ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

বিদায় ক্যামেরন- ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ১৪ জুলাই ২০১৬

বিদায় ক্যামেরন- ব্রিটেনের নয়া প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে

জনকণ্ঠ ডেস্ক ॥ দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী পেল ব্রিটেন। বুধবার প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগ করায় ৫৯ বছর বয়সী কনজারভেটিভ নেতা তেরেসা মে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেন। গত ২৩ জুন অনুষ্ঠিত গণভোটে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে যুক্তরাজ্যের বের হয়ে যাওয়ার পক্ষে রায় যাওয়ার পরপরই পদত্যাগের ঘোষণা দেন ক্যামেরন। আগামী সেপ্টেম্বর মাসে তার বিদায় নেয়ার কথা থাকলেও নতুন নেতা নির্বাচন দ্রুত সম্পন্ন হওয়ায় বুধবারই বিদায় নেন তিনি। উল্লেখ্য, ১৯৯০ সালের ২২ নবেম্বর পদত্যাগ করেছিলেন ব্রিটেনের একমাত্র নারী প্রধানমন্ত্রী মার্গারেট থ্যাচার। সারাবিশ্বে লৌহমানবী হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি। এর ঠিক দুই দশক পর নারী সরকার প্রধান পেল ব্রিটিশরা। খবর বিবিসি, এএফপি ও টেলিগ্রাফ অনলাইনের। এর আগে ডেভিড ক্যামেরনের উত্তরসূরি হওয়ার দৌড় থেকে সর্বশেষ প্রতিদ্বন্দ্বী এ্যান্ড্রি লিডসম সরে দাঁড়ানোর ফলে তেরেসা মের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার পথ পরিষ্কার হয়ে যায়। ডেভিড ক্যামেরন বুধবার পার্লামেন্টে শেষ প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশ নেন। এরপর বাকিংহ্যাম প্যালেসে গিয়ে রানীর কাছে পদত্যাগপত্র পেশ করেন। গত ২৩ জুনের নির্বাচনে তেরেসা মে ইইউতে থাকার পক্ষে প্রচার চালান। তবে অভিবাসী প্রশ্নে কঠোর অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই শিক্ষার্থী। ১৯৯৭ সাল থেকে এমপি ও গত ৬ বছর ধরে ব্রিটেনের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। পদত্যাগের আগে তেরেসা মের আগাম নেতৃত্বের ভূয়সী প্রশংসা করেন ক্যামেরন। তিনি বলেন, আমি মনে করি ব্রিটেন ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে গেলেও সংগঠনটির সঙ্গে সম্পর্ক বজায় রাখতে ভূমিকা রাখবেন নতুন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় নয়া প্রধানমন্ত্রীকে একজন তুখোড় মধ্যস্ততাকারী হিসেবে উল্লেখ করেন ক্যামেরন। ক্যামেরন তার প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ের কথা স্মরণ করে বলেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে আমি গত ৬ বছর ভাল সময় পার করেছি। প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ক্যামেরনের শেষ প্রশ্নোত্তর পর্ব ছিল মজাদার। ওই দিন প্রধানমন্ত্রী বরাবর অন্তত ৫ হাজার ৫শ প্রশ্ন জমা পড়ে। কিন্তু তিনি মাত্র কয়েকটি প্রশ্নের জবাব দিয়ে বলেন, বাকি প্রশ্নগুলো পরবর্তী প্রধানমন্ত্রীর জন্য রেখে গেলাম। প্রশ্নোত্তর পর্বে ক্যামেরনকে হাস্যোজ্জ্বল দেখাচ্ছিল। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকালে সহায়তার জন্য স্ত্রী সামান্থা ও তার দুই মেয়ের অবদানের কথা স্মরণ করেন। এ সময় ক্যামেরনের পাশেই বসেন বর্তমান প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে। তেরেসা মে ক্যামেরনকে অভিনন্দন জানান। রাজনীতিবিদ হিসেবে কোন আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব নন তেরেসা মে। তবে পুরো বিশ্ব এখন তাকিয়ে আছে তার দিকে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে যুক্তরাজ্যকে বের করে নিয়ে দেশকে তিনি কোন পথে নিয়ে যান, তাই দেখার অপেক্ষা এখন। ধর্মযাজক বাবার কন্যা তেরেসা ভূগোল বিষয়ে পড়া শেষ করে পেশা জীবনের শুরুতে ছিলেন ব্যাংকার। ১৯৯৭ সালে পশ্চিম লন্ডনের মেইডেনহেডে আইনজীবী হিসেবে কাজ শুরুর আগ পর্যন্ত তিনি ছিলেন ব্যাংক অব ইংল্যান্ডের ফিনানশিয়াল কনসালটেন্ট। ২০০২ সালে কানজারভেটিভ পার্টির চেয়ারম্যান হন মে। ১৯৮০ সালে ফিলিপ মেকে বিয়ে করেন বর্তমান এই প্রধানমন্ত্রী। তবে ব্যক্তি জীবনে তাদের কোন সন্তান নেই বলে খবরে উল্লেখ করা হয়েছে।
×