ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ

প্রকাশিত: ০৫:৫০, ১৫ জুলাই ২০১৬

পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সব স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (আরইবি) সকল স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গুলশানে জঙ্গী হামলার পর দেশে বিদ্যুত প্রকল্পে বিদেশী কর্মীদের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করার নির্দেশ দেয় বিদ্যুত বিভাগ। বৃহস্পতিবার সেই ধারাবাহিকতায় আরইবিও একই ধরনের নির্দেশনা দিয়েছে। আরইবি সূত্র জানায় গত সোমবার রাজধানীতে সংস্থার নিজস্ব কার্যালয়ে সমিতির জেনারেল ম্যানেজারদের (জিএম) সঙ্গে একটি বৈঠক হয়। ওই বৈঠকে নিরাপত্তার বিষয়টি আলোচনায় আসে। বিশেষ করে গুলশান হামলার পর আরইবির স্থাপনায় নিরাপত্তা জোরদারের সুপারিশ করেন জিএমরা। এর ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার এক অফিস আদেশে জারি করে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড। আদেশে বলা হয়, পল্লী বিদ্যুত সমিতি সদর দফতরসহ সকল কমপ্লেক্সে অতিথি, আগন্তক ও গ্রাহক সদস্যগণসহ সকল বহিরাগত ব্যক্তিদের চলাফেরার প্রতি সতর্ক নজরদারি রাখতে হবে। কর্মকর্তা/কর্মচারীদের জানমাল এবং সকল বৈদ্যুতিক স্থাপনাসহ বিভিন্ন কেপিআইসমূহের নিরাপত্তা নিশ্চিত রাখার উদ্দেশ্যে কোন প্রকার অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার পূর্বাভাস পাওয়া মাত্র তা জেলা প্রশাসক, পুলিশ কর্তৃপক্ষ, র‌্যাবসহ সকল আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে অবহিত করতে হবে। সারাদেশের ৫৮ হাজার ১২৩টি গ্রামের এক কোটি ৫৬ লাখ ২৫ হাজার গ্রাহককের মাঝে বিদ্যুত বিতরণ করে আরইবি। দেশে ৭৮টি পল্লী বিদ্যুত সমিতি রয়েছে। সিমিতিগুলোর ২০৯টি জোনাল অফিস, ৮০টি সাব জোনাল অফিস, ১৩৬টি এরিয়া অফিস এবং ৭৭০টি অভিযোগ কেন্দ্র রয়েছে। তবে সব থেকে স্পর্শকাতর স্থাপনা বিবেচনা হয় সাবস্টেশনগুলোকে। দেশে আরইবির ৭৫৭টি সাবস্টেশন রয়েছে। তবে প্রত্যন্ত এলাকায় কোন কোন সাবস্টেশন একেবারে অরক্ষিত সেখানে নির্দিষ্ট বাউন্ডারি দেয়া থাকলেও নিরাপত্তার দায়িত্বে তেমন কেউ থাকে না। আরইবি চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল মঈন উদ্দিন নিদের্শনায় বলেন, বিভিন্ন পল্লী বিদ্যুত সমিতির সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজারদের কর্মক্ষেত্রের নির্বাহী প্রধান হিসেবে অরাজকতার বিষয়ে সদা সচেতন থেকে সময়মতো সক্রিয় ও কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সিসিটিভি ক্যামেরা, আর্চওয়ে গেট স্থাপন, মেটাল ডিটেক্টর, অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র সংরক্ষণ ও এর ব্যবহারবিধি অনুশীলনসহ যাবতীয় নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। তিনি একই সঙ্গে আরইবির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পারিবারিক ও জাতীয় জীবনে শুদ্ধাচার, ধর্মীয়-নৈতিক অনুশাসন ও সামাজিক মূল্যবোধসহ বিভিন্ন ইতিবাচক বিষয়াদির প্রাত্যহিক চর্চা এবং ক্রমাগত পারিবারিক নিয়ন্ত্রণ নজরদারির মাধ্যমে সুস্থ, সুন্দর ও নিরাপদ সুষ্ঠু প্রাতিষ্ঠানিক পরিবেশ গঠন করার আহ্বান জানান।
×