ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

অলিম্পিক ঘিরে রিওতে কঠোর নিরাপত্তা

প্রকাশিত: ০৬:৩২, ১৪ জুলাই ২০১৬

অলিম্পিক ঘিরে রিওতে কঠোর নিরাপত্তা

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ লন্ডন, নিউইয়র্ক অথবা মুম্বাই, অব্যাহত সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে বিশ্বজুড়ে নিরাপত্তা আজ বড় ইস্যু। বিশেষ করে ফ্র্যান্সের রাজধানী প্যারিসে সম্প্রতি ঘটে যাওয়া হামলার পর ব্রাজিলের রিও ডি জেনিরোতে আসন্ন অলিম্পিক গেমস (৫-২১ আগস্ট) ঘিরে জনমনে আশঙ্কা তৈরি হওয়া স্বাভাবিক। তবে সবাইকে আশ্বস্ত করে বিশ্বের সর্বাপেক্ষ বৃহৎ ক্রীড়া আসরে কঠোর নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দিয়েছে আয়োজক ব্রাজিল সরকার ও প্রশাসন। রিওর নিরাপত্তা প্রধানের দায়িত্বে থাকা দেশটির বিচার মন্ত্রণালয়ের সচিব আন্দ্রে রড্রিগেজ বলেন, ‘বিশাল এই ইভেন্টের নিরাপত্তা বিধান করে আমরা আরও একটি অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাই। যেমনটি করেছিলাম ফুটবল বিশ্বকাপে।’ লাতিন আমেরিকর দেশ ব্রাজিল খুব উন্নত নয়। জনবহুল রিও সেখানে আরও অপরাধপ্রবন। তাই নিরাপত্তায় আয়োজকরা এতটুকু ঘাটতি রাখতে চায় না। রড্রিগুয়েজ বলেন, ‘২০১৪ বিশ্বকাপ ফুটবলসহ বেশ ক’টি মেগা ইভেন্ট আয়োজনের অভিজ্ঞতা ব্রাজিলের রয়েছে। রিও অলিম্পিক গেমস আয়োজনের বিশাল চ্যালেঞ্জ গ্রহণে আমরা প্রস্তুত। নিখাদ নিরাপত্তা ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখাটা আমাদের কাজ, মিশন ও গ্যারান্টি।’ এ সময় গেমসের নিরাপত্তা বিধানের জন্য অন্তত ৪৭ হাজার পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর ৩৮ হাজার সদস্য মোতায়েন করার পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন রড্রিগুয়েজ। সাধারণ নিরাপত্তাকর্মী মিলিয়ে সংখ্যাটা হবে ৮৫ হাজার, যা ২০১২ সালের লন্ডন অলিম্পিকে মোতায়েনকৃত নিরাপত্তা বাহিনীর প্রায় দ্বিগুণ। সারাবিশ্বের নিরাপত্তা বিষয়ক কার্যক্রম নিয়ে ব্রাজিল পুলিশ কাজ করছে উল্লেখ করে তিনি আরও যোগ করেন, ‘ভিন্ন ভিন্ন দেশের পুলিশ বাহিনীর সহায়তায় রিও একটি আন্তর্জাতিক সমন্বয় কেন্দ্র স্থাপন করবে এবং সন্ত্রাস বিরোধী কাজে জড়িত পুলিশ এজেন্সির সহায়তা গ্রহণ করবে।’ তিনি বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমরা কাজে নেমে পড়েছি, আগস্টের ৫ তারিখের মধ্যে শতভাগ প্রস্তুতি সম্পন্ন হবে। আমি আবারও বলতে চাই সঠিক প্রস্তুতি, মেধা ও যোগ্যতা দিয়ে আমরা গেমসের নিরাপত্তা বিধান করব। ব্রাজিল এই গ্যারান্টি দিচ্ছে যে নিরাপদেই রিও অলিম্পিক শেষ হবে।’ এর আগে ব্রাজিলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাউল জুংমান জানিয়েছেন গেমস চলাকালে ১২ সামরিক জাহাজ, ১ হাজার ১৬৯ সামরিক গাড়ি, ৭০ সাঁজোয়ান গাড়ি, ২০ হেলিকপ্টার, ৪৮টি বিভিন্ন ধরনের জাহাজ এবং ১৭৪টি মোটরসাইকেল রিওতে পাঠানো হবে। এসব বহর প্রতিযোগিতার চার স্থল ছাড়া বিমানবন্দর এবং এর সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন স্থানের সংযোগ সড়কের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। ব্রাজিল ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এরই মধ্যে কেবল অলিম্পিকের নিরাপত্তা খাতে অতিরিক্ত ২৪ মিলিয়ন ডলার বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। ২৪ জুলাই থেকেই ভেন্যুগুলোর আশপাশে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হবে।
×