ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

ভারত থেকে তিন মাসের জন্য কয়লা আমদানির সুযোগ পেল বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০৪:১৫, ১৫ জুলাই ২০১৬

ভারত থেকে তিন মাসের জন্য কয়লা আমদানির সুযোগ পেল বাংলাদেশ

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সুনামগঞ্জের তিনটি শুল্ক স্টেশন দিয়ে তিন মাসের জন্য কয়লা রফতানির অনুমতি দিয়েছে ভারতের ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল। আগামী ১ অক্টোবর থেকে এ স্টেশন দিয়ে কয়লা রফতানি শুরু হবে। তবে আমদানিকারকরা ১ অক্টোবরের মধ্যে রয়্যালিটি জমা দিতে পারলেই তিন মাসের জন্য কয়লা রফতানি করতে পারবেন বলে জানিয়েছে ভারতের ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল। সুনামগঞ্জ কয়লা আমদানিকারক গ্রুপের সভাপতি আলকাছ খন্দকার বলেন, ভারতের মাইন ওনার্স এক্সপোর্টার এ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা আমাদের এ তথ্য জানিয়েছেন। তিন মাসের জন্য কয়লা রফতানির অনুমতি দেয়ায় আমদানিকারকদের মধ্যে স্বস্তি এলেও পুরোপুরি সন্তুষ্ট নন তারা। তাদের মতে, স্থায়ীভাবে কয়লা আমদানিতে উভয় দেশের সরকারের উচ্চপর্যায়ে বৈঠকে সিদ্ধান্ত জরুরী। গত দুই বছর (২০১৪ ও ১৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত) ধরে ভারতের মেঘালয় থেকে সুনামগঞ্জের বড়ছাড়া, বাগলি ও ছাড়াগাঁও দিয়ে কয়লা আমদানি বন্ধ রয়েছে। এতে প্রায় ৫শ’ আমদানিকারক চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। তাদের কোটি কোটি টাকা রফতানিকারক ও দেশীয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে বাকি পড়ে আছে। এ পরিস্থিতিতে অনেকেই ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছেন। কয়লা আমদানির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রায় ৫০ হাজার শ্রমিক বেকার হয়ে পড়ায় মানবেতর জীবনযাপন করছেন। প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে ভারতের পরিবেশবাদী সংগঠন কর্তৃক মামলার প্রেক্ষিতে ভারতের ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল মেঘালয় সরকারকে কয়লা খনি খনন ও পরিবহন বন্ধের নির্দেশ দেয়। তবে মাঝেমধ্যে কয়েকবার সীমিত সময়ের জন্য কয়লা রফতানির অনুমতি দিলেও আমদানিকারকরা এ স্বল্প সময়ের জন্য তেমন উৎসাহ দেখাননি। সুনামগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি খারুল হুদা চপল বলেন, এ তিন শুল্ক স্টেশনের কয়লা আমদানি নিয়ে আমরা রফতানিকারকসহ ভারত সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে আলোচনা করেছি। আশা করছি এর স্থায়ী সমাধান হবে। এ ব্যাপারে তিনি বাংলাদেশ সরকারকে উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, আমদানি বন্ধ থাকায় বাংলাদেশ সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
×