ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ভয়ঙ্কর রোগে ভুগছেন মির্জাপুরের গৃহবধূ স্বপ্না

প্রকাশিত: ০৪:২১, ১৫ জুলাই ২০১৬

ভয়ঙ্কর রোগে ভুগছেন মির্জাপুরের গৃহবধূ স্বপ্না

নিজস্ব সংবাদদাতা, মির্জাপুর, ১৪ জুলাই ॥ ভয়নক এক রোগে ভুগছেন গৃহবধূ স্বপ্না বেগম। দীর্ঘদিন যাবত এ অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত হয়ে বিছানায় মৃত্যু যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। স্বপ্না বেগমের বাড়ি মির্জাপুর পৌর শহরের সওদাগরপাড়ায়। তার স্বামীর নাম হাসান মিয়া। বুধবার সকালে স্বপ্নার বাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, ছাপড়াঘরের ভেতর বিছানায় যন্ত্রণায় ছটফট করছেন। তার মুখে পচন ধরায় কেউ তার কাছে ভিড়তে চায় না। স্বপ্না এখন বাঁচার চেয়ে সব সময় মৃত্যু কামনা করে যাচ্ছেন। জানা গেছে, ১৩ বছর আগে একই গ্রামের হাসান মিয়ার সঙ্গে স্বপ্নার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে স্বপন (৯), তপন (৭) ও আরজিনা (৫) নামে তিন সন্তান রয়েছে। অভাবের সংসারে রিক্সা চালিয়ে ও ম্যাচ-লাইটে গ্যাস ভরার কাজ করে ভালভাবে সংসার চলছিল। কিন্ত দেড় বছর আগে হঠাৎ স্বপ্নার মুখের একপাশে গলার নিচে টিউমারের মতো দেখা দেয়। ব্যথার কারণে কুমুদিনী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে দুই মাস চিকিৎসা করানো হয়। কিন্ত উন্নতি না হলে টাঙ্গাইল শহরের বটতলার একটি হোমিওপ্যাথিক ওষুধের দোকানে চিকিৎসার জন্য নেয়া হয়। হোমিও ওষুধ খাওয়ার পর হঠাৎ মুখে টিউমারের সংখ্যা বেড়ে যায় এবং পচন ধরে। আর্থিক অবস্থা ভাল না হলেও তিন সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে নিজের বাড়ি বন্ধক রেখে এবং পাড়া-প্রতিবেশেীদের সাহায্য নিয়ে স্বামী হাসান প্রথমে স্বপ্নাকে ঢাকা পিজি হাসপাতাল ও পরে মহাখালী ক্যান্সার হাসপাতালে চিকিৎসা করান। দীর্ঘ দেড় বছরের চিকিৎসায় কয়েক লাখ টাকা খরচ করার পরও উন্নতি না হয়ে আরও অবনতি হয়। বর্তমানে স্বপ্নার মুখের এক পাশ পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। যন্ত্রণায় কথা বলতে না পারলেও সব সময় নিজের মৃত্যু কামনা করছেন স্বপ্না। তিনি বলেন, এই নরক যন্ত্রণার চেয়ে মৃত্যু অনেক ভাল। স্বপ্নার স্বামী হাসান মিয়া বলেন, ইতোমধ্যে চিকিৎসা করে সর্বস্বান্ত হয়ে গেছি। ডাক্তার বলেছেন, ভারতের মাদ্রাজ নিয়ে চিকিৎসা করলে ভাল হতে পারে। তাতে ৫-৬ লাখ টাকা লাগবে। তার স্ত্রীর অসুখটি দেখে ভয়ে কেউ কাছে আসতে চায় না বলে তিনি জানান।
×