ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

কাশ্মীরে সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৩৬ জন

প্রকাশিত: ০৪:১৮, ১৫ জুলাই ২০১৬

কাশ্মীরে সংঘর্ষে নিহত বেড়ে ৩৬ জন

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদী এক তরুণ কমান্ডারের মৃত্যুতে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা ৩৬ জনে দাঁড়িয়েছে। পদশটির কর্মকর্তারা এই তথ্য জানিয়েছেন। কর্মকর্তাদের বরাতে বিবিসি বলছে, বিচ্ছিন্নতাবাদী বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষে আহত ১,৫০০ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে। গেল শুক্রবার জম্মু ও কাশ্মীর রাজ্যের বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী হিজবুল মুজাহিদীনের তরুণ কমান্ডার বুরহান মুজাফ্ফর ওয়ানি ভারতীয় সেনাবাহিনীর এক অভিযানে নিহত হয়েছেন। আর এরপরই রাজ্যটিতে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। খবর ওয়েবসাইটের। রাজ্যটির মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি টেলিভিশনের মাধ্যমে সবাইকে শান্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে এবারই প্রথম রাজ্যটিতে কয়েক দিনব্যাপী এই বড় ধরনের সংঘর্ষ-সহিংসতার ঘটনাগুলো ঘটল। ভারত ও পাকিস্তান উভয় রাষ্ট্রই কাশ্মীরকে নিজেদের ভূখণ্ড বলে দাবি করে। দীর্ঘ ৬০ বছর ধরে ওই অঞ্চলটি নিয়ে বিবাদে জড়িয়ে আছে পরমাণু শক্তিধর এই দুই রাষ্ট্র। এই সময়ের মাঝে দুটি দেশই দুইবার বড় ধরনের যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠের ওই অঞ্চলের বেশ কয়েকটি বিদ্রোহী গোষ্ঠী কাশ্মীরের স্বাধীনতা অথবা পাকিস্তানভুক্ত হওয়ার লক্ষ্যে অস্ত্র তুলে নেয়। চলতি সপ্তার শুরুর দিকে ওই অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ পুনর্প্রতিষ্ঠায় সহায়তার লক্ষ্যে বাড়তি ৮শ’ সেনা পাঠানো হয়। নিহতদের বেশিরভাগই বয়সে তরুণ। তাদের বয়স ১৬ থেকে ২৬ বছরের মধ্যে। সৌদিতে হামলার ধরনে আইএসের ছাপ আছে ॥ সিআইএ প্রধান সম্প্রতি সৌদি আরবে চালানো হামলাগুলোর ধরনের সঙ্গে জঙ্গীগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলার ধরনের মিল আছে বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা সংস্থা সিআইএ-র প্রধান জন ব্রেনান। বুধবার ব্রুকলিন ইনস্টিটিউশন আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে মন্তব্যটি করেন তিনি। খবর ওয়েবসাইটের। ব্রেনান জানিয়েছেন, আইএসকে সৌদি আরবের জন্য গুরুতর হুমকি বলেও মনে করেন তিনি। চলতি মাসের প্রথম দিকে সৌদি আরবের তিনটি শহরে পরপর তিনটি আত্মঘাতী বোমা হামলা চালানো হয়। রোজার মধ্যে চালানো এ হামলাগুলোর মধ্যে মদিনার মসজিদে নববীর প্রবেশ পথে চালানো হামলায় অন্ততপক্ষে চার নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত হন। শেষ রোজার দিন চালানো এসব হামলা সমন্বিতভাবে চালানো হয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। অবশ্য কোন পক্ষ হামলার দায় স্বীকার করেনি। এ প্রসঙ্গে ব্রেনান বলেন, ‘এসব হামলা আইএসআইএল (আইএস) -এর ধরন বহন করছে।’
×