ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ

কো-অপারেটিভ এমডির কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে আইডিআরএ

প্রকাশিত: ০৪:১৫, ১৫ জুলাই ২০১৬

কো-অপারেটিভ এমডির কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে আইডিআরএ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ ঘুষ চাওয়ার অভিযোগে বেসরকারী নন-লাইফ বীমা কোম্পানি বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ ইন্স্যুরেন্সের এমডি নূর-ই আলম সিদ্দিকের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ (আইডিআরএ)। বুধবার তাকে এ বিষয়ে নোটিস দেয়া হয়েছে। ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তাকে নোটিসের জবাব দিতে বলা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। নূর-ই আলম সিদ্দিকের কাছে আইডিআরএর পাঠানো নোটিসের স্মারক নং- বী:উ:ক:/ননলাইফ/ ২৪৭৪/২০১৪-২০৬৪। জানা গেছে, নূর-ই আলমের বিরুদ্ধে ঘুষ চাওয়ার অভিযোগ করেন অপর বেসরকারী কোম্পানি সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্সের নবাবপুর শাখার এজিএম আসাদুজ্জামান মিন্টু। গত ৩ মে আইডিআরএ তিনি এ অভিযোগ করেন। অভিযোগে বলা হয়, শুপ্রভ স্পিনিং লিমিটেড নামের একটি কোম্পানির অগ্নিবিমার পলিসির সিডিউল তৈরি করা হয় গত এপ্রিল মাসে। লিডার বীমাকারী হিসেবে ওই পলিসি ইস্যু করে বাংলাদেশ কো-অপারেটিভ ইন্স্যুরেন্স। সহ-বীমাকারী হিসেবে ছিল সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স এবং রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স। ১৮০ কোটি টাকার এই পলিসির বিপরীতে মোট প্রিমিয়াম আসে ৭২ লাখ ৯০ হাজার টাকা। কো-অপারেটিভ ইন্স্যুরেন্স লিডার হিসেবে মোট ঝুঁকির ৪০ শতাংশ গ্রহণ করে। অপর ৬০ শতাংশের মধ্যে ৩০ শতাংশ ঝুঁকি গ্রহণ করে সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স ও অপর কোম্পানি রিপাবলিক ইন্স্যুরেন্স ঝুঁকি গ্রহণ করে বাকি ৩০ শতাংশ। ঝুঁকি গ্রহণের অংশ হিসেবে সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স প্রিমিয়ামের অংশ পাবে ২১ লাখ ৮৭ হাজার টাকা। প্রাপ্য এ প্রিমিয়াম অংশের টাকা পরিশোধ করতে কো-অপারেটিভ ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী নূর-ই আলম ঘুষ দাবি করেন। অভিযোগে বলা হয়, গত ২৪ মে জনতা ব্যাংক ভবন কর্পোরেট শাখার মহাব্যবস্থাপক জাকির হোসেন কো-অপারেটিভ ইন্স্যুরেন্সকে প্রিমিয়ামের মোট ৭২ লাখ ৯০ হাজার টাকার পে-অর্ডার দেন।
×