ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে প্রধানমন্ত্রী

গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলুন, জঙ্গীরা আরও হামলা চালাতে পারে

প্রকাশিত: ০৫:৪৪, ১৪ জুলাই ২০১৬

গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলুন, জঙ্গীরা আরও হামলা চালাতে পারে

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে আরও জঙ্গী-সন্ত্রাসী হামলার আশঙ্কা ব্যক্ত করে জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। একই সঙ্গে দেশবাসীকে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এরা এখানেই থেমে থাকবে না। এদের নানা ধরনের পরিকল্পনা রয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের পরিবারের অর্থায়ন ও মানুষ পুড়িয়ে হত্যাকারী বিএনপি-জামায়াত জঙ্গীবাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে নানা ঘটনা ঘটাতে পারে। হয়তো দেখা যাবে, একই সঙ্গে সাত-আটটি জেলায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গা কিংবা বিভিন্ন মানুষের ওপর তারা আক্রমণ চালাতে পারে। তাই সবাইকে আরও সজাগ ও সতর্ক থেকে সম্মিলিতভাবে এদের বিরুদ্ধে গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। সন্ত্রাস-নাশকতা ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে তার সরকারের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে কোন জঙ্গী-সন্ত্রাসীর ঠাঁই হবে না। বাংলাদেশের মাটিতে কিছুতেই সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের স্থান হতে দেব না। ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করে এ ধরনের কোন কর্মকা- বরদাশত করা হবে না। মানুষের শান্তি ও নিরাপত্তা বিঘিœত করে এটা কখনই আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। তাই সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ ও মোকাবেলা করতে হবে। জনগণের শক্তি নিয়ে আমরা সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদ মোকাবেলা করে দেশকে প্রগতি ও উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাব। দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে বাংলাদেশকে শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধশালী দেশ হিসেবে গড়ে তুলবই ইনশাল্লাহ। বুধবার গণভবন থেকে দেশের চারটি বিভাগের ৩১টি জেলার বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার জনগণের সঙ্গে সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদবিরোধী ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন। সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা সৃষ্টির কার্যক্রমের অংশ হিসেবে প্রথমে সিলেট ও চট্টগ্রামের ১৫টি এবং পরে খুলনা ও বরিশাল বিভাগের ১৬টি জেলার সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্স করেন প্রধানমন্ত্রী। গত দু’দিনে প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দেশের ৬৪টি জেলার বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের সঙ্গে মতবিনিময়ের মাধ্যমে সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদ নির্মূলে বেশ কিছু নির্দেশনাও দেন। ভিডিও কনফারেন্সে এই চার বিভাগের বিভিন্ন জেলার ইসলামিক চিন্তাবিদ, ইমাম, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, মুক্তিযোদ্ধা, পুলিশ ও বিজিবি কর্মকর্তা, এনজিও কর্মকর্তা, নারী নেতৃবৃন্দ, ব্যবসায়িক প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার প্রতিনিধিরা জঙ্গী-সন্ত্রাস নির্মূলে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে তাদের বিভিন্ন কার্যক্রম তুলে ধরার পাশাপাশি বিভিন্ন পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রীকে। সিলেট হযরত শাহজালাল দরগা শরীফের ইমাম বলেন, ইসলামের নামে যারা মানুষ হত্যা করছে এরা ইসলামের দুশমন। এরা কখনই মুসলমান হতে পারে না। এদের সম্মিলিতভাবে প্রতিরোধ ও ধ্বংস করতে পারলে দেশ, জাতি ও ইসলামের জন্যই মঙ্গল হবে। প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদের সঞ্চালনায় ভিডিও কনফারেন্সের সময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমাম, ড. তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী, প্রতিমন্ত্রী বীরেন শিকদার, ডাঃ মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, খ ম জাহাঙ্গীর হোসাইন, কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, শোলাকিয়া ঈদগাহের পেশ ইমাম মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। সূচনা ও সমাপনি বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী