ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

একীভূত হতে রবি ও এয়ারটেলকে ২শ’ কোটি টাকা দিতে হবে

প্রকাশিত: ০৬:৩৬, ১৪ জুলাই ২০১৬

একীভূত হতে রবি ও এয়ারটেলকে ২শ’ কোটি টাকা দিতে হবে

স্টাফ রিপোর্টার ॥ মোবাইল অপারেটর রবি ও এয়ারটেলের একীভূত হতে একটি সুনির্দিষ্ট মাসুল নির্ধারণ করেছে সরকার। এ দুটি অপারেটর একীভূত হতে সরকারকে ২০০ কোটি টাকা দিতে হবে বলে এক বৈঠকে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। বুধবার অর্থ মন্ত্রণালয়ে এক বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়েছে। অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের সঙ্গে বৈঠকে তরঙ্গ একীভূত করার ফি ও মার্জার ফি বা মাসুল নির্ধারণ করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্তে আসতে দীর্ঘদিন ধরে বিষয়টি অপেক্ষায় ছিল। তবে তরঙ্গ একীভূত করতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয় ও বিটিআরসির কোন আপত্তি ছিল না; এক্ষেত্রে সবাই একমত। মার্জার মাসুল হিসেবে একটি মাসুল নির্ধারণ করা হয়েছে। সভায় উপস্থিত ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের এক কর্মকর্তা জানান, গত এপ্রিলে রবি ও এয়ারটেলের একীভূত হতে একটি সুনির্দিষ্ট মাসুল নেয়ার সুপারিশ করে এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন চূড়ান্ত করতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ। দুই অপারেটরের ব্যবসা একীভূত করতে ২৮ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিক চুক্তির পর তা বিটিআরসিকে জানায়। এ নিয়ে শুনানি করে বিটিআরসি একীভূতকরণে কয়েকটি বিষয় সুপারিশ করে মূল্যায়ন পাঠায় ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে। সুপারিশের মধ্যে রয়েছে এয়ারটেল তার থ্রিজি লাইসেন্সের মেয়াদ অর্থাৎ ২০১৮ সাল পর্যন্ত তাদের ২৫ শতাংশ মালিকানা বিক্রি করতে পারবে না। এছাড়া একীভূত প্রতিষ্ঠান রবি এয়ারটেলের তরঙ্গ (স্পেকট্রাম) ব্যবহার করতে পারবে। বর্তমানে রবির ১৯ দশমিক ৮০ মেগাহার্টজ এবং এয়ারটেলের ২০ মেগাহার্টজ তরঙ্গ রয়েছে। একীভূত হওয়ার পর যা হবে ৩৯ দশমিক ৮০ মেগাহার্টজ। বর্তমানে গ্রামীণফোনের রয়েছে ৩২ মেগাহার্টজ তরঙ্গ, যা অন্য সব অপারেটরের চেয়ে বেশি। বিটিআরসি মূল্যায়ন প্রতিবেদনে দুই প্রতিষ্ঠানের কোন কর্মী যাতে চাকরিচ্যুত না হয় তা নিশ্চিতের সুপারিশ করেছে। তবে যারা একীভূত প্রতিষ্ঠানে যোগ দিতে চাবে না তাদের জন্য স্বেচ্ছা অবসরের সুযোগ রাখতে বলা হয়েছে। দুই অপারেটরের ব্যবসা এক হওয়ার পর একীভূত কোম্পানি রবি নামেই চলবে। মুখরোচক খাবার সংযমের মাস রমজান ও খুশির ঈদ শেষে আবারও ক্রেতার ভিড়ে পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী খাবারের দোকানগুলো। ক্রেতার চাহিদা অনুযায়ী পুরান ঢাকায় খাবার দোকানগুলোতে তৈরি হচ্ছে কাচ্চি, কাবাব, তেহারি থেকে শুরু করে সব ধরনের মুখরোচক খাবার। পুরান ঢাকার নাজিরাবাজার থেকে ছবিটি তুলেছেন জনকণ্ঠের নিজস্ব আলোকচিত্রী। বেঁচে থাকার তাগিদে ভাগ্যের নির্মম পরিহাস! জীবনের কঠিন বাস্তবতার কাছে হেরে গেছেন যশোরের মলয় প্রসাদ দাস (৩৫)। শৈশবে মা-বাবাকে হারিয়ে স্বপ্ন পূরণের ছক বদলে গেছে তার। ছোটবেলায় স্বপ্ন ছিল ডাক্তার হওয়ার। তবে মা-বাবা না থাকায় তা আর হয়নি। বেঁচে থাকার তাগিদে বেছে নিয়েছিলেন মুচির পেশা। এখন এর ওপরই নির্ভরশীল তিনি। ছবিটি রাজধানীর আগারগাঁও থেকে তুলেছেন জনকণ্ঠের নিজস্ব আলোকচিত্রী।
×