ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

উবাচ

প্রকাশিত: ০৫:৪৮, ১৫ জুলাই ২০১৬

উবাচ

ফকু জরিপ! স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিগত সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেয়নি। আশা জাগানিয়া সমর্থন না মেলায় স্থানীয় সরকার নির্বাচন নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে। ভেতরে ভেতরে সারাদেশে নিজেদের জনপ্রিয়তার কোন জরিপও করেনি দলটি। কিন্তু হুট করে যদি বলা হয়- দেশের ৮০ ভাগ মানুষই বিএনপির সমর্থক, তাহলে তাকে কি বলা যায়? দলটির মহাসচিব সম্প্রতি এমন উটকো দাবি করেছেন। এর স্বপক্ষে কোন তথ্য-প্রমাণ তার কাছে তো নয়ই দেশের কারও কাছেই নেই। সঙ্গত কারণে এটি জরিপ না মহাসচিব মির্জা ফকরুলের মতবাদ, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জরিপ দাবি করলে এটাকে বলতেই হবে ফকু জরিপ! গুলশানে সাম্প্রতিক জঙ্গী হামলার পর জাতীয় ঐক্যের জন্য বিএনপি উঠেপড়ে লেগেছে। তাদের ভাষ্য, দেশে গণতন্ত্র না থাকায় জঙ্গীদের রক্তাক্ত অভ্যুত্থান হচ্ছে। বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদের বিশ্লেষণে গেলে এই বক্তব্যের গ্রহণযোগ্যতা প্রশ্নের মুখে পড়ে। প্যারিসেও গণতন্ত্রের অভাব ছিল? আমেরিকাতে হামলার পরও তো আইএস দায় স্বীকার করল। সেখানে কী গণতন্ত্র নেই! মির্জা ফকরুল বলেন, জঙ্গীবাদকে অভ্যন্তরীণ সমস্যা ভেবে উড়িয়ে দেয়ার সুযোগ নেই। আওয়ামী লীগ সরকার দেশে সংঘটিত প্রতিটি ঘটনার প্রকৃত তথ্য উৎঘাটন না করে বিএনপিসহ বিরোধীদলকে জড়িয়ে রাজনৈতিক ফায়দা লুটতে চায়। উগ্রবাদ ও জঙ্গীবাদ দমনে তাদের কোন খেয়াল নেই। তাদের খেয়াল শুধু বিএনপিকে কীভাবে ধ্বংস করে ক্ষমতায় টিকে থাকা যায়, সেদিকে। কিন্তু দেশের প্রায় ৭০-৮০ ভাগ লোক বিএনপির সমর্থক। কাজেই বিএনপিকে বাদ দিয়ে জাতীয় ঐক্য এবং চলমান সঙ্কট সমাধান সম্ভব হবে না! সরকারে আস্থা! স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রথমে দল ত্যাগ, এর পর নতুন দল গঠন। হুট করে আবার ১৪ দলে আস্থা। আর এবার বলছেন, আগের নেত্রী খালেদা জিয়ার কথায় গুরুত্ব দেয়ার কি আছে? তিনি ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা। সাবেক বিএনপি সরকারের যোগাযোগমন্ত্রী। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে এক সমাবেশে তিনি ১৪ দলের নেতাদের উদ্দেশে বলেন, খালেদার কথাকে আপনারা কেন গুরুত্ব দেন? তার কথায় গুরুত্ব দেয়ার কী আছে? তার কথাকে গুরুত্ব না দিয়ে আপনারা আপনাদের কর্মসূচী নিয়ে এগিয়ে যান। আমরা আপনাদের পাশে আছি। আপনারা জনগণের হৃদয় জয় করতে পারবেন। বিএনপি প্রতিষ্ঠাকালীন স্থায়ী কমিটির সর্বকনিষ্ঠ সদস্য নাজমুল হুদা দুই বার খালেদা জিয়ার সরকারে মন্ত্রী ছিলেন। তবে বক্তব্য ও কাজের জন্য দলে সমালোচনায় পড়ার পাশাপাশি তাকে বহিষ্কৃতও হতে হয়। সরকারকে পরামর্শ দিয়ে নাজমুল হুদা বলেন, জঙ্গীবাদী কর্মকা- প্রতিরোধে সাংস্কৃতিক জাগরণ লাগবে। আপনারা আপনাদের মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, তারানা হালিম, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কবরী, মমতাজদের কাজে লাগান। হজম স্টাফ রিপোর্টার ॥ বিরোধিতা করতে গিয়ে যা খুশি তাই বলা একশ্রেণীর রাজনীতিকের নিয়মিত অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। বিএনপি নেতা আ স ম হান্নান শাহ বলেছেন, ভারত সিকিমের মতো বাংলাদেশকে ‘হজম’ করতে চাইছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, বর্তমান সরকার ভাবছে যে, দিল্লীর ছত্রছায়ায় চিরদিন তারা এদেশ শাসন করবে, সেটা সম্ভব নয়। ভারত সিকিমের মতো এদেশকে হজম করতে পারবে না। অবশ্য বাংলাদেশটাকে রাজনৈতিকভাবে, অর্থনৈতিকভাবে এবং পররাষ্ট্রনীতির মাধ্যমে হজম করার একটা প্রক্রিয়া অলরেডি শুরু হয়েছে। অভ্যন্তরীণ কোন্দলের এক পর্যায়ে ১৯৭৫ সালে ভারতের ২২তম অঙ্গরাজ্যে পরিণত হয় স্বাধীন সিকিম। ওই কোন্দলের নেপথ্যে দিল্লীর ভূমিকা থাকার অভিযোগ তুলে হান্নান শাহ বলেন, আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই- বাংলাদেশ সিকিম নয়, বাংলাদেশে সেনাবাহিনী এখনও আছে, যেটা সত্যিকার অর্থে দেশপ্রেমিক। তারা বর্তমান শাসকদের মতো নয় যে নিজেদের গদি ধরে রাখার জন্য অন্য দেশের সহযোগিতা বা আশ্রয় নেবে। ভারত ও রাশিয়া ছাড়া সবাই বাংলাদেশে ‘গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেয়ার কথা বলছে’ দাবি করে হান্নান শাহ বলেন, বর্তমান সরকার ও শেখ হাসিনা (প্রধানমন্ত্রী) কাকাবাবু (ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখোপাধ্যায়) ও ভারতের ইশারা ছাড়া কোন কিছু করতে চাচ্ছে না। কারণ তারা জানে, ভারতের সমর্থন ছাড়া গদি টিকবে না।
×