দেশবাসীকে সজাগ ও সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়ে আরও বলেন, সবাইকে আরও সচেতন থাকতে হবে। কারণ এটাও মনে রাখতে হবে যে, এটা এখানেই থেমে যাবে না। নানা ধরনের পরিকল্পনা থাকতে পারে। আমরা বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট, দেশী-বিদেশী বিভিন্ন জায়গা থেকে তথ্য সংগ্রহ করে যাচ্ছি। সেক্ষেত্রে আরও সচেতনতা সৃষ্টি করা এবং জঙ্গী-সন্ত্রাসবিরোধী প্রচারটাও ব্যাপকভাবে সবাইকে করতে হবে। বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনা করে তিনি বলেন, ২০১৫ সালের তিনটি মাস যেভাবে বিএনপি-জামায়াত ও তাদের সহযোগিরা মিলে সারাদেশে অগ্নিসন্ত্রাস ও মানুষ পুড়িয়ে হত্যার মতো জঘন্য কার্যক্রম করতে পেরেছিল, তারা কিন্তু থেমে থাকবে না। তারা জঙ্গী সম্পৃক্ত হয়েই কাজ করবে। কাজেই এ ব্যাপারে আরও সচেতন থাকতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোর জন্য বিভিন্ন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরও নিজ নিজ এলাকায় সচেতন থাকতে হবে। নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানগুলোর দিকে আরও সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। সেই সঙ্গে গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে আমি বলব তথ্য সংগ্রহ করতে। নিজেদের মধ্যে আদান-প্রদান করা এবং যথাযথ পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের সশস্ত্র বাহিনীরও বিভিন্ন ডিভিশন আছে। তাদেরও আমি আহ্বান করব, তারা যেন তাদের কর্মক্ষেত্রে যথেষ্ট সচেতন থাকে। সন্ত্রাসবিরোধী প্রচার এবং যেকোন ব্যবস্থা যেন তারা গ্রহণ করে। এ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, যে সমস্ত যুদ্ধাপরাধীদের আমরা বিচার করছি তাদের পরিবার-পরিজনরা আছে। এরা কিন্তু থেমে নেই। তারাও কিন্তু ষড়যন্ত্রে লিপ্ত। এমনকি তারা কেউ দেশে-বিদেশে রয়েছে। তাদের অর্থ-সম্পদের কোন অভাব নেই। যেমন তারা অপপ্রচার চালাচ্ছে, তেমনি জঙ্গী বা সন্ত্রাসী কর্মকা-েরও মদদ দিচ্ছে। তিনি বলেন, এদেরও আর্থিক সহায়তা, প্ররোচনা, পরিকল্পনা রয়েছে। হয়তো দেখা যাবে একই সঙ্গে সাত-আটটি জেলায় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় তারা আক্রমণ চালাতে পারে। সেখানে জনপ্রতিনিধি থাকতে পারে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থা থাকতে পারে, এমনকি পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবিসহ বিভিন্ন জায়গা এবং মন্ত্রী-সাংবাদিক বা বিদেশী নাগরিক বিভিন্ন জায়গায় কিন্তু আক্রমণ চালাবার একটা পরিকল্পনা তাদের থাকতে পারে। তিনি বলেন, এ বিষয়গুলো সম্পর্কে আমি দেশবাসীকে আরও সচেতন করতে চাই এবং এ ব্যাপারে সকলকে আরও এক হয়ে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি। আমি আশাকরি এই জনসচেতনতা সৃষ্টি করে জনগণের শক্তি নিয়ে জঙ্গী-সন্ত্রাস প্রতিরোধ করতে হবে। এটাই হচ্ছে সব থেকে বড় কথা। সম্মিলিতভাবেই দেশবিরোধী এই শত্রুদের মোকাবেলা করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থার উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবাইকে আরও সচেতন হতে বলব। বিশেষ করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিজ নিজ এলাকায় আরও সচেতন ও সজাগ থাকতে হবে। গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে তথ্য সংগ্রহ ও তথ্য আদান-প্রদান করতে হবে। এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে জনসচেতনতার ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সব ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করতে হবে। বাংলাদেশ ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, এখানে ধর্মীয় উৎসব সবাই আনন্দ ভাগাভাগি করে। বাংলাদেশ ধর্মীয় সম্প্রীতির দেশ। বাংলাদেশের এটাই সৌন্দর্য যে সকলে যার যার ধর্ম পালন করে। এই চমৎকার সম্প্রীতির পরিবেশ যেন কখনই নষ্ট হতে না পারে সে ব্যাপারেও দেশবাসীর সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। ইসলাম ধর্মকে হেয় করার কোন কর্মকা- বরদাশত করা হবে না হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পবিত্র ধর্ম ইসলামের নামে যারা সন্ত্রাসী কর্মকা- করছে তারা ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী হতে পারে না। তিনি বলেন, নিরীহ মানুষকে হত্যা করা মহাপাপ। এ ধরনের কাজ যারা করছে তারা কেবল একজন খুনী। এরা জনগণের ঘৃণা ছাড়া আর কিছুই পাবে না। বেহেস্তে তাদের ঠাঁই হবে না, দোজখের আগুনে তারা জ্বলবে। সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা মনে করি এই ঘটনাগুলা বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক, নিন্দনীয়। তাছাড়া এ ধরনের আক্রমণ জঘন্য অপরাধ, ঘৃণ্য অপরাধ। তিনি বলেন, অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, আমরা এটাও দেখি পবিত্র মদিনা শরীফে মসজিদ নববীতে বোমা হামলা করা হয়েছে। আমরা জানি না এরা কী ধরনের মুসলমান। ইসলামের কথা বলে, ইসলামের নাম করে তারা এসব করছে। ইসলাম শান্তির ধর্ম, অত্যন্ত পবিত্র ধর্ম। তারা সেই ধর্মকে অবমাননা করছে, বিশ্বের কাছে ইসলাম ধর্মকে হেয় করছে। এই সন্ত্রাসী কর্মকা- যারা চালায় তারা ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসী হতে পারে না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা চাই বাংলাদেশে সব সময় শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকুক। শান্তিশৃঙ্খলার জন্য আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর থেকে কঠোর ব্যবস্থা নিয়েছে। আমরা কিছুতেই বাংলাদেশকে সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদের স্থান হতে দেব না। তিনি বলেন, যখন বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হচ্ছে, উন্নয়নের রোলমডেল হিসেবে স্বীকৃতি পাচ্ছে- ঠিক সে সময় এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে নষ্ট করা, উন্নয়ন-অগ্রযাত্রাকে ব্যহত করা, দেশকে আলো থেকে অন্ধকারের দিকে ঢেলে দেয়ার একটা চেষ্টা হচ্ছে। যখন বাঙালী জাতির আত্মবিশ্বাস ফিরে এসেছে। ঠিক তখন এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে আমাদের বিশ্বের কাছে হেয় করা হচ্ছে। তাই আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। সন্ত্রাস-জঙ্গীবাদ দমন করতে হবে। বাংলাদেশকে সন্ত্রাসী ও জঙ্গীবাদী কর্মকা- থেকে মুক্ত করতে হবে। তিনি বলেন, মুসলমান হয়েও মুসলমান হত্যা করে পবিত্র ধর্মকে হেয় করা হচ্ছে। ইসলাম শান্তির ধর্ম। আমাদের পবিত্র ধর্মকে কেউ হেয় করলে আমরা বরদাশত করব না। সকলকে এই অঙ্গীকার নিতে হবে। বাংলাদেশের মাটিতে কিছুতেই সন্ত্রাস ও জঙ্গীবাদের স্থান হতে দেব না। ইসলাম ধর্মকে অবমাননা করে এ ধরনের কোন কর্মকা- বরদাশত করা হবে না। মানুষের শান্তি ও নিরাপত্তা বিঘিœত করে এটা কখনই আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। এ সময় প্রধানমন্ত্রী গুলশানের হামলার ঘটনার তথ্য তুলে ধরে বলেন, হামলাকারীরা দেশের নামকরা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করেছে। এরা উচ্চবিত্ত পরিবার থেকে এসেছে। কেন এমনটি ঘটছে তা আমাদের খুঁজে বের করতে হবে। আমাদের মসজিদের ইমাম-মুয়াজ্জিন-ধর্মীয় ব্যক্তিত্ব, অভিভাবক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, সমাজসেবক, ব্যবসায়ী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষকে জঙ্গী-সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। তিনি বলেন, আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছি। দেশে এখন খাবারের জন্য কোন হাহাকার নেই। দেশের মানুষের যখন কল্যাণ হচ্ছে, যখন মানুষের আত্মবিশ্বাস ফিরে এসেছে, তখন এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে আমাদের বাঙালী জাতিকে বিশ্বের সামনে হেয় করছে তারা। তারা পবিত্র ধর্ম ইসলামকেও হেয় করছে। তিনি বলেন, দেশের সকল বিভাগের কর্মকর্তাসহ সব শ্রেণী-পেশার মানুষের সঙ্গে কথা বলছি। তাদের সবাইকে বলেছি আমরা জঙ্গীবাদবিরোধী কমিটি নিয়ে সকলে একযোগে কাজ করব। কীভাবে জঙ্গী-সন্ত্রাসী কাজ করে তা খুঁজে বের করব। অভিভাবকদের বলব- নিজেদের সন্তানদের খোঁজ-খবর নেবেন, তারা কীভাবে চলে, কাদের সঙ্গে মেলামেশা করে, কোথায় যায়- সে ব্যাপারে খোঁজখবর নেবেন। জঙ্গীবাদবিরোধী কমিটির সঙ্গে মিলে খোঁজ নেবেন সব দিকে। এলাকায় নতুন কেউ এলে, কারও চলাফেরা সন্দেহজনক হলে সে কোথায় থেকে এসেছে তা জানতে হবে। অবাঞ্ছিত কাউকে দেখলে তার পরিচয় বের করবেন। অভিভাবকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, কেউ যদি দীর্ঘ দিন থেকে নিখোঁজ থাকে তবে আমাদের কাছে পরিচয় দিন। নিখোঁজ ছেলে-মেয়েরা কোথায় আছে আমাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী খোঁজ করবে। কেউ যদি ভুল পথে চলে গিয়ে থাকে তাদের সংশোধন এবং চিকিৎসার ব্যবস্থা আমরা করব। তিনি বলেন, ইসলামে আত্মহত্যা কিংবা সুইসাইড মহাপাপ। সেই পাপের পথে মানুষ কেন যাচ্ছে- কারা তাদের নিয়ে যাচ্ছে তাদেরও খুঁজে বের করা হবে। ইতোমধ্যে সারাদেশে সন্ত্রাসবিরোধী কমিটি গঠন করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। সেই কমিটি অপরাধীদের খুঁজে বের করবে। পাশাপাশি শিক্ষক, সাংবাদিক, অভিভাবক সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।
×