ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

শাকিল আহমেদ

হলিউডে ব্যস্ত তেরেসা পালমার

প্রকাশিত: ০৬:৪৩, ১৪ জুলাই ২০১৬

হলিউডে ব্যস্ত তেরেসা পালমার

গত ৮ জুন লস এ্যাঞ্জেলস ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে ‘লাইটস আউট’ ছবির ওয়ার্ল্ড প্রিমিয়ার হয়েছে। আগামী ২২ জুলাই বিশ্বব্যাপী এই সুপার ন্যাচারাল হরর সিনেমাটি মুক্তি পাবে । ‘লাইটস আউট’ এর মধ্যে দর্শকদের অনেক আগ্রহ কৌতূহলের কেন্দ্রবিন্দুতে চলে এসেছে । এ ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন তেরেসা পালমার। ৩০ এ পা রাখা সুন্দরী মেধাবী আকর্ষণীয় অস্ট্রেলীয় অভিনেত্রী এ ছবিতে রেবেকা চরিত্রে রূপদান করেছেন। যে তার ছোট ভাই মার্টিনকে নিয়ে ভীষণভাবে চিন্তিত। কারণ মার্টিন এক ধরনের অলৌকিক শক্তির অধিকারী হয়েছে। সেই শক্তি বলে সে অন্ধকারেও সবকিছু দেখতে পায় । রেবেকার ছোট ভাই মার্টিনের মাধ্যমে অতীতে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা সম্পর্কে জানতে সচেষ্ট হয়। তখনই ঘটতে থাকে অদ্ভুত রহস্যময় নানা ঘটনা। তেমন গল্প নিয়ে আবর্তিত ‘লাইটস আউট’ ছবিটি অভিনেত্রী তেরেসা পালমারের ক্যারিয়ারে নতুন মোড় সৃষ্টি করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ছবিটিতে রেবেকা চরিত্রটি রূপায়ণে নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন তেরেসা। তার প্রচেষ্টার কোন কমতি ছিল না। এ কারণে ‘লাইটস আউট’ ছবিটি নিয়ে তার প্রত্যাশাও অনেক। ইতোমধ্যে তেরেসা পালমার অভিনীত ‘টু লেজিট’, ‘দ্য চয়েস’, ‘ট্রিপল নাইন’ ছবিগুলো মুক্তি পেয়েছে । বর্তমানে তার অভিনীত ‘ হ্যাকস রিজ’, ‘টু পয়েন্ট টু টু’, বার্লিন সিনড্রোম’, ‘মেসেজ ফ্রম দ্য কিং’ ছবিগুলো নির্মাণাধীন পর্যায়ে রয়েছে। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি ছবি এ বছর মুক্তি পাবে। সব মিলিয়ে চলতি বছরটি তেরেসা পালমারের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ ব্যস্ত বছর হিসেবে বিবেচিত । বহু আগেই অস্ট্রেলীয় মডেল এবং অভিনেত্রী হিসেবে তার খ্যাতি ও জনপ্রিয়তা ছড়িয়ে পড়েছিল । সুইসাইড ড্রামা ফিল্ম ‘টু পয়েন্ট থ্রি সেভেন’-এর মাধ্যমে বড় পর্দায় তার অভিষেক। ২০০৬ সালে পালমারকে হরর মুভি ‘দ্য গ্রাজ টু’তে দেখা যায়। এরপর তিনি ‘ডিসেম্বর বয়েজ’, ‘বেডটাইম স্টোরিজ’ ছবিগুলোতে অভিনয়ের মাধ্যমে খ্যাতি ও জনপ্রিয়তার পরিধি আরও বিস্তৃত করতে সক্ষম হন। ‘দ্য সকারস এ্যাপ্রোন্টিস’, ‘আই অ্যাম নাম্বার ফোর’, টেক মি হোম টু নাইট ওয়াজ বডিস’, ‘লাভ এ্যান্ড অনার’, ‘পার্টস পার বিলিয়ন’, কাট ব্যাংক’, ‘কিল মি থ্রি টাইমস’, ‘পয়েন্ট ব্রেক’ প্রভৃতি সিনেমায় তেরেসা পালমার সক্ষমতার প্রমাণ দিয়েছেন বেশ চমৎকারভাবে। এ বছর তার অভিনীত মুক্তিপ্রাপ্ত ‘দ্য চয়েস’ ছবিটি সর্বমহলে দারুণ প্রশংসিত হয়েছে । নিকোলাস স্পার্কসের বহুল পঠিত উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত এ ছবিতে প্রধান নারী চরিত্রে চমৎকার অভিনয় করেছেন তেরেসা পালমার। অস্ট্রেলিয়া থেকে এর আগে হলিউডে পদার্পণ করেছিলেন নিকোল কিডম্যান। দুনিয়াজুড়ে যার খ্যাতি ও জনপ্রিয়তা ছড়িয়েছিল। তেরেসা পালমারও পূর্বসূরি নিকোল কিডম্যানের পথ অনুসরণ করে ইতোমধ্যেই অনেক দূর এগিয়ে গেছেন। বর্তমানে লস এ্যাঞ্জেলসের রিচউড ক্যানিওনে বসবাস করেছেন পালমার। যখন তার বয়স মাত্র তিন তখন বাবা-মায়ের মধ্যে ডিভোর্স হয়ে যায়। সৎ মায়ের সংসারে বড় হয়েছেন। মাদার তেরেসার নামানুসারে তার নাম তেরেসা পালমার রেখেছিলেন মা। বিভিন্ন নাটক এবং অনুষ্ঠানে সক্রিয় অংশগ্রহণের মাধ্যমে স্কুল-কলেজ জীবনেই অভিনয় প্রতিভার প্রকাশ ঘটিয়েছিলেন । সেই থেকে বিভিন্ন অডিশনে অংশগ্রহণ করে নিজেকে আরও পরিপক্ব করে তুলেছিলেন। কয়েক বছর গেছেন অভিনয়ের ক্ল্যাসেও । এভাবেই নিজেকে সুঅভিনেত্রী হিসেবে যোগ্য করে তুলেছেন । পালমার শুরুতে বেশ কিছু টিভি কমার্শিয়ালে কাজ করেছেন । এর বাইরে ফাস্ট ফুডের দোকানে, কাপড়ের দোকানেও কাজ করেছেন। তার লক্ষ্য ছিল অভিনেত্রীরূপে বড় পর্দায় আত্মপ্রকাশ। এক পর্যায়ে সেই সুযোগও পেয়ে গিয়েছিলেন। গত এক দশক সময়ে অস্ট্রেলীয় সিনেমা জগতের সীমানা পেরিয়ে হলিউডে নিজের ক্যারিয়ারকে বিস্তৃত করতে সক্ষম হয়েছেন তেরেসা পালমার। এক সন্তানের জননী এই সুন্দরী মেধাবী অভিনেত্রী বর্তমানে আবার প্রেগনেন্ট হয়েছেন। দ্বিতীয়বারের অন্তঃসত্ত্বা হওয়ার আশায় তার ক্যান্সার টিউমার ধরা পড়লেও শেষ পর্যন্ত হয়েছেন বিপথমুক্ত।
×