ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

জঙ্গী ও সন্ত্রাস দমন

প্রধানমন্ত্রীর ১৭ দফা নির্দেশনা

প্রকাশিত: ০৫:৪৬, ১৫ জুলাই ২০১৬

প্রধানমন্ত্রীর ১৭ দফা নির্দেশনা

জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর প্রচারের অংশ হিসেবে ১২ ও ১৩ জুলাই ভিডিও কনফারেন্সে দেয়া তার বক্তব্যের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়সমূহ নিচে তুলে ধরা হলো। খবর বাসসর। ১. প্রধানমন্ত্রী জনজীবনে শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গীবাদ প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধ হতে সকল স্তরের জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। ২. প্রধানমন্ত্রী জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালানোর পাশাপাশি রাজধানীর গুলশান ও কিশোরগঞ্জের শোলাকিয়ায় হামলার ঘটনার মতো আর যেন কোন হামলা হতে না পারে, এজন্য সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। ৩. জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদ নির্মূলে সরকারের উদ্যোগকে এগিয়ে নিতে জনগণের পূর্ণ সহযোগিতা প্রয়োজন রয়েছে এবং সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টায় জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদ নির্মূল করতে হবে। ৪. জনগণের শক্তি হচ্ছে সর্বোচ্চ ক্ষমতা। তাই সকল শ্রেণী ও পেশার মানুষের সহযোগিতায় সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গীবাদ নির্মূল করতে হবে। ৫. তরুণদের কর্মকা-ের ব্যাপারে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে সমাজের দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ বিশেষ করে শিক্ষকদের এ বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। ৬. গ্রামপুলিশ ও কমিউনিটি পুলিশকে তাদের নিজ নিজ এলাকায় এ ধরনের কোন ঘটনার খবর পেলে সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনকে জানাতে হবে। ৭. সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদবিরোধী প্রচারণা আরও জোরদার এবং কমিউনিটি পুলিশিংকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। ৮. বিপথগামী তরুণরা মাদকাসক্ত হলে তাদের চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে হবে। ৯. জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে সতর্ক দৃষ্টি রাখতে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত অন্যান্য কমিটির পাশাপাশি বিভাগ, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড পর্যায়ে কোর কমিটি গঠন করতে হবে। ১০. জঙ্গীবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টির জন্য মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি নিয়ে এ কমিটি গঠন করতে হবে। ১১. সারাদেশে সকল মসজিদে সন্ত্রাসবাদ ও জঙ্গীবাদবিরোধী প্রচার চালাতে হবে। ১২. অসাম্প্রদায়িক চেতনায় কাজ করতে হবে, যাতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় থাকে। ১৩. উন্নয়ন প্রকল্পে কর্মরত বিদেশীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। ১৪. শিক্ষার্থী ও শিশুদের চলাফেরা সম্পর্কে বাবা-মা, অভিভাবক ও শিক্ষকদের সতর্ক থাকতে হবে, যাতে তারা কোন অশুভ শক্তি দ্বারা প্রভাবিত হয়ে বিপদগামী না হতে পারে। ১৫. একটি সুন্দর জাতি হিসেবে বিরাজমান সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে হবে। ১৬. দেশকে একটি জঙ্গী রাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে সকল স্তরের মানুষের সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে। ১৭. ইসলামকে ব্যবহার করতে অশুভ শক্তির নীলনক্সার বিরুদ্ধে সতর্ক থাকতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তার সরকার দেশে জঙ্গীবাদ কায়েমের কোন সুযোগ দেবে না। প্রধানমন্ত্রী গত মঙ্গল ও বুধবার তার সরকারী বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঢাকা, ময়মনসিংহ, রাজশাহী, রংপুর, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা এবং বরিশাল বিভাগের ৬৪ জেলার প্রশাসনিক কর্মকর্তা, শিক্ষক, ইমাম, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, সাংবাদিক, পেশাজীবী এবং সমাজকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন।
×