না। সন্ত্রাসী ও জঙ্গীদের স্থান এ মাটিতে হবে না। সন্ত্রাসের শিকড় উপড়ে ফেলতে এ সরকার বদ্ধপরিকর। রাজধানী ঢাকার স্বামীবাগ আশ্রমে বৃহস্পতিবার এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। আন্তর্জাতিক কৃষ্ণভাবনামৃত সংঘের (ইসকন) ৫০ বছর পূর্তিতে ইসকন মন্দিরে উল্টো রথযাত্রা উৎসব উপলক্ষে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়তে যারা বাধা তৈরি করছে তাদের বিরুদ্ধে সর্বস্তরের মানুষকে ঐক্য গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে খাদ্যমন্ত্রী বলেন, সন্ত্রাস নির্মূলে সরকারের পাশাপাশি দলমত নির্বিশেষে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। কেউ যাতে কারও ধর্ম পালনে বাধা হয়ে না দাঁড়ায় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তিনি বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সকলকে একযোগে ধর্মান্ধদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে হবে। আর যুদ্ধ করে এদের পরাস্ত করতে হবে। চারু চন্দ্র দাস ব্রহ্মচারীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন- নগর আওয়ামী লীগ নেতা শাহে আলম মুরাদ, ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরের পুরোহিত প্রদীপ ভট্টাচার্য, কৃষ্ণকীর্তন ব্রহ্মচারী, শুভনিতাই দাস ব্রহ্মচারী প্রমুখ। আলোচনা সভার আগে পদাবলী কীর্তন পরিবেশন করেন ভারতের রাধারানি দেবী দাসী। আলোচনা সভার পর বেলা আড়াইটায় জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা মহানগরীর বিভিন্ন পথ প্রদক্ষিণ করে স্বামীবাগ আশ্রমে এসে শেষ হয়।
×